ধারাবাহিক গল্পঃ সরকারী খরচে বিয়ে!! (২২’তম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০২ জুন, ২০১৫, ০৮:৩০:১৯ রাত
ধারাবাহিক গল্পঃ সরকারী খরচে বিয়ে!! (২২’তম পর্ব)
- হয়েছে হয়েছে, আর ছোট্ট বোনের কান মলতে হবেনা, এবার নিজের চক্রায় তেল দাও গিয়ে।
- ===========২২
এক দিকে সরকার বিরোধী আন্দলন তুঙ্গে, সাদি আত্ম গোপনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে আমজাদ শেখ সাহেব মামলা থেকে সাদির নাম কাটানোর চেষ্টা করছে। মাস খানেক চেষ্টার পর আমজাদ শেখ সাহেব সকল মামলা থেকেই সাদির নাম কাটাতে সক্ষম হয়েছেন তবে সে জন্য তাকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে। পকেটের পয়সাও গচ্ছা গেছে। তার পরেও আফসোস নাই।
সাদী এখন মামলা মুক্ত কিন্তু সারা দেশটাইতো মামলা যুক্ত, তাই এর একটা শেষ না দেখে ঘোলাটে রাজনীতিক পরিস্থিতির মধ্য বিবাহের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সাদী সমীচীন মনে করছেনা। মামলা থেকে মুক্ত হলেও হামলা থেকেতো আর মুক্ত নয়। দেশের যে অবস্থা তাতে সাদীর মত ছাত্র নেতারা যে কোন সময়ই হামলার শিকার হতে পারে, তাছাড়া র্যাাব পুলিশের হাতে ধরা পরলে আমজাদ শেখের কাছে খবর পৌছনর আগেই যে আল্লারহ কাছে পৌছে যেতে হবে তাতে আর কারো সন্দেহ থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু সাদীর কোন সন্দেহ নাই। আর বিয়ের পরে যদি এমনটা ঘটে তাহলে শায়লার জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে। সে আর স্বপ্ন দেখবেনা। তাই ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমজাদ শেখও সাদীর যুক্তি মেনে নিলেন।
একদিকে সরকার পতনের অপেক্ষা আর অন্য দিকে সাদী ও শায়লার মনে পরস্পর একত্রিত হওয়ার প্রতিক্ষা। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছে না। সাদী ছাত্র নেতা, আছে আত্ম গোপনে, নেতৃত্ব দিচ্ছে আন্দলনের, তাই সে সব সময় ব্যস্ত সময় কাটায়। মাঝে মধ্যে যে শায়লার কথা মনে হয়না তা নয় কিন্তু নানা কাজের ব্যাস্ততায় তা মুহুর্তেই মন থেকে মুছে যায়। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক মত ক্লাস হচ্ছেনা, কারো সাথে আড্ডা দিতেও শায়লার আগের মত আর ভালো লাগেনা, এমতাবস্থায় শায়লার দিন মোটেই কাটছে না। কেন যে আমজাদ চাচা বিষয়টা সমনে নিয়ে এলেন শায়লা তাই ভাবছে। সাদীর বিষয়টা সামনে না থাকলে শায়লাকে হয়ত এতটা বিচলিত হতে হত না। এমতাবস্থায় সাদীর সাথে যে ফোনে একটু কথা বলবে তাও সম্ভব না। বিয়ের কথা চালাচালি না হলে হয়ত স্যার বলে কথা বলতে পারত কিন্তু এখন সেটাওতো সম্ভব না। প্রতিক্ষার রাত যেন আর শেষ হয়না।
অনেক ভেবে চিন্তে শেষ পর্যন্ত সকল জড়তা কাটিয়ে শায়লা, সাদীর নম্বরে ফোন করল, কিন্তু ফোন সাদী নয় সাদিয়া রিসিভ করল! শায়লা লজ্জায় একেবারে নীল হয়ে গেল। যা, সাদিয়া ফোনের অপর প্রান্ত থেকেও বুঝতে পারল।
- থাক থাক এত লজ্জা পেতে হবেনা। কয়দিন পরতো ভুলেও আমাদের নাম্বারে ফোন আসবেনা।
- আমি মরি আমার সারেং এর জন্য আর উনি মরে ওনার মনের রঙে?
- আচ্ছা শোন, তুমি যে শেষ পর্যন্ত তোমার নাগরের কাছে ফোন করবা তা সে বেশ বুঝতে পেরেছিল, তাই ফোনটা আমার কাছে রেখে দিয়েছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে ভাইয়া ফোন সাথে রাখেনা।
- আচ্ছা ঠিক আছে, স্যারকে বল অন্য নাম্বার থেকে হলেও যেন একটা বার অন্তত ফোন করে তার ছাত্রীর খবর নেয়।
- ঠিক আছে, ঠিক আছে বাবা, বলব সে যেন তার সখির কাছে ফোন করে, এবার হলতো?
- এই খুকি, আমি তোর কি হই জানিস তো। ছোট্ট হয়ে বড়দের সাথে বেয়াদবী। রাখ সময় মত এর বদলা নিব, তখন বুঝবি মজা, কেমন লাগে?
- যখনকারটা তখন দেখা যাবে, আগে ভাবিতো হও।
(চলবে) .........।
বিষয়: বিবিধ
১২০২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার এই ধারাবাহিক পোস্টটির আগা-মাথা কিচুই বুঝতে পারছি না একটি সারাংশ লিখে দিন
২৫ত্ম পর্বে পাবেন।
ইনশা’আল্লাহ, যথা সময়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের লেখা ঠিক মত পড়ে মন্তব্য করতে পারছিনা। সময়ের অভাবতো বটেই পাশাপাশি ব্লগে প্রবেশ করা এবং মন্তব্য করা আমার জন্য কঠিন হয়ে পরেছে। ব্লগ সাইট আমার এখানে এত শ্লো যে ধৈর্য হারা হয়ে যাই। এই প্রতি মন্তব্যটা করতে ২০ মিনিট সময় লেগেছে। ফেবু সহ অন্যান্য সাইটে এমন সমস্যা হচ্ছে না। বিষয়টা বুঝতে পারছিনা। ধন্যবাদ।
গুগল ক্রোম ইউস করতে পারেন।
নারে ভাই, জনপ্রিয় মাশা’আল্লাহ আপনারা নতুন পরজন্মের কয়েকজন।
হুম! দুয়ার সাথে সাথে পরামর্শ্ব অব্যাহত রখলে সম্ভব হবে।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন