সবার উপরে দেশ।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২০ মার্চ, ২০১৩, ১২:৩৮:৫০ দুপুর
আসলেই দেশটা সবার উপরে কিন্তু আমরা কতজন ভাবি সেই কথা? বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী সম্পর্কে পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথাই শুনেছি কিন্তু তার দেশপ্রেম নিয়ে মনের মধ্যে কোন প্রশ্ন উদিত হয়নি। ১৯৯১ সালে তিনি যখন ভারত থেকে স্বেচ্ছা নির্বাশনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে দেশে এসেছিলেন তার কয়েক দিন আগে আমার ঢাকায় আগমণ। পত্র পত্রিকায় তার ছবি দেখে তাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম।
আওআমি ঘরানার সন্তান হয়েও আওয়ামিলীগের প্রতি আমার ভালবাসা ততদিনে উবে গিয়েছিল কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী যখন আওয়ামীলিগের টিকিটে নির্বাচন করলেন তখন ব্যথিত হয়েছিলাম বটে তবে তার প্রতি অশ্রদ্ধ হইনি। পরবর্তিতে তিনি যখন আওয়ামিলীগ ছেড়েছেন তখন বুঝতে পেরেছিলাম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝেন। তিনি আর দশজনের মত সুবিধাবাদী অন্ধ রাজনীতিক নন।
যেদিন ঢাকায় তার জনসভায় আওয়ামি বজ্জাতেরা হামলা চালিয়েছিল সেদিন দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়েছিলাম। আজও যখনই তার প্রতি কেউ কটুক্তি করে তখন সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যায়।
তিনি যে রাজনীতি করেন তা যে দেশের জন্য তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। যদি তাই নাহত তাহলে শত রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে তিনি দিগন্ত টিভিতে সবার উপর দেশ অনুষ্ঠান করতে পারতেন না। অনেকেই বলে থাকে যে দিগন্ত তাকে কিনে ফেলেছে কিন্তু আমি বলব বিক্রি হওয়ার মত শস্তা পণ্য বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী নন আর তিনি যদি বিক্রিই হবেন তাহলে দিগন্তের কাছে কেন? বরং যারা মুক্তিযুদ্ধের লেবাস গায়ে প্রতিষ্ঠিত চ্যানেল নিয়ে বসে আছে তাদের কাছেই আরো চড়া দামে বিক্রি হতে পারতেন।
তিনি যেহেতু বিক্রি হননি এবং আজীবন সত্যে সাধক এবং দেশ ও ধর্মের পক্ষে আপোষহীন তাই বাধ্য হয়েই সত্য প্রকাশের খাতিরে তিনি দিগন্ত টিভিতে সবার উপর দেশ অনুষ্ঠান করছেন।
স্যার আপনার সাহসীকতার জন্য আপনাকে স্যালুট আশা করি দিগন্তে প্রচারিত সবার উপর দেশ অনুষ্ঠানটা আমৃত্যু চালু রাখবেন।
শেষে ছোট্ট একটা অনুরোধ করব সেটা হল আপনার অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ করবেন যারা গলাবাজিতে অভ্যস্ত। আপনার সামনে আমরা গলবাজদের গলায় কতটা জোড় তা দেখতে চাই।
শ্রদ্ধেয় স্যার পিয়াস করিম ও আসাফুদ্দৌলারা এমনিতেই দেশ ভক্ত এবং সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী তাই আপনার সাথে সুর মেলানর জন্য তাদের দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা। বরং গলাবাজদের গলার জোড় কতটা আমরা তা দেখতে চাই।
স্যার আমাদের স্বাধীনতা স্বাধীনতার ইতিহাস এবং গৌরবউজ্জল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ সবচেয়ে বেশী মজলুম আশা করি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবেন। ইতিমধ্যে অনেক স্বাধীনতা বিরোধীই মুক্তিযুদ্ধের আলখেল্লা পড়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে। এমনটা চলতে থাকলে আমরা আর আসল মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে পাবনা।
স্যার, নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারের যাত্রী হওয়া থেকে আপনিই বাচাতে পারেন। নাহলে অন্ধকারে কালো বিড়াল খোজার মত করে আমরা মুক্তিযোদ্ধা খুজব কিন্তু যাদের পাব তারা আদৌ মুক্তিযোদ্ধা নয়।
আপনাকে সশ্রদ্ধ সংগ্রামী সালাম।
আল্লাহাফেজ।
বিষয়: রাজনীতি
২৫৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন