শিয়াদের তাজিয়ায় কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর' ধ্বনি শুনেছি।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৪৪:৩৬ রাত

শিয়াদের তাজিয়ায় কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর' ধ্বনি শুনেছি।




যারা আন্তরিকতার সাথে কালামা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' পড়বে তারা জান্নাতে যাবে এমন হাদীস সেই ছোট্ট বেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু সমস্যা হয়েছে যখন পড়া লেখা শিখেছি তখন।

ছোট্ট বেলা থেকে জানতাম যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' পড়ে তারা সবাই মুসলমান কিন্তু বড় হয়ে জানলাম শিয়া, সুন্নি, ওয়াবী, ব্রেলবি, দেওবন্দি এমনকি মোদূদী বলেও কিছু আছে!

বাচ্চাদের নিয়ে যাচ্ছিলাম লালবাগের কেল্লা দেখতে কিন্তু যখন কেল্লার একেবারে দার প্রান্তে তখনই শিয়া সম্প্রদায়ের বড় একটা শোক মিছিল আসছিল। তারা কি করছিল সেটা আমার ভাবনার বিষয় না বরং তাদের মিছিল থেকে আমি তাওহীদের ঘোষনা কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' শুনছিলাম।

তারা যেহেতু 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ' ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছিল তখন আমি নিজেও কালেমা না পড়ে পারিনি, কারণ মিছিল থেকে বলা হচ্ছিল আমরা যেহেতু মুসলিম সেহেতু সবাই যেন কালিমা পড়ি।

যারা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ'র এই পাক কালিমা পাঠ করে আমি কিভাবে তাদের কাফের বলতে পারি? তবে যারা বোমাবাজি করে নির্দোষ মানুষ হত্যা করে তাদেরকে কোন ভাবেই রাসূল (সঃ) এর অনুসারি বলতে পারিনা। কারণ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বানি থেকেই আমরা জানতে পারি একজন নির্দোষ মানুষ হত্যা করা সারা দুনিয়ার মানুষ হত্যা করার সামিল।

শিয়া সম্প্রদায়ের ভাইদের বলব আপনাদের উপর কোন মুসলমানের পরিকল্পনায় হামলা হয়েছে এমনটা আমরা মানতে রাজি নই। আপনাদের ব্যাথায় আমরাও ব্যথিত। আপনাদের তাজিয়া এর আগেও দেখেছি আজও দেখলাম। আশাকরি আপনাদের এ ধরণের শোক মিছিলে যদি আক্বিদা বিরোধী কিছু থেকে থাকে তাহলে সে বিষয়ে নিজেরাই ভাববেন এবং সংশোধন করে নিবেন। আমরা যারা নিজেদের সুন্নি দাবি করি তাদের মধ্যেও অনেক শিরকি উপদল আছে যারা ধর্মের নামে মাজার পূজা পীর পূজা করে।

আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।

বিষয়: বিবিধ

৩৮৭২ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347086
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:০৭
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : শিয়া, সুন্নি, ওয়াবী, ব্রেলবি, দেওবন্দি এই সব নামের আগে প্রথমে আমরা মুসলিম। কারন কোরআনে আল্লাহ আমাদেরকে মুসলিম নামেই অবহিত করেছে।
হামলার শিকার মুসলিম ভাইদের সমবেদেনা জানাচ্ছি। যারা নিহত আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদেনা রইল।

পোস্টের সাথে একমত। "যারা বোমাবাজি করে নির্দোষ মানুষ হত্যা করে তাদেরকে কোন ভাবেই রাসূল (সঃ) এর অনুসারি বলতে পারিনা।"

জাযাকাল্লাহ খায়ের
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩১
288248
আবু জারীর লিখেছেন : দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে আল্লাহু আলম। এই হামলাটা আমাদের শঙ্কিত করছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমাদের দেশে এটাই প্রথম হামলা। সরকারকে অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এহেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে দিকে যথেষ্ট সজাগ থাকতে হবে।
347087
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনাদের উপর কোন মুসলমানের পরিকল্পনায় হামলা হয়েছে এমনটা আমরা মানতে রাজি নই। আপনাদের ব্যাথায় আমরাও ব্যথিত।

যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
288249
আবু জারীর লিখেছেন : ওয়ালাইকুম'আসসালাম
মুসলিম উম্মাহর এই দূর্দিনে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
347092
২৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:০৪
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
288250
আবু জারীর লিখেছেন : সকল বিভেদ ভুলে বৃহত্তর ঐক্য এখন সময়ের দাবী।
ধন্যবাদ।
347094
২৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৩৬
রক্তলাল লিখেছেন : কোনো শিয়া সুন্নীর জন্য হামলা হয়নি।

দেশের বারোটা বাজাতে হাসিনা ইসরায়েলের পুতুল হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশকে ইসলামী সন্ত্রাসী দেশ বানাতে এটা করা হচ্ছে।

কিছুদিন আগে হাসিনা ডেভিড কেমেরনকে নিজেই বলে আসছে।

ডাইনীর হিংসায় রক্তাক্ত বাংলাদেশ!

২৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৫৬
288238
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Agree with you
Thanks
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:০১
288241
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনার ধারণাই মনে হয় সঠিক। ধন্যবাদ
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৯
288252
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের দেশটাকে রক্ষা করুন।
347108
২৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন :
আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩০
288253
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।
347109
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:০২
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩০
288254
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন।
347111
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:১৩
কাহাফ লিখেছেন : "আপনাদের উপর কোন মুসলমানের পরিকল্পনায় হামলা হয়েছে এমনটা আমরা মানতে রাজি নই। আপনাদের ব্যাথায় আমরাও ব্যথিত।"

যথার্থ উপলব্ধির সাথে একমত!
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩২
288255
আবু জারীর লিখেছেন : মানুষ মানষের জন্য। কোন মানুষেরই জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নাই তা তার বিশ্বাস যাই হোকনা কেন।
ধন্যবাদ।
347112
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:২৮
মনসুর আহামেদ লিখেছেন :
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪০
288257
আবু জারীর লিখেছেন : নেট খুব স্লো তাই লোড নিচ্ছেনা।

আমি কোন শিয়ার মুখে এমন দাবী শুনিনি।

ধন্যবাদ।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১১
288278
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভিডিওতে দেখলাম শিয়াদের বই থেকে প্রমান দেয়া হচ্ছে "আলী হচ্ছে রব" নাউজুবিল্লাহ।
এই বিশ্বাস যে শিয়া রাখে তার আর কালেমা দিয়ে কিহবে??
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
288280
আবু জারীর লিখেছেন : ফাজায়ালে আমল সুন্নিদের বই, চরমোনাইর ইসহাকের কিতাবও সুন্নিদের, সুন্নিদের অনেক গ্রুপ আছে যাদের কেউ কেউ সাইয়্যেদ মওদূদীকে কাফের ফতোয়া দিয়েছে, কেউ কেউ জাকির নায়েককে ইহুদীদের দালাল মনে করে, আবার অনেকেই মোহাম্মদ ইবনে ওহাবের সংস্কার আন্দলনকে কুফুরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে! @ জ্ঞানের কথা।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:২১
288398
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভাই, স্পষ্ট কুফরি পেয়ে গেলেও কি তাদেরকে কাফের বলা যাবে না? সুন্নী, চরমোনাই, ওহাবী, এরা কেউ কি আলী (রা) কে আল্লাহ মানেকরে?? (নাউজুবিল্লাহ-আস্তাগফিরুল্লাহ)
এদের পদ্ধতিতে বিদআত দিয়ে ভর্তি তাই বলে এরা কেউ আল্লাহর সাথে আলী (রা) কে তুলনা করে না। বিষয়টি ভাবনে আশারাখলাম।
347113
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:৫০
আকবার১ লিখেছেন :
১০
347114
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:৫২
আকবার১ লিখেছেন :
২৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:০৭
288263
আবু জারীর লিখেছেন : যুক্তি আছে। আমি অনেক শিয়াকেই জিজ্ঞেস করেছি তারা কেন আলী (রাঃ)কে বেশী ভালোবাসে? উত্তরে তারা যেটা বলেছে সেটা আমার কাছে লজিক মনে হয়েছে।

তারা বলতে চেয়েছে যে কোন বাবা মায়ের ৪ জন সন্তান থাকলে তারা যতই বলুক না কেন যে তারা সবাইকে সমান ভালোবাসে কিন্তু আসল কথা হল সেই ভালোবাসায়ও কিছুনা কিছু পার্থক্য থাকে। আলী (রাঃ) ও শিয়াদের কাছে তেমন।
১১
347115
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৪৮
নিমু মাহবুব লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আসুন আমরা সবাই মিলে শিয়া সুন্নির বিভেদ ভুলে নিজেদের আক্বিদাকে সংশোধন করে সত্যিকারের মুসলমান হই।
Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose
ভালো লাগল,ধন্যবাদ।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
288256
আবু জারীর লিখেছেন : যারাই নিজেদের মুসলমান দাবী করে তাদের নিজেদের গরজেই নিজেদের কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে নেয়া এখন সময়ের দাবী তা শিয়াই হোক বা সুন্নি। ধন্যবাদ।
১২
347123
২৫ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আকিদা আর মজহাব নিয়ে আমরা ফাটাফাটি করছি। ঈমান টা অবশ্য হারাতে আপত্তি নাই নিজের মজহাবকে একমাত্র সঠিক বানাতে গিয়ে।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
288260
আবু জারীর লিখেছেন : ঐ যে নফল পড়তে গিয়ে ফজর কাজা! সেরকম আরকি?
ধন্যবাদ।
১৩
347134
২৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
আলআমিন লিখেছেন : খুবই ভালো পোষ্ট
২৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
288261
আবু জারীর লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।
১৪
347149
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৮
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : তাজিয়া মিছিল সম্মন্ধ্যে একটু বিস্তারিত বলুন।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২১
288279
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : কতিপয় প্রশ্ন যা শিয়া যুবকদের সত্যর দিকে ধাবিত করেবইটি পড়ে দেখতে পারেন। কাজে লাগলে লাগতেও পারে।

এমন একসময় ছিলো যখন অনেক শিয়াই শির্ক বিদআত এ যুক্ত ছিলো না আর সে যুগ কেটে গেছে মুহাদ্দিসিনদের সময়। অর্থাৎ নামে শিয়া হলেও কাজে আহলে সুন্নাহ ছিলো।
কিন্তু বর্তমানে এরকম নেই। মেজোরিটি এখন শির্ক বিদআতে যুক্ত। দুই একজন বেচে থাকলে তারা শিয়া নয় তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৬
288281
আবু জারীর লিখেছেন : বিস্তারিত ধারণা নাই। সুন্নিরা জশনে জুলুস এর মিছিল করে আর শিয়ারা করে তাজিয়া! বাহ্যিক ভাবে আমরা সাধারণ মানুষ এটাই দেখি। আভ্যন্তরীণ হাকিকত কি জানিনা।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:২২
288399
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : তাজিয়া মিছিলে হুসাইন (রা) এর কবরের প্রতিকৃতি ও ঘোড়া থাকে? সেই কবরে হাত লাগিয়ে চুমা খায় বরকতের জন্য। ঘোড়ার গায়ে হাতবুলায় এগুলো কি করা ঠিক?
১৫
347155
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : ★শিয়াদের ধর্ম বিশ্বাস হলো★
---------------------------------
★ক্বোরেশ বংশের বনু হাশেম তথা কাবা ঘরে স্থাপিত ৩৬০ দেবদেবীর ঠাকুর হাশেমী আব্দুল মোত্তালেব, আবু তালেব ও তার পুত্র আলীর বংশ থেকেই শুধু মুসলিম জাতির নেতা বা ইমাম ইমাম হতে হবে।
★ আখেরী নবী মুহাম্মদ সাঃ কে নামকাওয়াস্তে রেখে তারা আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসেনকে দিয়ে এক পঞ্চচক্র বা "পাঞ্জেতন" সৃষ্টি করে তাতে তারা বিশ্বাসী।
★ এ পাঞ্জেতনের বহির্ভূত সকল ইমামত ও নেতৃত্বকে শিয়রা অবৈধ বলে বিশ্বাস করে। এ শিয়া ইমামত আল্লাহ কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টি থেকে নিয়োগকৃত। এ ইমামরা সবাই নিষ্পাপ।
★ এ শিয়া মতবাত ও তার ইমামতের বাইরে অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে যেসব নেতৃত্ব ছিল, আছে এবং হবে, সব অবৈধ এবং তাদের অনুসারীরা বিপথগামী।
★ এদের বারো ইমামের শেষজন বিগত বারো তেরোশ বছর থেকে আত্নগোপন করে আছে। ক্বোরেশ ও ফাতেমার বংশের সে ব্যক্তিই আত্নপ্রকাশ করে ইমাম মাহ্দী হবে। শিয়ারা তার আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
১৬
347156
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : ★সুন্নীদের ধর্ম বিশ্বাস হলো★
-------------------------------
★ যেহেতু মুহাম্মাদ সাঃ আরব দেশে ও ক্বোরেশ বংশে জন্মেছেন, তাই তিনি আরবী ও ক্বোরেশী। প্রথমে তিনি আরবদের নবী এবং পরে তিনি অন্যান্যদের নবী। তাঁকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি হতো না।
★ রাসূল সাঃ এর পর সকল বিশ্ব নেতা বা ইমাম শুধুমাত্র ক্বোরেশ গোত্র থেকে হতে হবে। "আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ" তাদের ইমামত ও নেতৃত্বের মূলনীতি।
★ রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের আল্লাহ ও রাসূলের মতো মানতে হবে। তাদের ভূল অন্যায়ের পর্যালোচনা করা যাবে না। বিশেষ করে ক্বোরেশ বংশের চার খলিফা ও তাদের ক্বোরেশ বংশোদ্ভুদ বানোয়াট "আশারায়ে মোবাশ্শারা" সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
★ রাসূল সাঃ এর পর ক্বোরেশী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে তারা মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে শিয়া-সুন্নীর মতো অসংখ্য ফেরকার সৃষ্টি করে। তারা নিজেদের সুন্নী ফেরকা ব্যতীত অন্য সবাইকে বিপথগামী মনে করে।
★ তারা ইয়াহুদীদের মতো গোত্রবাদী। কোন অনারবকে তারা মুসলিম উম্মার ইমাম হওয়ার অযোগ্য মনে করে। তাই ইমাম মাহদীও ক্বোরেশ বংশীয় আরব হতে হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
১৭
347157
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশ্ব মুসলিম, মুসলিম উম্মার পরিচয়ঃ
---------------------------------
★ আমরা এক আল্লাহে বিশ্বাসী মুসলিম। সকল নবীদের সমান ভাবে মানি। তাঁদের মাঝে কোনো পার্থক্য করি না। নবীদের নিচে আমরা কারো অনুসরণ করি না। আমাদের ঈমান, "তাওহীদের উর্ধ্বে কোনো ঈমান নেই" "রিসালাতের নীচে কোনো দ্বীন ও শরীয়া নেই"।
★ হযরত ইব্রাহিম আঃ যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না, শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ সেরুপ শিয়া বা সুন্নি ছিলেন না।
★ আমরা হযরত নূহ, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাঃদের মতো শুধু মুসলিম। আমরা যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান নই, সেরুপ আমরা সুন্নি বা শিয়া নই।
★ বিশ্বের সকল মানুষকে আমরা নবীদের অনুসরনে মুসলিম হওয়ার ডাক দিচ্ছি। এ আহ্বানই হলো এক বিশ্ব, এক মানব জাতি ও এক বিশ্ব মানব পরিবার গড়ার, যাতে ভূমন্ডল হবে আদম সন্তানের এক গুচ্ছ পল্লী।
★ এ বিশ্ব ঐকের চুড়ান্ত নেতৃত্ব যে ইমাম দিবেন, তিনি আদম সন্তান ও নবীদের অনুসারী হবেন। বর্ণ ও গোত্রবাদহীন তাক্বওয়া তার বৈশিষ্ট হবে। আরব অনারব সকল সংর্কীণতার উর্ধ্বে তার অবস্থান হবে।
২৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:১৪
288282
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ স্বয়ং নিজে আমাদের নাম দিয়েছেন মুসলিম তাই আমিও নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করি এবং সঠিক আমল করার চেষ্টা করি। যারা উপদলে বিভক্ত তাদের হিসেব তারা নিজেরা তাদের রবের কাছে দিবেন। ধন্যবাদ।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:২৭
288401
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আবু জারীর ভাই,
আমরা সকলেই মুসলিম। আমাদের দেখার বিষয় সালাফেসলেহীন দের পথ কোনটি! দিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম কোনটি!
এর সাথে তুলনা করলে শিয়ারা সূদুর পরাভুত এক ফেরকা। তাই অনেক সময় কালেমা পড়লেও তাদের মুসলিমদের কাতারে ফেলা যায় না।
মদিনায় মুনাফিকরাও কালেমা পড়তো। এর পরেও জাহান্নামী। কালেমা তাদেরী কাজ করবে যারা কালেমাকে স্বীকার করে ও রসুল (সা) ও সাহাবী (রা) দের পথ-মত-কথা-কাজ-আমলকে অনুস্বরন করে।

শিয়ারা এর অনেক কিছু থেকে মুক্ত।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
288429
আবু জারীর লিখেছেন : আমি কাউকে কাফের বলতে চাইনা অন্তত যারা কালেমা লাইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ে।

আমি ইসলাহের পক্ষে। সস্যা হল আমরা দূর থেকে যতটা সমালোচনা করি ততটা ইসলাহের জন্য বিপথ গামিদের কাছে যাইনা। আন্তরিকতা দিয়ে কাছে টেনে নেই না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইহদেনাস সিরাতল মুস্তাকিমের পথ দেখান। আমীন @ জ্ঞানের কথা।
১৮
347391
২৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশকে পশ্চিমা লুটেরাদের আরেকটা ব্যাটলফিল্ড বানানোর কাজ চলছে । যারা এটা করাচ্ছে তারা পরে ঐসব পশ্চিমা দেশে গিয়ে ১৪ গোষ্টি বহাল তবিয়তে থাকবে । দেশের অবস্থার প্রতি তখন তাদের আর ভ্রুক্ষেপ থাকবে না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File