তসলিমা আর তাসমীমা আছে কিন্তু হারিয়ে গছে তাসলিমা
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:৩৮:১৭ বিকাল
১৯৯২ সালের ঘটনা। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীর একজন ছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণীর একজন ছাত্রকে পড়াতাম। একদিন পড়াতে গিয়ে বিভ্রতকর অবস্থায় পরেছিলাম। সেদিন ছাত্রছাত্রীর মা-বাবা এবং বড় দুই ভাইয়ের কেউই বাসায় ছিলনা।
বাসায় কলিং বেল দিতেই ছাত্র এসে দড়জা খুলে দিল কিন্তু বিপত্তি ঘটল ভিতরে প্রবেশ করার পর। চতুর্দশি কাজের মেয়েটা খুব কান্না করছিল। এক সময় ওরা দু ভাইবোন কাজের মেয়েটাকে টেনেহিচরে আমার কাছে নিয়ে এল।
ঘটনার বিবরণে বুঝতে পারলাম তসলিমা নাসরিন ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে ঢাকায় যে হরতাল হচ্ছে তার কারণেই কাজের মেয়েটা বেশ লজ্জিত, কারণ তার নাম তাসলিমা। তার নামে নাম এমন একজন মহিলা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছে বলে সে লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।
ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তসলিমা আর কাজের মেয়েটার নাম তাসলিমা একথা বুঝাতে বুঝাতে আমার ছাত্র ছাত্রীদ্বয় গলদ ঘর্ম কিন্তু তাসলিমা তা বুঝছেইনা। শেষ পর্যন্ত আমি বুঝিয়ে বললেও কাজ হয়নি তবে সে যা বলেছিল তেমন বিবেকের কথা আজকের শিক্ষিত মেয়েদের মুখেও শুনা যায়না।
তাসলিমা বলেছিলঃ তার না তসলিমা না তাসলিমা সেটা আমি জানিনা কিন্তু এমন বেহায়া নাস্তিকের গালে চপেটাঘাতের ক্ষমতা আমার নাই সেজন্যই দুঃখে কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে বলে কাদছি।
আজকে ইসলামের বিরুদ্ধে বলা একটা ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে অথছ ইসলামের জন্য দরদে বুক ফেটে যাওয়া তাসলিমারা কি চোখের পানি ফেলছে? কেউ কি প্রতিবাদ করছে? প্রতিবাদে কেউ কি হরতাল ডাকছে?
কে ডাকবে? যারা প্রতিবাদ করতে পারত তারাতো জেল জুলুম হুলিয়া আর ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষায় আছে। আর যারা উপরে উপরে ইসলামের জন্য দরদ দেখায় আর নিজেদের হকপন্থী বলে দাবী করে তারাও পাছে সরকার আবার নাখোশ হয়ে না যায় সেজন্য প্রতিবাদ করার মত সামান্য কজটাও করছেনা! অথছ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ঈমানের দ্বিতীয় দাবী। জতির বিবেকের দরজা আওয়ামিদের ভয়ে এমন ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তা কবে যে খুলবে আল্লাহই ভালো জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছেঃ কিছু ভাই আলেম ওলামাদেরকেও গালি দিচ্ছেন, কেন তারা হরতাল বা আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন না।
জামাত শিবিরের ভাইয়েরা তো সরাসরি লিখতেছেন যে, জামাত শিবির জেলে বন্ধি, তাই ইসলামের পক্ষে কথা বলার কোন লোকই নেই। অন্যান্য আলেম যারা আছেন, তারা সবাই সুবিধাবাদী। তাই চুপ মেরে রয়েছেন।
বিবেকবান যারা আছেন, তারা অবশ্যই জানেন, বর্তমানে আলেম ওলামাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে, বি বাড়িয়ার ঘটনায় অসংখ্য মামলা মাথায় নিয়ে হাজারো আলেম ঘর ছাড়া। হেফাজতের আলেমরা তো অনেক আগে থেকেই মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন, রাজপথে দাড়াতেই পারছেন না। যেখানে বি.এন.পির বৃহৎ দল রাজপথ ছাড়া জালিম শাহির ভয়ে, সেখানে হেফাজতের আলেমরাই বা কি করতে পারবেন?
তাছাড়া ইসলাম রক্ষা ও ইসলাম বিদ্ধেষিদের প্রতিবাদ করা শুধু কি হুজুরদের কাজ? বাকি মুসলমান সবাই কি এ কাজ থেকে দায়িত্বমুক্ত?
তরুন যুবক সমাজ যারা সহীহ সহীহ করে অনলাইনে তোলপাড় করছেন, তারাতো আজ প্রতিবাদের জন্য রা শব্দটিও করছেন না, সহীহ হাদিসে নেই বলে কি এমন নিরবতা?
আপনার অনেক কথাতেই সমর্থন করি! তবে-
এ কথাটির ব্যাপারে কথা বলতে হয়-
জনসাধারণ অনেক কিছুই করতে পারে, কিন্তু চাই সঠিক নেতৃত্ব!
[দ্রষ্টব্য:সূরা বাকারা-২৪৬-২৪৭]
আর সে দায়িত্বটি অবশ্য অবশ্যই উলামায়ে কিরামের! যদি তাঁরা এটা অস্বীকার করতে চান, আল্লাহতায়ালা তা গ্রহন না করারই কথা! আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
যেসব তরুণ যুবকের কথা বলছেন তাঁরাও একদল উলামায়ে কিরামের নেতৃত্বে নাচানাচি লাফালাফি ও অনলাইনে তোলপাড় করেন, তাঁদের জন্যও একই অভিযোগ প্রযোজ্য!!
আসুন, "এঁরা" ও "তাঁরা" ছেড়ে "আমরা" হই, ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে!
জাযাকুমুল্লাহ..
আসলে নিজেরা কিছু করতে যখন অপারগ, তখন পরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে একটু ভার হাল্কা করা আর কি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাইফের আব্বা আমার চাচাজান।
كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ যাহা শুনে তাহাই বলতে থাকা কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদি হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ঠ। মুসলিম হাদিস নং ৭৭১।
কোন শোনা কথায় কি করে আপনার মত বিজ্ঞজন কাওমী আলেমদের লোভী বানিয়ে ছাড়লেন??? আসলে ভাই এগুলো মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার অনেক বড় কারণ।
বলতে গেলে কথা অনেক হয়ে যাবে, তাই এখানে শেষ করলাম। ভালো থাকুন, নতুন জীবনে সুখী হোন। আপনাদের মত মহৎ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সমসময় দায়িত্বশীল কথাবার্তার আশায় থাকি।
ধন্যবাদ।
তাসলিমারা এগিয়ে যাক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন