দেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতির ছবি নিচে প্রদত্ত হল।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২১ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০১:৫৫ সন্ধ্যা
প্রিয় দেশবাসী আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে বাংলাদেশের মহান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রয়াত হয়েছেন। দুঃখের বিষয় হল মৃত্যু সংবাদের পরে মুসলমানেরা যে 'ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন' পড়ে তার বেলায়ও তা পড়া যাবে কিনা সে বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে আছি।
বিভ্রান্ত হচ্ছি এজন্য যে ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন পড়লে তার ধর্মনিরপেক্ষ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়কিনা তা ভেবে। হয়ত আপনারা আমাকে বে আক্কেল ভাবছেন। আমি কিছুটা বেআক্কেলই তবে এরকম সঙ্কায় ভোগার যথেষ্ট কারণ আছে।
সময়ের সাহসী সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমান তার এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, 'ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অলি আহাদ কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। গুণগ্রাহী, আত্মীয়-স্বজন শহীদ মিনারে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারিত্বের আড়ালে ইসলামবিদ্বেষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী সংস্কৃতিকর্মী নাসিরউদ্দিন ইউসুফ গং ফতোয়া দিলেন, নামাজ পড়ার ফলে শহীদ মিনার একেবারে অপবিত্র হয়ে গেছে। তাদের বিবেচনায় ধর্মীয় কোনো আচার-আচরণ ওই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ স্থানে পালন করা মহাপাপ! অথচ দিনের পর দিন মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানোতে, নানারকম মূর্তির আলপনা আঁকাতে, প্রবারণা পূর্ণিমা পালনে কোনো বাধা নেই। ভাগ্য ভালো যে, চিহ্নিত গোষ্ঠীটি গোবর জলে পুরো শহীদ মিনার ধুয়ে ফেলার বায়না করেননি। ইসলাম ব্যতীত সব ধর্মের প্রতি এসব আওয়ামী সমর্থকের পরম শ্রদ্ধা।
অতএব আমার বিভ্রান্তিতে ভোগাকে আপনারা একেবারেই অমূলক বলে উড়িয়ে দিতে পারেন না।
এবার আসা যাক শিরনামেঃ
২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে সরকার গঠনের পর থেকেই আওয়ামিলীগ তার ছক মত আগাচ্ছে। ছকের প্রথম ঘুটি ছিল পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিঞা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি নিজেকে অন্তরায় না করে অনেকটা অভিমানেই চলে গেছেন পরপারে। ঢাকায় তাকে দাফন করা হলে ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক বিভিন্না পালা পার্বনে স্ত্রী শেখ হাচিনাকে স্বামীর কবর জেয়ারত করতে হতে পারে যা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটার নামান্তর। সেই চিন্তা থেকেই তাকে প্রত্যন্ত গ্রামে দাফন করা হয়েছে কিনা জানিনা।
দ্বিতীয় ঘুটিঃ
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২১ জন খুণী সহ অসংখ্য দাগী অপরাধীকে ক্ষমা করে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন কিন্তু ভুক্তবোগী পরিবার গুলো বিষয়টা কিভাবে নিয়েছে বলতে পাবনা। ফেনির এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী হয়ত ভালো বলতে পারবেন। অতিশয় ভদ্রজন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানও জাতিকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন।
শেষ ঘুটির চালটা মনেহয় এভাবে হতে পারে যে বাকী সময়ের জন্য শেখ রেহানা প্রধান মন্ত্রী আর যার ছবি শেষে দিলাম তিনি ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট!
লও ঠ্যালা। বাঙ্গালীকে হাই কোর্ট দেখান নাকি এত সহজনা তেব হুজুগে বাংগালী কানে ধরে হাইকোর্টের মাজারে গিয়ে ফকির সেজে গাজায় টান মেরে ন্যাংটা হয়ে নাচে আর সুশীলরা দু'নয়ন ভরে দেখে এবার আমাদেরও দেখার পালা।
আশঙ্কাঃ জামায়াত নিষিদ্ধ, প্রথম শ্রেণীর কয়েক নেতার ফাঁসি কার্যকর, দেশটাকে ভারতের চারণ ভুমি বানানোর নীল নকশা কার্যকর।
ছেলে/নেতা তথা দলের অস্তিত্বের কথা চিন্তা করে বিএনপি বা জামায়াত যে কেউই সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে দেশ ও দেশের জনগণকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
বিষয়: রাজনীতি
৩২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন