গরুর মাংস আর শুয়োরের মাংস এক হাড়িতে রাম্না করে খেয়েছিলাম।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৪১:২৫ রাত
আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমরা কয়েকজন ক্লাশ মেট ও সিনিয়র ভাই মিলে গরুর মাংস আর শুয়োরের মাংস এক হাড়িতে রাম্না করে খেয়েছিলাম।
কোথাও নিষেধ না থাকলেও হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না। এটা এখন ধর্মীয় পালনীয় হয়েছে। মুসল্মানেরা শুকরের মাংস খায় না।
ধর্ম মানি ভাল ভাবে জীবন কাটাতে কিন্ত কোন ধর্মই মানুষের জীবনের বাহ্যিক সুখ এনে দিতে পারে নাই। --- Debabrata Halder
ধর্ম মূলত মানুষকে সুঃখ এনে দেয়ার জন্যই নিয়ম করেছে কিন্তু মানুষই নামানছে ধর্মের বিধান আর নামানছে রাষ্ট্রের বিধান। স্বার্থপর মানুষগুলোই ধর্ম এবং রাষ্ট্রের বিধানকে বিক্রিত করছে।
এইযে আপনি বললেন গরু এবং শুয়োরের মাংস একত্রে খেয়েছেন এটা হয়ত আপনার জন্য ঠিক আছে কারণ আপনার ধর্মে গরু এবং শুয়োর কোনটা খাওয়ায়ই মানা নাই কিন্তু মুসলিম এবং খ্রীস্টান উভয়ের জন্যই শুয়োর খাওয়া মানা।
গ্রু খাওয়ার আদেশ থাকার পরেও হিন্দুরা যেমন নিজেদের মত করে গরু খাওয়া হারাম করে নিয়েছে, তেমনি নিষেধ থাকার পরেও খ্রীস্টানেরা মদ শুয়োর খাওয়া নিজেদের জন্য হালাল করে নিয়েছে!
একইভাবে হারাম হওয়ার পরেও এক শ্রেণীর মুসলিম গোপনে মদ এবং শুয়োর খাছে আর প্রায় প্রকাশ্যেই শুয়োরের চেয়েও কঠিন হারাম সুধ, ঘুষ, খাচ্ছে। অবৈধ ভাবে নারী দেহ ভোগ করছে!
আপনার কাছে জানতে চাইঃ
যদি একশ্রেণীর মুসলিম নামধারীরা ধর্মীয় বিধান মেনে সুধ ঘুষ নাখেত জুয়া নাখেলত, খাদ্যে ভেজাল না দিত, ইভটেজিং না করত, অন্যের সম্পদ দখল নাকরত তাহলে কি সমাজে বাহ্যিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতনা?
হিন্দুরা যদি ধর্মীয় স্বীকৃতি থাকার কারণে গরুর গোস্ত খেত, তাহলে গরু খাওয়ার বাহানায় কি কোন মানুষ নির্জাতিত হত? মূর্তি বানিয়ে পূজা করা তাদের ধর্মীয় কেতাবে না থাকার কারণে যদি তারা এটা বাদ দিত তাহলে কি অনর্থক মূর্তি বানানর খরচ বেচে যেতনা?
আপনি কি এমন উদাহরণ দেখাতে পারবেন যে কোন ধর্মীয় কেতাবে অন্য ধর্মের উপর জুলুম করতে বলেছে? পারবেন না।
যারা নিজেরাই নিজেদের ধর্ম মানেনা তারাই বরং মানুষের উপর জুলুম করে আর রাষ্ট্রিয় বিচার থেকে বাচার জন্য ধর্মের আশ্রয় নেয়!
ধর্মের উৎস একই, তাই মূল কথাও এক, তবে কালের চাহিদা মোতাবেক আপডেট হয়েছে, আর সর্ব শেষ আপডেট হল মুহাম্মাদ (সঃ) এর মাধ্যমে আগত কুর'আন এবং সহীহ হাদীস।
এখন মানা নামানা যার যার নিজের ব্যাপার। মোহাম্মদ (সঃ)কে আল্লাহ বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাঁকে দারগা বানিয়ে পাঠান হয়নি যে তিনি শক্তির বলে মানুষকে ইসলাম কবুল করতে বাধ্য করবেন।
তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শুধু বিনা মূল্যে, বিনা পারিশ্রমিকে ধর্মের লেটেস্ট ভার্সন মানুষের কাছে পৌছে দেয়া।
বিনা মূল্যে লেটেস্ট ভার্সন পেয়েও যদি কেউ আপডেট না করে তাহলে আদালতে আখেরাতে তাকেই জবাব দিতে হবে। আর আমরা যদি দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েও লেটেস্ট ভার্সন আল্লাহর বান্দাদের কাছে না পৌছাই তাহলে আল্লাহর আদালতে আমাদেকেই জবাব দিতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করুন আর তার বিধান সবার কাছে পৌছানর তাওফিক দিন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৮০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন