আসলেই কি তারা সহী নাকি মতলব্বাজ?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:৪২:২১ দুপুর
যে অভিযোগের জবাব তারা নিজেরাই জানে তার পরেও অভিযোগের উদ্দেশ্য কি সৎ না অসৎ সেই বিচার পাঠক বৃন্দের।
অভিযোগঃ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রহ করা যাবেনা।
যতটুকু যেনেছি তাতে উম্মুল মু'মিনিন আয়েশা (রাঃ), আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে জঙ্গে জামাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত উম্মুল মু'মিনিন আল্লাহর দরবারে তওবা করেছেন এবং হযরত আলী (রঃ)ও তাঁকে মাফ করে দিয়েছিলেন।
হযরত আমিরে মুয়াবিয়া (রাঃ) হযরত আলী (রাঃ) এর খেলাফত মেনে নেননি এবং তাঁর হাতে বায়াতও করেননি বরং তাঁর বিরুদ্ধে সিফফিন ও নেহরেওয়ানে যুদ্ধ করেছেন। এক পর্যায়ে আলী (রাঃ) গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। পরবর্তিতে আল্লাহর রাসূল (সঃ) প্রতিষ্ঠিত খেলাফত পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে আমিরে মোয়াবিয়া (রাঃ) মুলুকিয়াত বা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের(রাঃ), উমাইয়া শাসক হাজ্জাজবিন ইউসুফের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং মক্কায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ক্বাবা শরীফে আক্রমণ করে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের(রাঃ)কে হত্যা করে লাশ গাছের সাথে টাঙ্গিয়ে রাখে! তা দেখে হযরত আসমা বিন্তে আবুবকর(রাঃ) বলেছিলেন, 'হাজ্জাজ, তুমি আমার ছেলের দুনিয়া বরবাদ করেছ আর সে তোমার আখেরাত বরবাদ করেছে'।
হযরত হোসাইন (রাঃ) উমাইয়া রাজা ইয়াজিদ এর রাজতন্ত্র মেনে নেননি ফলে ইয়াজিদ বাহিনী তাঁকে কারবালার প্রান্তরে হত্যা করে।
এসব যুদ্ধ বিগ্রহ গুম হত্যার মধ্যে কোনটা হকের পক্ষে ছিল আর কোনটা হকের বিপক্ষে ছিল তা হাদিসের ভবিষ্যৎ বাণির মাধ্যমে প্রমাণীত এবং দিবালোকের মত স্পষ্ট।
উপরোক্ত ঘটনার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে শাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া জরুরী যদি তা হকের পক্ষে হয়। যদি তা নাই হত তাহলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাঃ) হাজ্জাজ বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে যেতেন না এবং হযরত হোসাইন (রাঃ) ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন না।
এমন দৃষ্টান্ত থাকার পরেও যারা নিজেদের সহীহ হাদীসের অনুসারী বলে দাবী করে কিন্তু দৃষ্টান্ত দেয় হাদীসকে পাশ কাটিয়ে তাদের আচরণই বলে দেয় আসলে তারা কতটা হাদীসের অনুসারী আর কতটা মতলববাজ।
বিষয়: রাজনীতি
৯৫৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওদের সাথে তরকে জড়িয়ে সময় নস্ট ছাড়া আর কোনো লাভ হয়না। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ।
"ক্ষমতায় যারা আছে তাদের টেনে নামানো যাবে না" - এটি আবার আকিদার অংশ।
বিষয়গুলো খুবই ভাবায়।
উমাইয়া খিলাফাত উৎখাত করে আব্বাসীদের আনতে যে আন্দোলন হয়েছিল তা ৩২ বছর ধরে গোপনে প্রক্রিয়াধীন ছিল।
মানুষ চেষ্টা ছাড়া কি ফল লাভ করে?
"নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। (আল-কুরআন, 90:4)
মন্তব্য করতে লগইন করুন