শিয়াদের তাজিয়ায় কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর' ধ্বনি শুনেছি।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৪৪:৩৬ রাত
শিয়াদের তাজিয়ায় কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর' ধ্বনি শুনেছি।
যারা আন্তরিকতার সাথে কালামা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' পড়বে তারা জান্নাতে যাবে এমন হাদীস সেই ছোট্ট বেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু সমস্যা হয়েছে যখন পড়া লেখা শিখেছি তখন।
ছোট্ট বেলা থেকে জানতাম যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' পড়ে তারা সবাই মুসলমান কিন্তু বড় হয়ে জানলাম শিয়া, সুন্নি, ওয়াবী, ব্রেলবি, দেওবন্দি এমনকি মোদূদী বলেও কিছু আছে!
বাচ্চাদের নিয়ে যাচ্ছিলাম লালবাগের কেল্লা দেখতে কিন্তু যখন কেল্লার একেবারে দার প্রান্তে তখনই শিয়া সম্প্রদায়ের বড় একটা শোক মিছিল আসছিল। তারা কি করছিল সেটা আমার ভাবনার বিষয় না বরং তাদের মিছিল থেকে আমি তাওহীদের ঘোষনা কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' শুনছিলাম।
তারা যেহেতু 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছিল তখন আমি নিজেও কালেমা না পড়ে পারিনি, কারণ মিছিল থেকে বলা হচ্ছিল আমরা যেহেতু মুসলিম সেহেতু সবাই যেন কালিমা পড়ি।
যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ'র এই পাক কালিমা পাঠ করে আমি কিভাবে তাদের কাফের বলতে পারি? তবে যারা বোমাবাজি করে নির্দোষ মানুষ হত্যা করে তাদেরকে কোন ভাবেই রাসূল (সঃ) এর অনুসারি বলতে পারিনা। কারণ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বানি থেকেই আমরা জানতে পারি একজন নির্দোষ মানুষ হত্যা করা সারা দুনিয়ার মানুষ হত্যা করার সামিল।
শিয়া সম্প্রদায়ের ভাইদের বলব আপনাদের উপর কোন মুসলমানের পরিকল্পনায় হামলা হয়েছে এমনটা আমরা মানতে রাজি নই। আপনাদের ব্যাথায় আমরাও ব্যথিত। আপনাদের তাজিয়া এর আগেও দেখেছি আজও দেখলাম। আশাকরি আপনাদের এ ধরণের শোক মিছিলে যদি আক্বিদা বিরোধী কিছু থেকে থাকে তাহলে সে বিষয়ে নিজেরাই ভাববেন এবং সংশোধন করে নিবেন। আমরা যারা নিজেদের সুন্নি দাবি করি তাদের মধ্যেও অনেক শিরকি উপদল আছে যারা ধর্মের নামে মাজার পূজা পীর পূজা করে।
আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
বিষয়: বিবিধ
৩৯১৭ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হামলার শিকার মুসলিম ভাইদের সমবেদেনা জানাচ্ছি। যারা নিহত আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদেনা রইল।
পোস্টের সাথে একমত। "যারা বোমাবাজি করে নির্দোষ মানুষ হত্যা করে তাদেরকে কোন ভাবেই রাসূল (সঃ) এর অনুসারি বলতে পারিনা।"
জাযাকাল্লাহ খায়ের
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মুসলিম উম্মাহর এই দূর্দিনে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
ধন্যবাদ।
দেশের বারোটা বাজাতে হাসিনা ইসরায়েলের পুতুল হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশকে ইসলামী সন্ত্রাসী দেশ বানাতে এটা করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে হাসিনা ডেভিড কেমেরনকে নিজেই বলে আসছে।
ডাইনীর হিংসায় রক্তাক্ত বাংলাদেশ!
Thanks
আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
যথার্থ উপলব্ধির সাথে একমত!
ধন্যবাদ।
আমি কোন শিয়ার মুখে এমন দাবী শুনিনি।
ধন্যবাদ।
এই বিশ্বাস যে শিয়া রাখে তার আর কালেমা দিয়ে কিহবে??
এদের পদ্ধতিতে বিদআত দিয়ে ভর্তি তাই বলে এরা কেউ আল্লাহর সাথে আলী (রা) কে তুলনা করে না। বিষয়টি ভাবনে আশারাখলাম।
তারা বলতে চেয়েছে যে কোন বাবা মায়ের ৪ জন সন্তান থাকলে তারা যতই বলুক না কেন যে তারা সবাইকে সমান ভালোবাসে কিন্তু আসল কথা হল সেই ভালোবাসায়ও কিছুনা কিছু পার্থক্য থাকে। আলী (রাঃ) ও শিয়াদের কাছে তেমন।
আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
ভালো লাগল,ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
এমন একসময় ছিলো যখন অনেক শিয়াই শির্ক বিদআত এ যুক্ত ছিলো না আর সে যুগ কেটে গেছে মুহাদ্দিসিনদের সময়। অর্থাৎ নামে শিয়া হলেও কাজে আহলে সুন্নাহ ছিলো।
কিন্তু বর্তমানে এরকম নেই। মেজোরিটি এখন শির্ক বিদআতে যুক্ত। দুই একজন বেচে থাকলে তারা শিয়া নয় তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী।
---------------------------------
★ক্বোরেশ বংশের বনু হাশেম তথা কাবা ঘরে স্থাপিত ৩৬০ দেবদেবীর ঠাকুর হাশেমী আব্দুল মোত্তালেব, আবু তালেব ও তার পুত্র আলীর বংশ থেকেই শুধু মুসলিম জাতির নেতা বা ইমাম ইমাম হতে হবে।
★ আখেরী নবী মুহাম্মদ সাঃ কে নামকাওয়াস্তে রেখে তারা আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসেনকে দিয়ে এক পঞ্চচক্র বা "পাঞ্জেতন" সৃষ্টি করে তাতে তারা বিশ্বাসী।
★ এ পাঞ্জেতনের বহির্ভূত সকল ইমামত ও নেতৃত্বকে শিয়রা অবৈধ বলে বিশ্বাস করে। এ শিয়া ইমামত আল্লাহ কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টি থেকে নিয়োগকৃত। এ ইমামরা সবাই নিষ্পাপ।
★ এ শিয়া মতবাত ও তার ইমামতের বাইরে অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে যেসব নেতৃত্ব ছিল, আছে এবং হবে, সব অবৈধ এবং তাদের অনুসারীরা বিপথগামী।
★ এদের বারো ইমামের শেষজন বিগত বারো তেরোশ বছর থেকে আত্নগোপন করে আছে। ক্বোরেশ ও ফাতেমার বংশের সে ব্যক্তিই আত্নপ্রকাশ করে ইমাম মাহ্দী হবে। শিয়ারা তার আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
-------------------------------
★ যেহেতু মুহাম্মাদ সাঃ আরব দেশে ও ক্বোরেশ বংশে জন্মেছেন, তাই তিনি আরবী ও ক্বোরেশী। প্রথমে তিনি আরবদের নবী এবং পরে তিনি অন্যান্যদের নবী। তাঁকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি হতো না।
★ রাসূল সাঃ এর পর সকল বিশ্ব নেতা বা ইমাম শুধুমাত্র ক্বোরেশ গোত্র থেকে হতে হবে। "আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ" তাদের ইমামত ও নেতৃত্বের মূলনীতি।
★ রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের আল্লাহ ও রাসূলের মতো মানতে হবে। তাদের ভূল অন্যায়ের পর্যালোচনা করা যাবে না। বিশেষ করে ক্বোরেশ বংশের চার খলিফা ও তাদের ক্বোরেশ বংশোদ্ভুদ বানোয়াট "আশারায়ে মোবাশ্শারা" সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
★ রাসূল সাঃ এর পর ক্বোরেশী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে তারা মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে শিয়া-সুন্নীর মতো অসংখ্য ফেরকার সৃষ্টি করে। তারা নিজেদের সুন্নী ফেরকা ব্যতীত অন্য সবাইকে বিপথগামী মনে করে।
★ তারা ইয়াহুদীদের মতো গোত্রবাদী। কোন অনারবকে তারা মুসলিম উম্মার ইমাম হওয়ার অযোগ্য মনে করে। তাই ইমাম মাহদীও ক্বোরেশ বংশীয় আরব হতে হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
---------------------------------
★ আমরা এক আল্লাহে বিশ্বাসী মুসলিম। সকল নবীদের সমান ভাবে মানি। তাঁদের মাঝে কোনো পার্থক্য করি না। নবীদের নিচে আমরা কারো অনুসরণ করি না। আমাদের ঈমান, "তাওহীদের উর্ধ্বে কোনো ঈমান নেই" "রিসালাতের নীচে কোনো দ্বীন ও শরীয়া নেই"।
★ হযরত ইব্রাহিম আঃ যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না, শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ সেরুপ শিয়া বা সুন্নি ছিলেন না।
★ আমরা হযরত নূহ, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাঃদের মতো শুধু মুসলিম। আমরা যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান নই, সেরুপ আমরা সুন্নি বা শিয়া নই।
★ বিশ্বের সকল মানুষকে আমরা নবীদের অনুসরনে মুসলিম হওয়ার ডাক দিচ্ছি। এ আহ্বানই হলো এক বিশ্ব, এক মানব জাতি ও এক বিশ্ব মানব পরিবার গড়ার, যাতে ভূমন্ডল হবে আদম সন্তানের এক গুচ্ছ পল্লী।
★ এ বিশ্ব ঐকের চুড়ান্ত নেতৃত্ব যে ইমাম দিবেন, তিনি আদম সন্তান ও নবীদের অনুসারী হবেন। বর্ণ ও গোত্রবাদহীন তাক্বওয়া তার বৈশিষ্ট হবে। আরব অনারব সকল সংর্কীণতার উর্ধ্বে তার অবস্থান হবে।
আমরা সকলেই মুসলিম। আমাদের দেখার বিষয় সালাফেসলেহীন দের পথ কোনটি! দিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম কোনটি!
এর সাথে তুলনা করলে শিয়ারা সূদুর পরাভুত এক ফেরকা। তাই অনেক সময় কালেমা পড়লেও তাদের মুসলিমদের কাতারে ফেলা যায় না।
মদিনায় মুনাফিকরাও কালেমা পড়তো। এর পরেও জাহান্নামী। কালেমা তাদেরী কাজ করবে যারা কালেমাকে স্বীকার করে ও রসুল (সা) ও সাহাবী (রা) দের পথ-মত-কথা-কাজ-আমলকে অনুস্বরন করে।
শিয়ারা এর অনেক কিছু থেকে মুক্ত।
আমি ইসলাহের পক্ষে। সস্যা হল আমরা দূর থেকে যতটা সমালোচনা করি ততটা ইসলাহের জন্য বিপথ গামিদের কাছে যাইনা। আন্তরিকতা দিয়ে কাছে টেনে নেই না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইহদেনাস সিরাতল মুস্তাকিমের পথ দেখান। আমীন @ জ্ঞানের কথা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন