১৯৪৭ এর ভারত বিভাগ কি ভূল ছিল?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৪৮:২৭ দুপুর
যারা মনে করে যে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ ভুল ছিল, তারা অন্তত আজকের কাশ্মীর ও আরাকানের মুসলমানদের দূর্ভোগ দেখে নিজেদের ভুল সংশোধন করে নিতে পারেন।
১৯৪৭ সালে যদি বর্তমান কাশ্মীর এবং আরাকান পাকিস্তানভূক্ত হত তাহলে আরাকান এবং কাশ্মীরের জনগণকে আজ অকাতরে জীবন দিতে হতনা, ধর্ষিতা হতে হতনা, সম্পদ হারাতে হতনা, চিকিৎসার অভাবে মরতে হতনা, সন্তানদেরকে অশিক্ষিত রাখতে হতনা।
আলেম সমাজ এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলিম জনতা আরাকারন এবং কাশ্মীরের মজলুমদের আজ যেভাবে সহায়তা করছে সেভাবে যদি ১৯৪৭ সালে সোচ্চার হত এবং তাদেরকে পাকিস্তানভূক্ত করতে পারত তাহলে হয়ত আজকের এ দিন দেখতে হতনা। দুঃখের বিষয় হল সঠিক বুঝের অভাবে আজকের রাহবারদের একটা বড় অংশ ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগেরই বিরোধীতা করেছিল। তারা পুরা ভারতীয়দেরকেই এক জাতি মনে করে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছিল।
আজকে যদি সেইদিনের জাতির সেই রাহাবারেরা বেচে থাকতেন তাহলে নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য নিজেরাই অনুতপ্ত হতেন আর যিনি সেদিন ভারতে মুসলিম এবং অমুসলিম দুইটি জাতির বসবাস বলে সঠিক ধারনা দিয়েছিলেন তাকে সাধুবাদ জানাতেন।
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় সারা ভারতের মুসলমানেরা যে কুরবানীর নজরানা পেষ করেছিলেন তা ইতিহাসে বিরল। বিশেষ করে যে অঞ্চলের মানুষ পাকিস্তানভূক্ত হতে পারবেনা জেনেও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন তাদের অবদান অবশয়ই প্রশংসার দাবীদার। যার মেধ্যে বিহার ও পূর্ব পাঞ্জাব অন্যতম।
১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের সময়কার ঘটনা নিয়ে দস্তান নামক একটা ড্রামা সিরিজ দেখেছিলাম যা দেখলে কোন মানুষই চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেনা। বর্তমান আরাকান এবং কাশ্মীরেও হয়ত একই ঘটনা ঘটছে।
কথায় আছে সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড়! ১৯৪৭এ গ্ণভোটের পরেও ব্রীটিস রাজ যখন পাকিস্তানের স্বাধীনতা না দেয়ার জন্য টালবাহানা করছিল তখন জিন্নাহ যদি ডাইরেক্ট একশানে না যেতেন তাহলে পাকিস্তানের স্বপ্ন, হয়ত স্বপ্নই থেকে যেত।
তখন যদি পুরা আলেম সমাজ পাকিস্তানের পক্ষ নিত তাহলে পুরা ভারতের চেহারাই হয়ত বদলে যেত। এতকিছু দেখার পরেও আজকের আলেম সমাজও শতধা বিভক্ত! যদি তারা এখনও এক মত না হতে পারে তাহলে মুসলিম উম্মাহর কপালে আরো দূর্ভোগ আছে।
বিষয়: রাজনীতি
৭৫০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২য় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন নিজেরা ফট্টুহারা হওয়া শুরু করলো , উপনিবেশিক দেশগুলো যখন একে একে স্বাধীন হয়ে যাচ্ছি তখন বৃটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য একে একে নিভে যেতে শুরু করেছিল ।
চিরকালের লুটেরা ইংরেজরা তখন বুদ্ধি খাটিয়ে এমন একটা উপায় বের করলো যাতে চলে গেলেও উপমহাদেশে তাদের নাক গলানোর সুযোগ সবসময়ই থেকে যায়। কাশ্মীর আর আরাকান হল তাদের নাক গলানোর ক্ষেত্র ।
চুক্তি ফুক্তি করে কিছু হয় না । হেডম থাকলে যুদ্ধ করে নিজের দাবী প্রতিষ্ঠা করে নিতে হয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন