ঈদের দিনে প্রিয় খাবার! আর তা যদি হয় নিজের তৈরী! উহ! মজাই আলাদা।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৯ জুলাই, ২০১৫, ০৫:২৩:২৩ বিকাল
ঈদের দিনে প্রিয় খাবার! আর তা যদি হয় নিজের হাতে তৈরী! উহ! মজাই আলাদা। আর একটু খাব নাকি?
(রান্নার ধারাবাহিক ছবি একদম নিচে)
ভোজন রসিক আর পেটুক হিসেবে নাম ডাক সেই ছোট বেলা থেকেই। মরহুমা দাদীর (আল্লাহ্ তার প্রতি রহম করুন) কল্যাণে প্রায় সকল মজাদার এবং উপাদেয় খাবারই নছিবে জুটেছে। মাঝে মধ্যে মনপুত খাবার না পেলে মায়ের সাথে বেশ ক্যাচাল লেগে যেত। ক্ষোবের সাথে মা বলতেন, রাজা বাদশাহের মুখ নিয়ে গরিবের ঘরে জন্মেছি! দাদি বলতেন বাপ দাদার গরীব হতে পারে কিন্তু ওর নানা তো আর গরিব না তাছাড়া দাদার পয়সা না থাকলেও ওরা বার ভূঁইয়ার বংশ ধর। ঈসা খাঁ ওদের পর দাদা। আমি বলতাম দেখে নিও মা, গরিবের পোলা বলে অবহেলা করনা, বেচে থাকলে ইনশা’আল্লাহ সারা জীবন রাজা বাদশাহের খাবারই খাব।
মা-বাবা, দাদা-দাদী, নানা-নানী আজ কেউ বেচে নাই। আল্লাহ্ তাদের প্রতি রহম করুন এবং জান্নাতে তাদের জন্য উত্তম খাবারের ব্যাবস্থা করুন, যেমনটা দুনিয়ায় তারা আমার জন্য করেছেন বরং তার চেয়েও বেশুমার উত্তম।
বয়স যখন মাত্র বছর দশেক তখন একদিন বাজারে গিয়ে হাক ডাক শুনে এক হোটেলে গিয়ে বিকেলের নাস্তা করতে বসলাম। নাস্তার মেনুতে মুগলাই পরোটা! মানে মোগল বাদশাহরা যে পরোটা খেতেন সেই পরোটার! রাজা বাদশাহদের খাবার সামনে পেয়েও খাবনা এমন বেউকুফি করার প্রশ্নই ওঠেনা। খেলাম, পেট ভরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর নিলাম।
এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসে কিছু দিন ছিলাম পুরাণ ঢাকায়। ও মা! হোটেল গুলোতে সব মোগল স্টাইলের বাদশাহী খাবার। তবে সব চেয়ে মজা পেয়েছি বাখরখানি আর হাজীর বিরিয়ানি খেয়ে। মাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, ‘মা, তোমার ছেলে গরিব হলেও এখন রাজা বাদশাহদের খাবারই খায়’। চিঠি পড়ে মা যে বেজায় খুশি হয়েছিলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ভাগ্যের টানে আর রিজিকের সন্ধানে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়েছিল সেই ১৯৯৯তেই। মনে মনে ভাবলাম বিদেশে বিভুয়ে কে খাওয়াবে আমাকে বাদশাহী খাবার। কিন্তু আমার ‘রব’ প্রবাসেও যে আমার জন্য বাদশাহী খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন তা কে জানত?
রিয়াদের সিটি সেন্টারে অবস্থিত দিল্লি দরবারে গিয়ে খেলাম শাহী বিরিয়ানি, আলহামদুলিল্লাহ। নছিবে থাকলে গরিবের সন্তান হয়েও যে বাদশাহী খাবার খাওয়া যায় তা ভাবতেই মহান রবের তরে মাথা অবনত হয়ে আসে।
হঠাৎ একদিন না বলেই বস রিয়াদ থেকে জেদ্দায় বদলি করে দিল! মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, ‘ভাগ্য থেকে বুঝি বাদশাহী খাবার বিদায় নিল’। কিন্তু কে জানত মনিব আমার তাঁর গোলামের জন্য শাহী বিরিয়ানির চেয়েও সুস্বাধু হায়দারাবাদের নেজামী বিরিয়ানির ব্যবস্থা করে রেখেছেন?
দিনে দিনে সাত দিন অর্থাৎ সপ্তাহ ঘুড়তেই একদিন রুমে বসে সেই বেহেস্তি খাবারের সুঘ্রাণ পেলাম। নাসিকা রন্দ্রের উশখুশ আর পেটের মোচড়ে যখন আমি দিসে হারা ঠিক তখনই কেউ যেন এসে আমার দড়জার কড়া নাড়ল। দড়জা খুলতে দেখি জুনিয়র কলিগ আব্দুল জলিল একটা ট্রে হাতে দাড়িয়ে! ঢাকনা খুলে দেখি ও মা একে বারে হায়দারাবাদী বিরিয়ানি। কিসের কার্টেসি? সোঁ মেরে আব্দুল জলিলের হাত থেকে প্লেটটা নিয়ে টেবিলে বসেই গাপুস গুপুস করে সব শেষ করে দিলাম। সেদিন আব্দুল জলিল কি ভেবেছিল তা জানিনা তবে তার পর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবারই সে বিরিয়ানি নিয়ে হাজির হত আর আমিও পরম আনন্দে খেতাম আর তার জন্য দুয়া করতাম।
ভাগ্যে সেই বিরিয়ানি আর বেশী দিন জোটেনি। বেতন ভাতা নিয়ে কোম্পানীর সাথে বনিবনাত না হওয়ায় সে একেবারেই বিদায় নিয়ে চলে গেছে তার নিজের দেশ ইন্ডিয়া। আব্দুল জলিল আই মিস ইউ।
কিছুদিন পরে আমিও বদলি হয়ে দাম্মামে চলে যাই। গত বছরটা দাম্মাম, জেদ্দা, রিয়াদ, ঢাকার মধ্যে দৌড়া দৌড়ি করেই কেটে যায় ফলে কিসের বিরিয়ানি আর কিসের কি হোটেলের খাবার খেয়েই কোন রকম জীবন কাটিয়েছি।
নতুন প্রজেক্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়ে এবার চলে এসেছি হাইলে। একটা ফার্নিসড এপার্টমেন্টে উঠেছি। সাথে ভারতীয় একজন ইঞ্জিনিয়ার। আমি তো জেমন তেমন সে সোবহান আল্লাহ্ প্লেট ধুয়েও খাওয়ার পাত্র নয়।
এভাবে আর কয়দিন চলে তাই ওকে পাম্প পট্টি দিয়ে রাজি করলাম। যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু হল রান্না বান্না। আলু ভত্তা, বেগুন ভাজা, ডালের চচ্চরি, না মোটামুটি খারাপ হয়না। ভাত গলে যায় বলে রুটিই আসল ভরসা। উইক এন্ডে তুর্কি, আফগানি আর বাঙ্গালী রেস্তরাতো আছেই।
বাঙ্গালী বিরিয়ানি খেতে গিয়ে মনে পরে গেল ইন্ডিয়ান আব্দুল জলিলের সেই বিরিয়ানির কথা। তখন আফসোস হতে লাগল কেন যে হায়দারাবাদী বিরিয়ানি পাকান শিখে রাখলাম না কেন?
ভাবলাম চেষ্টা করলে হয়না এমন কোন কাজ নাই তাই পাক না করলে কি হয়েছে খেয়েছি না? যেমনি ভাবনা অমনি কাজ। শুরু করে দিলাম বিরিয়ানি পাক। না, মাশা’আল্লাহ একটু ল্যাটরপ্যাটর হয়েছে বটে তবে খেতে খারাপ লাগে নি।
ওস্তাদ ছাড়াই নিজস্ব স্টাইলে আমি এখন হায়দারাবাদী বাংলা বিরিয়ানির স্পেশাল কুক।
গরু, খাসি, মুরগী যাই হোক দেড় কেজি।
বাসমতী চাল ১কেজি, পিয়াজঃ ৫০০গ্রাম, মেহেরান বিরিয়ানির গুড়া মশলাঃ ৫০ গ্রাম, আদা রসুন বাটা বাটাঃ ৫০গ্রাম করে, বাতাবি লেবু, আলু, টমেটোঃ ২টা করে, দারু চিনি, এলাচি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতাঃ ১০গ্রাম করে, আলু বুখারা, কাজু বাদাম, কিচমিচঃ ১০০ গ্রাম করে, জাফরান কয়েক রেণু। তেল/ঘী/বাটার ওয়েল, লবনঃ পরিমাণ মত, ধনে পাতাঃ ১০০গ্রাম, কাঁচা মরিচ ৫/৭টা, টক দধি ২৫০গ্রাম।
চাল, কাজু বাদাম, কিচমিচ, জিরা, দারু চিনি, লবঙ্গ বাদে মাংস সহ উপরোক্ত সকল উপকরণের মাখানো মিক্স।
চালের সাথে জিরা, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ এবং কিচমিচ মিশিয়ে আধা সেদ্ধ করতে হবে।
আধা সেদ্ধ চালের সাথে কাজু বাদাম মিক্স করে নিতে হবে।
মশলা মাখান মাংস পূর্ণ মাত্রায় জ্বলন্ত চুলার উপর বসিয়ে দিতে হবে।
কাল বিলম্ব না করে পানি ঝড়া আধা সেদ্ধ চাল মাংসের পাতিলায় লেয়ার আকারে ছিটিয়ে দিতে হবে।
এক তৃতীয়াংশ সেদ্ধ চালের উপরে পেয়াজ ভাজা ও ধনে পাতার এক তৃতীয়াংশ ছিটিয়ে দিতে হবে।
বাকী চালের অর্ধেকটা একই ভাবে ছিটিয়ে লেয়ার তৈরী করতে হবে।
পুনরায় ধনে পাতা ও পেয়াজের ফোড়ন ছিটিয়ে দিতে হবে।
এবার অবশিষ্ট চালের সাথে তেল/ঘী মিশিয়ে নিতে হবে।
তেল/ঘী মেশান চালের শেষ লেয়ারের উপর বাকী পিয়াজ ফোঁড়ন ও ধনে পাতা ছিটিয়ে দিতে হবে।
এবার ঢাকনা দিয়ে এয়ার টাইট করার জন্য ঢাকনার উপরে ভারি কিছু রেখে দিতে হবে, এয়ারটাইট ঢাকনা হলে ভারি বস্তু রাখার দরকার নাই।
হালকা জ্বালে ৪০/৪৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। চুলার আগুণ বার্নার এবং হাড়ির মাঝা মাঝি থেকবে এবং হাড়িকে স্পর্শ করবে না। হাড়ির মাঝ বরাবর শুধু তাপ লাগবে।
৪০/৪৫ মি্নিট পরে চুলা বন্ধ করে ঢাকনা না খুলেই আরও ৪০/৪৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।
এবার ঢাকনা খুলুন দেখবেন কিছু একটা হয়ে গেছে। মন চাইলে খেতে পারেন আর না চাইলে টেস্ট করার জন্য আমাকে ডাকতে পারেন। তবে আমাকে ডাকলে কিন্তু পরিমাণ ডাবল করতে হবে। কারণ যে পরিমাণের রেসিপি দিলাম এটা শুধু আমার একার জন্য। সাধারণ পাব্লিক হলে ৬/৭জন এবং আপুরা হলে ৯/১০ জন খেতে পারবে।
রেসিপি একান্তই নিজস্ব, তাই কোন গড়বড় হলে লেখক দায়ি থাকবেনা আর অপচয় হওয়া সময়ের মূল্য ও উপকরণের পয়সা ফেরত দিতেও বাধ্য থাকবেনা।
ধন্যবাদ, সবাইকে ঈদ মুবারক।
বিঃদ্রঃ কয়েক জন সম্মানিত ব্লগারের উপদেশে প্রিয় খাবার প্রিতিযোগিতার জন্য লেখাটা শুরু করেছিলাম কিন্তু লেখা শেষ না হতেই সময় ফুরিয়ে গেলে আর পোস্ট করা হয়নি।
বিষয়: বিবিধ
৩৭৯০ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রান্না শিখাও হয়ে গেলো। ভবিষ্যৎ এর জন্য প্রয়োজন হবে বলে বিশ্বাস।
ধন্যবাদ। ঈদ মুবারক।
তোমাকে হররোজ দাওয়াত।
পাতিলায় যদি আগুণ টাচ না করে তাহলে আমি যে সময় দিয়েছি তাতে নিচে পোড়া লাগবেনা। এখন ননস্টিকি কুকার বের হয়েছে। পাতিলার নিচে তাওয়া দিলে নিশ্চিন্তে একটা ঘুম দিয়ে নিলেও পোড়া লাগবেনা।
ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারাক, সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
গিন্নিকে নিয়ে চেষ্টা করতে যাবেন না ভুলেও। পাছে বিরিয়ানির পরিবর্তে অন্য দিকে খেয়াল চলে যেতে পারে। প্রবাসীদের বিশ্বাস নাই।
সেরকমটা হলে বিরিয়ানি ছ্যারতব্যারত হয়ে যাবে আখেরে সারাজীবন গিন্নীর খোটা শুনতে হবে।
ভাই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
আপনাকে আগেই ব্লক করা দরকার ছিল। রান্নার বিষয়ে প্যাটেন্ট চিরিতে আপনি যে ভদ্রতার পরিচয় দিবেন তা ভুলে গিয়েছিলাম।
যাক তার পরেও প্রাক্টিস করে সফল হলেই কেবল আমার লেখা স্বার্থক হবে।
ঈদ মুবারক।
তাছাড়া দুইটা অমিল আছে। কম্পিটিশানে খেলে স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ খেতে পারি। আর দেখতে সভ্য শান্ত লেজ বিশিষ্ট মনে হলেও আমার ভিতরে যথেষ্ট ছেলে মানুষী আছে। যে কোন মানুষের সাথেই একটু হালকা কথা না বললে পেট ভরে না।
ধন্যবাদ।
জাতি জানতে চায়।
কিন্তু বাতাবী লেবু [মানে বাংলাদেশী জাম্বুরা/শন্তারা] কীভাবে বিরিয়ানীতে দেয়?
ধন্যবাদ বদ্দা। ঈদ মুবারক।
ধন্যবাদ। ঈদ মুবারক।
আপনার দই মিষ্টির রেসিপিও কিন্তু বেশ মজাদার।
হ্যা দাওয়াত খাওয়াই ভালো তবে নিত্ত দাওয়াত পাওয়াতো দায় সে ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করা যায়।
পুটির মাকে বলতে হবে রান্না কর আর দাওয়াত দাও।
ধন্যবাদ। ঈদ মুবারক।
এটা কি প্রেসার কুকারের বিকল্প ? আর চুলাটা কি ইলেক্ট্রিক চুলা ?
ব্লগে এত এত খাদক ! খাবারের পোস্ট ! এরকম খাবার খেতে আমারও লোভ লাগে । কিন্তু বেশী খেতে পারি না ।
না গ্যাস বার্নার।
একটু পেটুক না হলে মজা আছে নাকি?
ঈদ মুবারক।
বন্ধুরা যারা খেয়েছে তারা মাঝে মধ্যে আলাপ করে, ইউক এন্ডে হবে না নাকি?
ধন্যবাদ বদ্দা। ঈদ মুবারক।
আপনার ফর্মুলা তে চেষ্টা করব এবার!
