হালকা নাড়াচাড়া টেরপেলেও আমরা অনেকেই ডাক শুনিনা!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৩৬:২২ রাত
হালকা নাড়াচাড়ায়ই সবাই বিল্ডিং ছাড়া, অথছ যিনি নাড়াচাড়া দিলেন তার পক্ষ থেকেই যখন মুয়াজ্জিন ডাকছিলেন, 'হাইয়ালাস সালাহ, হাইয়ালাল ফালাহ, নামাজের দিকে আস, কল্যাণের দিকে আস' তখন সেই ডাকে কেউ সাড়া দেয়ার প্রয়োজন মনে করলনা বরং সবাই বিল্ডিং এর ভিতরে চলে গেল!
হ্যা, বাস্তব অভিজ্ঞতায় এমনটাই দেখলাম আজ। সবে এশার আজান হয়েছে তাই নামাযের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলা, অমনি ভূমিকম্প অনুভুত হল। সিদ্ধান্ত নিলাম টুপি পাঞ্জাবী নিয়ে মসজিদের দিকেই রওয়ানা দেই। ইতিমধ্যে বাচ্চারা বের হয়ে গেছে, স্ত্রীও যাই যাই ভাব কিন্তু আমাকে ফেলে যেতে পারছেনা। আর আমি আছে টুপি পাঞ্জাবীর খোজে!
টুপি পাঞ্জাবী নিয়ে দড়জার কাছে যেতে যেতে স্ত্রীও স্বামীর মায়া ছেড়ে নিজের প্রাণ নিয়ে বের হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ভিতরেই বসে রইলাম। অবশ্য ততক্ষণে ভূমিকম্প থেমে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
ভূমিকম্প থেমেগেলে, আমি যখন মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম তখন সবাই বাহির থেকে বিল্ডিং এর ভিতরে প্রবেশ করছিল অথছ তখন পার্শ্বর মসজিদে এশার নামায শুরু হতে যাচ্ছে। মসজিদের কাছে গিয়ে আরো আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, যে সব দোকানী ভূমিকম্পের কারণে দোকান বন্ধ করে রাস্তায় নেমে পরেছিল তারাও দোকান খুলে আবার পসরা সাজিয়ে বসছে, অথছ পাশেই মসজিদে নামায শুরু হয়ে গেছে।
হে আল্লাহ! এই গাফেল জাতিকে হেদায়েত দাও এবং সবাইকে তোমার দিকে রজু করে দাও। আজকের এই সংকেত যেন তাদেরকে আগামীকালের নববর্ষের শিরক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে একমাত্র তোমার এবাদত করতে সায়ক হয় সেই তাওফিক দাও।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৫ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এর আগে হয়েছিল ফজরের আগে, কিন্ত নামাজ ফেলে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের ধুম পড়ে গেছে। এমনি হয়রে ভাই!
জাযাকাল্লাহ..
কিন্তু জাতির/আমজনতার অভিব্যক্তি অনেকটা এ রকম-
বিপদ কেটে গেলে সবাই বীর বাংগালী!
হুম! সর্বস্তরে যদি তারা দীন কায়েম করতে পারত তাহলে তারা দুনিয়ার বুকে ইসলামের মডেল হতে পারত কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সর্বস্তরে এখানেও দীন কায়েম নেই।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন