৭১ এর ভূমিকার জন্য জামায়াতের কি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে নাকি দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রকাশ্যে শপথ নিবে?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৬ জুলাই, ২০১৬, ০৮:১৩:৪১ রাত
৭১ এর ভূমিকার জন্য জামায়াতের কি জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ না দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জামায়াতের জাতির সামনে শপথ নেয়া উচিৎ?
ইনিয়ে বিনিয়ে যারা কথা বলে তার আর যাই হোক রাজনৈতিক বোদ্ধা কিনা বা সত্য গোপনের ব্যার্থ চেষ্টা করছে কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যায়।
দেশের দুজন খ্যাতিমান বুদ্ধিজিবী ও রাজনৈতিক বোদ্ধা ইতিহাসবিদ ও মহান মুক্তিযোদ্ধা ইনিয়ে বিনিয়ে জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্বকে জাতির কাছে ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে উপদেশ খয়রাত করেছেন!
ইনিয়ে বিনিয়ে এমন প্রস্তাব রাখায় সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পেরেছেন এটা খ্যাতিমান বুদ্ধিজিবী এবং রাজনৈতিক বোদ্ধাদ্বয়ের মনের কথা নয়। কারণ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে মনের কথা এত ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে হয়না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতির বিবেকদের কাছ থেকে জতি সোজাসাপ্টা কথাই কামনা করে। কিন্তু তারা সেটা বলতে পারেননি। নিশ্চয়ই এই না বলতে পারার পিছনে কোননা কোন কারণ আছে।
জামায়াতকে তারা যদি এই উপদেশ ১৯৭২ সালেই দিতেন তাহলে ভালো করতেন। আর তারা যদি জামায়তকে দিয়ে কাজটা ৭২/৭৩ বা ৭৫এর মধ্যেই করিয়ে নিতে পারতেন তাহলে জাতি হয়ত এতটা বিভক্ত হতনা।
যে আসঙ্কার কারণে জামায়ত ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধ অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেই শঙ্কা যখন আরো বেশী দৃশ্যমান তখন জামায়ত জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে বলেতো মনে হয়না বরং তৃপ্তির ঢেকুর কাটে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
দেশের তাবৎ রাজনৈতিক বোদ্ধারা যে সত্য এখন উপলব্ধি করছে তা গুটিকয়েক জামাত নেতারা সেই৭১এই বুঝতে পেরেছিল বলে তারা মনে করে এবং তাই বর্তমান বাস্তবতার কাছাকাছি।
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বতো জামায়াত সেই ৭১এর ১৬ই ডিসেম্বরই মেনে নিয়েছে এবং তাকে রক্ষা এবং অর্থবহ করার জন্য তারতো সেই দিনই শপথ নিয়েছে এতএব এ বিষয়ে কোন প্রশ্নই থাকতে পারেনা। তবে হ্যা জনাব জাফর উল্লাহ চৌধুরী এবং এমাজ উদ্দিন স্যার যদি জামায়াতকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবীতে জাতির সামনে শপথ নিতে বলেন তাহলে জামায়াতের তা এক বাক্যে মেনে নেয়া এবং সেই ঘোষণা বার বার দেয়া দরকার। কারণ যে জন্য তারা ৭১এ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়নি সেই একই কারণে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ সবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দরকার আর জামায়াত তথা ইসলামী আন্দলনের নেতা কর্মীদের একটু বেশীই দরকার।
অতএব, একবার নয় বার বার তাদেরকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করতে হবে। প্রতিটি সভা সমাবেশ, সাংবাদিক সম্মেলন, গোল টেবিল বৈঠক এমনকি প্রতিটি বক্তৃতা বিবৃতিতেই তা উল্লেখ করতে হবে এবং স্বাধীনতা রক্ষার ব্যপারে তাদের ভূমিকায় যেন জাতি আস্বস্ত হয় কাজে কর্মে তার বাস্তব উদাহরণও জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৩২ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"বুদ্ধিজীবি"রাই যখন বিবেক প্রতিবন্ধী তখন জনসাধারণকে আর দোষ দেই কেমনে!!
এমন "বুদ্ধিজীবি" থাকলে বিএনপিকে আর দাঁড়াতে হবেনা!!
এক একজন বুদ্ধির ঢেকি আর কি?
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
যে দলের এতগুলো নেতা ফাঁসিতে মরল, শত শত তরুণ-যুবককে পুলিশী নির্যাতনে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারল! তাদের নিকট থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে একটি কথা বের করতে পারলনা। হাজার হাজার যুবক জেলের ঘানি টানছে, ক্ষমা চাওয়াই যদি সমাধান হত তাহলে কাউকে না কাউকে ক্ষমা চেয়ে সমাধানের দিকে ধাবিত হতে দেখা যেত।
তাছাড়া যারা ক্ষমা চাওয়ার তারাতো মরেই গেছে, যারা বেঁচে আছে তারা কোন গরজে ক্ষমা চাইবে কেননা যাদের নিকট ক্ষমা চাইবে তারা নিজেরাই ভারতের কেনা গোলামে পরিনত হয়েছে।
বরং দেশ বিক্রির কারণে তাদেরকেই অচিরেই জাতির নিকট উল্টো ক্ষমা চাইতে হবে! বর্তমান দেশে ক্ষমার মাধ্যমে কোন সমাধান নাই। সমাধান একমাত্র প্রতিবাদ ও গনপ্রতিরোধে। পারলে সেটা করুন নতুবা তারা খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিতে পারে যে, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে অতিস্বত্বর দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যাতে কাজ করেন। যদিও তারা সেটাও করতে পারবে বলে মনে হয়না।
ধন্যবাদ।
যতই পাকিস্তান রক্ষায় কাজ করুক না কেন তাদের কাজ পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যথ্থানের বিপরীতে গেছে ।
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন না হতে পারলে
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোকদের কি ক্ষমা করে দিত পাকিস্তান ?
জামায়াতের লোকদের উচিত ছিল যুদ্ধের পর পরই পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়া । পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় তারা শত চেষ্টা করেছিল বলে পাকিস্তান তাদেরকে বীর হিসেবেই অভ্যর্থনা দিত।
আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের পর পরই আগের সরকারের লোকদের পশ্চিমা দেশে এসাইলামের আবেদন খুব জনপ্রিয় একটা ট্রেন্ড । জামায়াত তো ৭১ এ ইসলামের পক্ষে কাজ করেছিল বলে থাকে ! আরব দেশগুলোও তাদেরকে বুকে টেনে নিত। আমেরিকা চায়নাও তো সে সময়ে পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল !
যেহেতু সেটা আর হচ্ছেই না তাই জামায়াতের তরুন পোলাপানেরা এই কাজ করতে পারে । ক্ষমা চাইলে সেটা বরং জামায়াতের জন্য সুদূরপ্রসারী লাভজনক হবে । এবং এতে চেতনা নিয়ে ব্যবসা করা পার্কস্ট্রীটের যোদ্ধারা ধরা খেয়ে যাবে । তারা চায়ই যে - জামায়াত যেন কোনভাবেই ৭১ এ কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা না চায় । এতে তাদের চেতনার এই বিশাল লাভজনক ব্যবসা চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমা করতে জানে । জামায়াত কিন্তু সাধারণ নির্বাচনে ১৭/১৮ টা পর্যন্ত আসন পায় । এ ভোট তাদেরকে যারা দেয় তারা বাংলাদেশেরই নাগরিক । ক্ষমা চাওয়ার ভাগেই যদি এত আসন পায় তাহলে ক্ষমা চাইলে সেটার সংখ্যা না বাড়ার কোন কারণই নেই ।
কিন্তু বোকা + দাম্ভিক + মাথামোটাদের এই বুঝ কারা দেবে ? তাদের কচি পোলাপানরাও নিজেদের মাথামোটা করে ফেলেছে ।
এই মাথামোটা জামায়াতকেই চায় আম-বাম-রামেরা।
এটা এমাজউদ্দিন স্যারদের মত হাই প্রোফাইলের লোকদের বলা লাগে না , সাধারণ মানুষও সেটা বোঝে ।
আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে ভালবাসেন না আর জামায়াত ৭১ এ নিরীহ মুসলমান ভাইদের হত্যা করেছে বা করতে সাহায্য করেছে যেটা আল্লাহর কালামের সম্পূর্ণ বিপরীত।
ক্ষমা চাওয়াটাই জামায়াতের জন্য একমাত্র অপশন যদি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গাতেই কামিয়াবী পেতে চায় ।
পার্কস্ট্রিটের যোদ্ধারা গলাবাজি করবেই কিন্তু যাদের বিবেক আছে তার প্রকৃত সত্য উপলব্দি করবে আর যারা বধির তারা জিব্রাঈলের সিংগার ফুতকারও শুনবেনা।
সব কাজেরই একটা সময় থাকে। ৭১/৭২এ ক্ষমা না চেয়েই যেখানে টিকে গেছেন সেখানে ২০১৬তে এসে যখন তাদের অনুমান গুলো একে একে সত্যে পরিণত হচ্ছে তখন ক্ষমা চাওয়া বোকামী ছাড়া আর কিছুই না বরং গর্ব করার সময় এসেছে।
ধন্যবাদ।
জামায়াতের ল্যাকিংস সবাই দেখে , দেখতে পায় না তাদের পোলাপানেরা ।
অনেক সময় দূর থেকে যে জিনিস দেখা যায় সেটা কাছ থেকে নাও দেখা যেতে পারে ।
জামায়াত মুজিব-জিয়ার বদন্যতায় টিকে গেছে । ভাল মনে উনারা জামায়াতকে সুযোগ দিয়েছিলেন । এটা উনাদের ভুলই ছিল । দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষলে সুযোগ পেলে সে কিন্তু আপনাকে কামড়াতে কসুর করবে না । এটা তার স্বভাব ।
আপনাদের বোধদয় হতে আরও ইভেন্ট প্রয়োজন আছেকি?
যারা দেশের অভ্যুথ্থানের বিরোধীতা করেছে তারা এখন ক্ষমতার বাইরে । দেশকে নিয়ে তাদের মাথা ঘামানো অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয় ।
পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন বলে পাকিস্তান আপনাদের নিজামীকে বাহবা দিয়েছেন । ৭১ এর পর নিজামী এদেশেই রাজনীতি করেছেন , সাথে সাঙ্গপাঙ্গও গড়ে উঠেছে । কিন্তু নির্বাচন আসলেই ১৭/১৮ টার বেশী আসন পায় না । কায়দা মত জনগনের কাছে হালকা থেকে মাঝারি দাওয়াই খায় । বেইমানিও যার জন্য করে তার কাছেই প্রবল মাইর খায় ।
তবুও - ''ভেঙ্গেছিস কলসির কানা , তাই বলে কি প্রেম দিব না ?'' এই নীতি জামায়াতের কাছে খুব প্রিয় একটা বিশেষ দলের জন্য । বেইমানদের কেউ বিশ্বাস করে না , এমনকি তার বন্ধুরাও না।
জামায়াতের কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা নিয়ে এরশাদের দল এমন কি বিএনপির কিছু লোককে ভাগিয়ে নিয়েও মন্ত্রীত্ব দিয়েছিল । আসম বরও মন্ত্রীত্ব পেয়েছিল। আর বিএনপি এদেরকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে আজ মসনদচ্যুত । কোনদিনও আসতে পারবে কি না সন্দেহ আছে ।
জামায়াতকে নিয়ে তাই বিএনপি এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন