বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সাব্জেক্ট ভিত্তিক সমন্বতি পরীক্ষা জরুরী।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০১ নভেম্বর, ২০১৭, ০১:২২:০৫ দুপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে। এবিষয়ে ইউজিসি যে সুপারিশ করেছে তার সাথে ছাত্র এবং অভিভাবকদের সুপারিশও থাকা দরকার।
আগামিদিনের অভিভাবক হিসেবে আমার ভাবনা হল পরীক্ষা হওয়া দরকার সমন্বিত কিন্তু সাব্জেক্ট ভিত্তিক।
যে ছাত্র/ছাত্রী যে বিষয়ে পড়তে চায় সে শুধু সেই বিষয়ের জন্যই নির্দিষ্ট প্রশ্ন পত্রে ভর্তি পরীক্ষা দিবে এবং সিরিয়ালে সে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে তাকে সেখানেই ভর্তি হতে হবে। কোন ছাত্র যদি পছন্দনীয় সাব্জেক্টের চেয়ে প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধীকার দেয় তাহলে তাকে অল্টারনেটিভ সাব্জেক্টের জন্য চয়েজ দিয়ে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি তার নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে অল্টারনেটিভ সাব্জেক্টে আসন ফাঁকা থাকে তাহলে সে ভর্তি হতে পারবে অন্যথায় সে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাকে সেখানেই ভর্তি হতে হবে।
যেসব সাব্জেক্টে ছাত্র/ছাত্রী বেশী সেসব সাব্জেক্টে সেই অনুপাতে আসনও বাড়াতে হবে।
যেসব সাব্জেক্ট পড়ার ছাত্র/ছাত্রী কম সেসব সাব্জেক্টের জন্য আসন বরাদ্ধও কমাতে হবে। জোড় করে কাউকে দিয়ে কোন সাব্জেক্ট পড়ালে তাতে ভালো ফল পাওয়া যায়না।
আমার পছন্দের সাব্জেক্ট ছিল হিসাব বিজ্ঞান কিন্তু আমি ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে ছিলাম তাই আর খবরই নেইনি ওয়েটিং লিস্ট থকে আমাকে ডাকা হল কি না? কারণ ডাক পেলে হয়ত মার্কেটিং এ ভর্তি হতে পারব যা আমার পছন্দনীয় নয়।
হিসেব বিজ্ঞানে ভর্তি হলে একটু চেষ্টা করলে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু মার্কেটিং এ ভর্তি হলে সেকেন্ড ক্লাস পাব কিনা সে ব্যাপারেই আমার সন্দেহ ছিল। কারণ আমি এমনিতেই হিসেব বিজ্ঞান বুঝি কিন্তু মার্কেটিং আমার মাথায় ঢুকলেও মুখস্ত বিদ্যা জিরো।
সেজন্যই সাব্জেক্ট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা হওয়া দরকার এবং যারা পাশ মার্ক পাবে তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। আসন না থাকলে আসন বাড়াতে হবে। আর যে সব সাব্জেক্টে ছাত্র/ছাত্রী কম ভর্তি হবে সে সব সাব্জেক্টের আসন কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবলকে অন্য কাজে লাগাতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন