আজ মহান বিজয় দিবস
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৪৭:০৭ রাত
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি বাঙ্গালী জাতির একটি অনন্য দিন। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে আজীবন লেখা থাকবে এই দিনটি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে বাঙ্গালী জাতি জীবন দিতে জানে, পরাজয় বরণ করতে জানে না।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বীর বাঙ্গালীর কাছে অত্মসমর্পন করে। স্বাধীন বাংলার আকাশে পতপত করে উড়তে শুরু করে লাশ সবুজের পতাকা। বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধিন রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা করে নেয় ৫৫ হাজার বর্গমাইলের আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধিন হয়েছে আমাদের প্রিয় ভূ-খন্ড। এই যুদ্ধে যারা পঙ্গুত্ব বরন করে নিজেরা অচল হয়ে প্রিয় দেশটি করেছেন সচল করেছেন তাদের বিনিময় দেয়া সম্ভব নয়। সম্ভব নয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের ঋন শোধ করা।তবে কার্পণ্য করবো না হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাতে।
বিজয়ের এই মহান দিনে সেই মহান ব্যাক্তিদের জানাই স্বশ্রদ্ধ সালাম। যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধিন করেছেন। যাদের জন্য বুক ফুলিয়ে গর্ব করে একটি স্বাধিন দেশের নাগরিক পরিচয় দিতে পারি। আজ সেই সব শহীদানদের শ্রদ্ধার সাথে বলছি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধিনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না....
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা: রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাণী: বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজয়ের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
নীচে তুলে ধরা হলো তাদের বাণীর চুম্বক অংশ:
প্রধানমন্ত্রীর বাণী: আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রা করি। দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করি। এটিই হোক ২০১৪ সালের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে সবার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার বাণী : মহান বিজয় দিবস উপলে আমি প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সব বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করি। স্বাধীনতার জন্য যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমি জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
কর্মসূচি ঘোষনা: প্রভাতে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো: বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিক, আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
বিশেষ আয়োজন: বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্র/পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে।
বিষয়: বিবিধ
৩৫৯৯ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগা রেখা গেলাম লোকমান ভাইয়া।
চেতনাবাজ আর স্বার্থপরতার বৃত্বে বন্দি স্বাধীনতার মর্ম আজ খুজে পেতেই হয়রান আমজনতা!
মেজর জলিলের সেই বানীই বাজে শুধু-"অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা!"
ইনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন সেটা মনে হয় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই ।
সেদিনই আমরা সত্যিকার বিজয়ের স্বাধ পাবো, যেদিন দেশের সকল নাগরিক তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন