ইরাণ তুরাণ বাংলা হয়ে কাবার পথে!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৪ জুন, ২০১৬, ১০:৩৯:৪১ রাত
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নব্বইর দশকে একবার বলেছিলেন তার পূর্বপুরুষগণ ইরান থেকে এসেছেন।
তার কথা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে খতিয়ে দেখা দরকার, তারা কি সুন্নি ছিল না শিয়া?
তার আচার আচরন আর জুলম নির্যাতন, আসাদ সমর্থক শিয়াদেরও হার মানাচ্ছে। এমতাবস্থায় শিয়া বিরোধী সালাফী সরকারের সাথে তার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে শতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
ইরান-রাশিয়া অক্ষশক্তির সাথে তার বেশ দহরমহরম, তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান।
অবশ্য গুজরাটের কসাই আর বাংলাদেশের ইসলামী আন্দলনের নেতাদের হত্যার রূপকার, মোদীই যখন সর্বোচ্চ পুরুষ্কার পেয়েছে তখন আমরা আশাহত না হয়ে আশাবাদী হই কি করে?
লহিত সাগরের ওপারের নরঘাতকেরা হাজারে আসোয়াদে চুমু খেয়ে নাকি গুনাহ মাফ করিয়ে নিয়েছে, তেমনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও গতকাল হাজারে আসোয়াদে চুমু খেয়ে গুনাহ মাফের কোসেস করেছে, তাই সে এখন নিজেকে পুতপবিত্র দাবী করতেই পারে।
পুরুষ্কার হিসেবে যেমন লহিত সাগরের উপর ব্রীজ হচ্ছে তেমনি বঙ্গব সাগরের উপর ব্রীজ নির্মানের ঘোষণা না হোক পদ্মাসেতুর জন্য অর্থ আদায় করে নেয়া বেশী কিছুনা।
মিশরের সিসি, আর গুজরাটের মোদী পুরুষ্কার পেলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একই কাজের জন্য পুরুষ্কার পাবেনা কেন? যদি তাকে পুরুষ্কার না দেয়া হয় তাহলেই বরং অবিচার করা হবে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী অবিচার পাক আর সুবিচার পাক সেটা বড় কথা না। আমাদের মনে যত আঘাতই লাগুকনা কেন, আমরা পরোয়া করিনা। আল্লাহর রাসূল (সঃ), তাঁর ঘর আর মক্কা মদীনাকে ধারণ করে যে দেশ ধন্য সে দেশকে আমরা নিস্বার্থভাবে ভালোবেসেই যাব, তা কেউ ঠেকাতে পারবেনা ইনশা'আল্লাহ। তবে শুধু মানুষ গুলোকে চিনে রাখব যাতে আদলতে আখেরাতে তাদের পুরুষ্কার স্বচক্ষে দেখতে পারি সাথে সাথে তাদের সমর্থকদেরও।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪২ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রমাদানের প্রস্তুতি নিয়ে চলছে ব্লগ আয়োজন। ২ জুন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ পর্বের ব্লগ আয়োজনের ১ম পর্ব। অংশ নিতে পারেন আপনিও। নিজে জানুন, অন্যকে জানান। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
সবাই শুধু ক্ষমতার পাগল। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে যখন যার সাথে দহরম দরকার তা করতে বিশ্বের মুসলমান নামের শাসকদের একটুও বাধে না। কারণ তারা ঈমান দ্বারা নয়, লালসা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
ধন্যবাদ।
আপনারা ফ্রন্ট লাইনে থাকলে নিজামী-কাসেম ভাইদের হাসুবুর এরকম তোপের মুখে পড়তে হত না । উনাদের নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে রেখে আপনারা স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকতেন । এন্তার রান উঠাতে পারতেন দলের জন্য...
অন্তরের অগ্নিগিরির উত্তাপ তো হাউজে কাউসারের পানি ছাড়া শীতল হবার নয়!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আল্লাহ যেন হাউজে কাউসারের পানি দিয়ে আমাদের শহীদদের রক্তের দাগ ধুয়ে দেন এবং আমাদের সকলকে হাউজে কাউসারের পানি পান করার সুযোগ দেন। আমিন।
আপনাকেও ধন্যবাদ মুহতারাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন