ধারাবাহিক গল্পঃ সোনার হারিণঃ (পর্ব - ০১)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৩৭:০৭ রাত
০১
দক্ষিণ বঙ্গের নদী বিধৌত জেলা ঝালোকাঠি। সেই জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে খেটে খাওয়া মা বাবার কুঁড়ে ঘরে চাঁদ মুখ নিয়ে যে ছেলেটি কিছুক্ষণ আগে দুনিয়ায় এসেছে মা-বাবা আদর করে তার নাম রেখেছে আলাল। দিন যায়, রাত যায়, আলাল বড় হয়। বড় হতে হতে আলালের বয়স যখন ১৫ বছর তখন আলাল আর একা নয়। ততদিনে খেলার সাথী হয়ে আলালের ভাই দুলাল, বোন আলালী, দুলালী আর সবার ছোট্ট ভাই হেলালও দুনিয়ায় এসে হাজির!
দুমুঠো খেয়ে পরে ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল আলালদের সংসার। কিন্তু কিভাবে যে কি হল! ৭৪এর দুর্ভিক্ষে সব এলোমেলো হয়ে গেল। সন্তানদের মুখে দুমুঠো নুন ভাত দেয়ার মত যখন আর কোন উপায় রইলনা তখন আলালের বাবা একে একে হালের বলদ, দুধের গাভি এবং ঘরের টিন পর্যন্ত বেচে দিতে বাধ্য হয়েছে।
৭৫ এ দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হল। কিন্তু আলালদের দুঃখ ঘুচলনা। ঘুচবে কি করে? আলালদের গাভী তো এখন আর দুধ দেয়না, বলদ তো হাল বায়না, ঘরের চালে তো টিন নাই, সবই তো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। মুক্তি যুদ্ধ করেও আলালের বাবা সার্টিফিকেট পায়নি যা দেখিয়ে সরকারী সামান্য সাহায্য পেতে পারত! অথছ অনেকেই যুদ্ধ না করেও সার্টিফিকেট পেয়ে সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে।
পেটের ক্ষুন্নিবৃত্তি নিভানোর জন্য আলালের সনদ বিহীন মুক্তিযোদ্ধা বাবার যখন বসত ভিটা বিক্রি করা ছাড়া আর কোন উপায়ন্ত রিলনা তখন সে মাত্র পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। সদা হাস্যজ্জ্বল বাবার মুখে অনেকদিন হল আলাল হাসি দেখেনি। স্নেহময়ী মায়ের মুখটাও সদা বেজার! এমতাবস্থায় ১৫ বছরের আলালের কি করা উচিৎ তা ভেবে কোন কুল কিনারা করতে পারছিলনা।
বিষয়: সাহিত্য
১২৫১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনাকে সাদর আমন্ত্রন।
ধন্যবাদ।
জীবন ঘনিষ্ঠ আরেকটি লিখার সুন্দর উদ্যোগের জন্য শুকরিয়া।
ইদানিং ব্লগে লগইন করতে সমস্যা হচ্ছে তাই লেখাটা নিয়মিত করতে পারছিনা বলে দুঃখিত।
ধন্যবাদ।
'ল'-এর পাশে লাল লাঠি
'ল' যেতে চায় ঝালকাঠি
(ফররুখ আহমদ-এর হরফের ছড়া)
আপনি লিখলেন "ঝালোকাঠি"
শুরুটাই তো করলেন মাটি
ইদানিং ব্লগে লগইন করতে সমস্যা হচ্ছে তাই লেখাটা নিয়মিত করতে পারছিনা বলে দুঃখিত।
ঝালোকাঠিকে 'ঝালকাঠি' করে দিলেতো আর মাটি হবেনা বরং খাটি হবে।
ধন্যবাদ।
একটা জব্বর পোস্টের আশায় আছি!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন