"দূর্নীতি দমন"
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:৪৩:৫৪ দুপুর
"দূর্নীতি দমন" কথাটা যতটা মুখরোচক এবং উপাদেয় ততটাই ক্ষাতিকর এবং বিষাক্ত।
ভাববেননা আমি দূর্নীতির পক্ষে বরং এর বিপক্ষেই আমার অবস্থান। ইংরেজীতে একটা কথা আছে, 'Prevention is better than cure'. দূর্নীতি দমনে এ কথাটা ১০০% প্রজোয্য। শুরুতেই দূর্নীতি নীয়ন্ত্রন করা না গেলে যখন সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে পৌছে যায় তখন তা নীয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়না।
সমাজের টপ টু বটম যখন দূর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পরে তখন কে কাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? মূলত এই সুযোগে দূর্নীতি আরো বেড়ে যায়। যাদেরকে দূর্নীতি নীয়ন্ত্রনের দায়িত্ব দেয়া হয় তারাই মহা দূর্নীতিবাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
দূর্নীতি নীয়ন্ত্রণের নামে স্থানীয় উদ্দক্তা শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের নীয়ন্ত্রন করা হয় আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশী বেনিয়ারা বিনিয়গের হাওয়াই মিঠাই নিয়ে দেশে প্রবেশ করে এবং তারাও একসময় মহাদূর্নীতিবাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কিন্তু ততক্ষণে দেশের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়।
তাছাড়া দূর্নীতি দমনের নামে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেশপ্রেমিক প্রতিপক্ষ শক্তিকে স্বমূলে ধ্বংস করাহয়। আমাদের মনে থাকার কথা ২০০৭-২০০৮এ সেনা শ্বাসনের সময় রাস্তা ঘাট হাট বাজার দখল মুক্ত করার নামে কিভাবে সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছিল। আসলেইকি তাতে দেশ দখল মুক্ত হয়েছিল? না হয়নি বরং প্রান্তিক আয়ের কিছু মানুষের নুন আর পানের দোকান ধ্বংস হয়েছিল এবং তারা পথে বসেছিল। কিছু দিন আগে দেখলাম বগুড়ায় সেই প্রান্তিক আয়ের খেটে খাওয়া লোকদের ব্যাটারী চালিত রিক্সা বুল্ডুজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে!
তাহলে দূর্নীতি দমনের উপায় কি?
হ্যা, উপায় অবশ্যই আছে। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (সঃ) সূদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন সেরকম সিদ্ধান্ত নেয়া যায় দূর্নীতির ব্যাপারেও। অর্থাত এ পর্যন্ত দূর্নীতির মাধ্যমে যে যা অর্জন করেছে তার একটা অংশ সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে দেয়া এবং ভবিষ্যতে দূর্নীতি না করার মূচলেকা নেয়া। এর পর এদের নিবির ভাবে মণিটর করা, তার পরেও যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি প্রতিয়মান হয় তাহলে তার সমুদয় সম্পদ রাষ্ট্রের নীয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়া।
যারা অন্যের বা সরকারী সম্পদ দখল করে রেখেছে তার ক্ষেত্রে একান্তই জরুরী না হলে সম্পদ ধ্বংস না করে তা সরকারী মালিকানায় নিয়ে নেয়া আর যদি তা ব্যক্তি মালিকের হয় তাহলে ইনসাফের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে ফেরত দেয়া।
বর্তমানে মুসলিমদের আত্মার সাথে যে দেশের নাম জড়িত, মুসলিম বলতেই সবাই যে দেশের নিরাপত্তা ও উন্নতি কামনা করে সেই দেশেও দূর্নীতি দমন শুরু হয়ে গেছে! শুধুকি তাই, সাথে বন্দুক যুদ্ধ ও হেলিকপ্টার দূর্ঘটনা! জানিনা শেষ পরিণতি কি? শাসকদের উচিৎ হবে ধিরে সুস্থ্যে সার্বিক কল্যাণ চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া। এমতাবস্থায় আমরা শুধু দুয়াই করতে পারি। হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন।
বিষয়: রাজনীতি
৮৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন