জংলি মশার কামড়ে বাংলাদেশের একনম্বর নায়ক সাকিব ও তার দুই বান্ধবীর ঘটনা স্থলেই সলীল সমাধি! (গল্প)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০৪:২৪:৫৭ বিকাল
জংলি মশার কামড়ে বাংলাদেশের একনম্বর নায়ক সাকিব ও তার দুই বান্ধবীর ঘটনা স্থলেই সলীল সমাধি!
আলু মতির আনিচোরের বিবরণে প্রকাশ যে অপু এবং কলকাতার শ্রাবন্তীকে নিয়ে গাজীপুরের গজারি বনে শুটিং করতে গিয়েছিল শাকিব। সাথে ক্যামের থাকার পরেও পরিচালক সরোয়ার ফারুকী ওরফে বেঞ্জিন এর নির্দেশে ক্যামেরা এবং ফোকাস লাইট একশানে যায়নি।
গাছের চিপায় বসে আলো আধারীতে তারা যখন একে অন্যের দিকে হাত বাড়াচ্ছিল তখন মিনি স্কাট পরে থাকায় অপু আর শ্রাবন্তির হাটুর এক বিঘত উপরে যে পর্যন্ত স্কাট নেমেছে তার সামান্য নিচে জংলি মশা শূল ফুটিয়ে দিয়েছে। মশার কামড়ে তাদের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তখন তারা সাকিবকে নিজের প্রাণ নিয়ে চলে যেতে বলেছিল যাতে তাকেও জংলি মশার কামড়ে প্রাণ হারাতে না হয়। কিন্তু সাকিব তার নায়িকাদের এভাবে মৃত্যুর মুখে ফেলে পালিয়ে যেতে পারেনা, শত হলেও সে অতিথি পরায়ণ বীর বাংগালী সর্বপরি বাংলা সিনেমার নায়ক!
সাকিব যখন বান্ধবিদের রেস্কিউ করার চেষ্টা করছিল জংলি মশাগুলো তখন হুঙ্কার ছেড়ে তার কানের কাছে ভোন ভোন করছিল। দুই বান্ধবীকে একা রেস্কিউ কারার ধস্তাধস্তিতে তার প্যান্ট কিছুটা লুজ হয়ে নিচের দিকে নেমে যায় আর এই ফাকে সন্ত্রাসী জংলি মশা তার নাভির চার আঙ্গুল নিচে যেখান পর্যন্ত প্যান্ট নেমে গেছে ঠিক সেই জায়গায় হূল ফুটিয়ে দেয়, অমনি বান্ধবীদের সাথে সেও অক্কা পায়।
মুহূর্তের মধ্যে শাকিবের এই সেক্রিফাইসের কথা বাংলাদেশের একনম্বর হলুদ মিডিয়া আলু-মতির আন্ডার এডিটর আনিচোরের কাছে এসে পৌছায় এবং সে সাকিবের এই বীরত্ব গাথা রশিয়ে রশিয়ে লিখে পুরা জাতিকে জানিয়ে দেয়, ফলে জাতি আবেগ প্রবণ হয়ে সাকিবের বীরত্ব গাথা প্রচার করতে থাকে। জংলি মশার কামড়ে মারা যাওয়া অন্যদের দাফন না হলেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের সাথে সাকীবের দাফন সম্পন্ন হয়।
.
এদিকে নায়ক অনন্ত জলিলের ভক্তরা ঘটনাকে সাজানো বানোয়াট বলে উল্লেখ সামাজিক মিডিয়া তোলপাড় করে ফেলছে। অনন্ত জলিলের ভক্তদের দাবি, শাকিবকে হলিউড বলিউডের নিকট গ্রহণযোগ্য করতেই এই কাল্পনিক গল্প প্রচার করছে শাকিব ভক্ত আলু-মিতির আনিচোরেরা। তারা প্রশ্ন করছে, ইফতারের পর দুই নায়িকা নিয়ে শাকিব শূটিং এর নামে জঙ্গলে গিয়েছিল কি করতে? লাইভ ক্যামেরা থাকার পরেও সেগুলো চালু করা হয়নি কেন? আর জঙ্গলি মশার কামড়ে যখন সবাই মারা গেছে তখন আনিচোরের কাছে ঘটনা বল্লইবা কে?
এসব যৌক্তিক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে আনিচোর যা বলছে তা হল লং স্কাট পরা মেকাপওয়ালীকে জংলি মশা কামড়াতে পারেনি তাই সে জঙল থেকে বেড়িয়ে এসেছিল এবং ভাগ্যগুণে আনিচোরের গাড়ির সামনে হাত তুলে সাহায্য চেয়েছিল। লং স্কাটের উপর চোস্ত টপস পরা মেকাপওয়ালিকে আনিচোর নিজের পাশের সিটে বসিয়ে যখন মেকাপের ঘ্রান নিচ্ছিল তখন তার গড়ম নিঃশ্বাসে আবেগাপ্লুত হয় মেকাপওয়ালি নিজের অজান্তেই এই ঘটনাটা বলে দিয়েছিল। মেকাপের উগ্রগন্ধ আর চোস্ত টপসের সৌন্দর্যে আনিচোর এতই বিমহিত ছিল যে কখন সে সাত রাস্তা হয়ে এফডিসের সামনে দিয়ে কাওরান বাজারে পত্রিকার অফিসে এসে পৌছেছে তা টেরও পায়নি। সম্বিৎ ফিরে পেয়ে ড্রাইভারকে অতিথির কথা জানতে চাইলে সে এফডিসির গেটে নেমে গেছে বলে জানতে পারে। আনিচোর যেহেতু বেঘোরে মেকাপোয়ালির মেকাপের ঘ্রাণ নিচ্ছিল আর চোস্ত টপসের সৌন্দর্য উপভোগ করছিল তাই তার নাম ঠিকানা নেয়া যায়নি বলে পত্রিকায় যে গল্প ফেদেছে তাতেও উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।
তবে যে যা-ই বলুক শাকিবের এই বীরত্বগাঁথা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং আনিচোরের গল্পও আলোচিত সমালোচিত হচ্ছে। এমনকি শ্রদ্ধেয় কবি সাহিত্যিক কলামিস্ট দার্শনিক ফরহাদ মজহার সাহেবও এব্যাপারে কলম ধরেছে।
শ্রদ্ধা ভরে প্রতিটা চলচ্চিত্রপ্রেমী বলছে, এফডিসির প্রতিটি গলিতে জন্ম নিক একেকটা শাকিব। আর জংলি মশা নিধনের জন্য দাগানো হোক কামান, এমনকি জংলি মশা খুজে বেড় করার জন্য প্রয়োজনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' কে কাজে লাগানো হোক।
কৃতজ্ঞতা কাউসার
বিষয়: সাহিত্য
১৫১৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানুষ মারা মহা পাপ
চোরা নাটক ফাঁস হইয়া যাওনের পর ও মতি আলু চলে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন