বলে কয়ে বিল্পব হয়না।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১১ জানুয়ারি, ২০১৮, ০১:১৭:৪৬ দুপুর

বলে কয়ে বিল্পব হয়না। অনুমতি নিয়ে আন্দলন হয়না। যেমনটা বর্তমানে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ২০ দলীয় জোট করতে চাচ্ছে।

সময়ের প্রয়জনে তাবলীগও যে একদিন মাঠে নামবে সেটা আমি আঁচ করতে পেরেছিলাম ছাত্র রাজনীতির যখন হাতে খড়ি সেই ৯০এর দশকেই।

১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর যখন বাবরী মসজিদ শহীদ করা হল তার ঠিক দুইদিন পরে জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ইসলামী দল গুলো হরতাল ডেকেছিল। যে হরতাল ছিল ঐতিহাসিক।

তার আগে এবং পরে আমরা অনেক হরতালের পিকেটিং দেখেছি, এবং অংশগ্রহনও করেছি। হোকনা তা কেয়ারটেকারের দাবীতে বা কেয়ারটেকার পরবর্তি গণতণত্র পূণ প্রতিষ্ঠার দাবীতে, কিন্তু বাবরী মসজিদ আর তসলিমা নাসরিন ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের ডাকা হরতালের মত স্বতস্ফুর্ত হরতাল আর দেখিনি।

সেই দুই হরতাল ১৯৭৫ এর ৭ই নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিল্পবের কথাই স্বরণ করিয়ে দিয়েছিল।

ইসলামপন্থীদের ডাকা সেই হরতাল ছিল বিদেশী এবং স্বদেশী ইস্যুনিয়ে কিন্তু কোনভাবেই সরকার বিরোধী হরতাল ছিলনা তাই সরকার বাঁধা না দিলেও ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বামেরা তার বিরোধিতা করেছিল আর তাবলীগ জামায়াত ছিল একেবারেই চুপচাপ।

ফজরের নামাযের পরে ফার্মগেট স্পটে গিয়ে দেখি লোকেলোকারণ্য! সাদা জুব্বা আর সাদাটুপিতে বায়তুস শরাফ মসজিদ থেকে শুরু করে ফার্মগেট হয়ে তেজতুরিবাজার পর্যন্ত তিল্ধারণের ঠাই নেই।

এই স্পটটা নির্ধারীত ছিল জামায়াত শিবিরের লোকদের জন্য এবং কওমী ঘরানার লোকদের জন্য ছিল মালিবাগ স্পট।

সকাল আটটার দিকে কাওয়ারন বাজার এলাকা থেকে নাস্তিক মোরতাদ সেকুলার ভারতের দালালেরা হরতালের বিরোধিতা করে একটা মিসিল নিয়ে আসছিল ফার্মগেটের দিকে।

সাথে সাথে তৌহিদী জনতা তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রীনরোড হয়ে কাঠালবাগান পর্যন্ত পৌছে দিয়েছিল। পুলিশ সেদিন টিয়ারসেল ব্যবহার না করলে হয়ত ঐ দালালদের বুড়িগঙ্গায় ঝাপ দিতে বাধ্য করত।

যে কথা বলার জন্য এই স্মৃতিচারণ তাহল সেদিন আমার পরিচিত কয়েকজন তাবলীগের একাধিক চিল্লার সাথীকে দেখেছি বিল্পবী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে অন্যন্য ভূমিকা পালন করতে। অতটা জজবা আমি শিবিরের ছেলেদেরতো বটেই কোন কওমি ছত্রের মধ্যেও দেখিনি।

তাদের সেদিনকার সাহস তৎকালীন প্রতিরোধী সংগঠন যুবকমান্ডকেও হার মানিয়েছিল। সেদিনই ভেবে ছিলাম মানুষ তাবলীগকে যতই তিরষ্কার ক্রুকনা কেন তারা সময়ের প্রয়জনে অবশ্যই জ্বলে উঠবে।

আজ আমরা তাদের সেই সুপ্ত স্ফুলিঙ্গকে আবার স্পার্কিং করে জ্বলে উঠতে দেখলাম, কিন্তু হায় আফসোস এটা নিজেদের বিবাদের কারণে না হয়ে যদি ইসলামকে বিজয়ী করা এবং দেশ ও দুনিয়ায় ইনসাফ প্রতিষ্টাহর জন্য হত তাহলে কতইনা ভালো হত?

তার পরেও আশাহত হওয়া উচিৎ হবেনা। তাদের এই সমস্যার আশা করি সুষ্ঠ সমাধান হবে এবং তাদের এই তেজদীপ্ত বিল্পবী ভূমিকা সময়ের প্রয়োজনে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগাবে ইনশা'আল্লাহ!

বিষয়: রাজনীতি

৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File