তবে আমি একা বিরিয়ানী পাকাতে এখনো ভয় করি, তাই সাথে আরেক জন ভাই কে রাখি। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
মাশা'আল্লাহ আপনি তো দেখছি একেবারে খান্দানি কুক।
ধন্যবাদ।
এতেকাফে নিশ্চয়ই দুয়া করেছেন সে আশা করতেই পারি।
ধন্যবাদ বদ্দা।
না ভাই, জেদ্দা ছেড়েছি ২০১০ এর মাঝামাঝি।
বর্তমানে সাময়িক সময়ের জন্য হাইলে আছি।
আমি জানি না রান্না করতে পারবো কিনা। তবে আমার রাইজ
কুকার আছে। মাংশ আপনার মত করে রান্না করে, পোলাউ
এর সাথে মিশিয়ে দিব। দেখি হয় কিনা।
ইদানিং অবাক লাগছে আপনাদের ইউজুয়াল লিখা না পাবার জন্য - কেন যেন মনে হচ্ছে আমাদের ভাইরা বুঝিবা ঢাল-তরবারী (সিম্বলিক) ও বহিরাংগন ছেড়ে - হাড়ি পাতিল ও কিচেন এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। (সমালোচনা হিসাবে নিবেন না।)
উম্মতে মোহাম্মদীরা তাকিয়ে আছে মরু প্রান্তরের আপস ও ডাউন এর দিকে, শত্রুর মতিগতি জানতে ও বুঝতে, নিজেদের সুখ সুবিধার উপর অন্যের সুখ সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বানকে অনুভব করতে, দুনিয়াকে এড়িয়ে আখেরাতকে চোখের সামনে আরো বিমূর্ত করতে।
আমার ধারনা, আপনাদের অভিজ্ঞতা লব্ধ ঐ সব লিখার জন্য আপেক্ষায় থাকে অনেক মানুষজন।
সবাই যেভাবে প্রশংসা শুরু করেছেন তাতে দেশে এসে বিরিয়ানির রেস্তরা খুলব কিনা ভাবছি।
হ্যা ঠিক বলেছেন। সবাই কেমন যেন গাছাড়া ভাব হয়ে গেছে। আগের সেই মজা ব্লগ থেকে কেন যে হারিয়ে গেল বুঝতে পারছিনা। এখন অনেই ফেবুতে লিখে।
আমি আছি দোটানায়। লেখকদের উপস্থিতি যেমন সরব না তেমনি পাঠকদের চাহিদাও কেন যেন ভাটির দিকে, সব মিলেয়ে একটা বন্ধা দসা কাজ করছে।
সবাই এগিয়ে আসলে এ বন্ধা দসা থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।
আবারও ধন্যবাদ এবং ঈদ মুবারক।
ঈদ মুবারক ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইরে এই অভাগা চৌদ্দ বছর ম্যাসে থেকেও রান্না শিখতে পারে নাই...শুধু পানি গরম, ডিম ভাজি আর ভাত রান্না করা ছাড়া!
এই কাম মনে অয় আমারে দিয়া অইবো না...
খানাপিনার বিবরণ দেখে তো ক্ষুধা লেগে গেল!
নানী কি কখনো ভং ধরে অসুস্থ হয়ে আপনাকে দিয়ে রান্না করিয়েছে?
না তেমন সুযোগ দেইনি। অভিনয়ে তার চেয়ে আমি পাকা।
ধন্যবাদ।
কন কি?..
বিড়াল নিয়ে এত কথা ক্যারে ভাই?..
এই যেমন বিড়াল মারো..বাসর রাতে!!!
কেউ কেউ আবার বলে, 'গরম ভাতে বিলাই বেজার'।
জানিনা তবে সময় হলে নিজেই টের পাবেন ঘটনা কি?
ধন্যবাদ।
চেষ্টা করুন। পরাজয়ে ডরেনা বীর।
ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও দুয়া রইল।
ধন্যবাদ
না খেয়ে যাদের ভালো লেগেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন