পিছন থেকে বেগুনাহ লোকদের হত্যা করা জিহাদ নয়, বরং পবিত্র জিহাদের অবমাননা।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৯ মে, ২০১৫, ০৮:৪০:০৬ রাত

শিয়াদেরকে অনেকেই মুসলিম মনে করেনা কিন্তু আজ জুমার খুতবায় কি শুনলাম?

সৌদি’আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শিয়া অধ্যুসিত কাতিফ শহরে গত সপ্তাহে জুমার নামাযের সময় শিয়াদের মসজিদে যে হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানিয়ে হাইল শহরের এক জামে মসজিদের ইমাম জুমার খুতবায় বলছিলেনঃ

মুসুলমাণদের একটিই মাত্র মাজহাব, আর তা হল ‘ইসলাম, ইসলাম ভিন্ন মুসলমানদের অন্য কোন মাজাহাব নাই। ইসলামের বিপরীত যা কিছু, তা সবই কুফর। যারা নামাজরত মুসলমানদের হত্যা করেছে তারা বিভ্রান্তু। পিছন থেকে মাসুম লোকদের হত্যা করা, মাসুম জান ও মালের খেয়ানত করা জুলম। যিহাদ হল কুফুরের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ। পিছন থেকে বেগুনাহ লোকদের হত্যা করা জিহাদ নয়, বরং পবিত্র জিহাদের অবমাননা।

তিনি আরো বলেনঃ

ইসলামের চার খলিফার ভিতর তিন জনকেই হত্যা করা হয়েছে। আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)কে যে হত্যা করেছে তার নাম ছিল আব্দুর রহমান, সে কুর’আনে হাফেজ ছিল, নিয়মিত কুর’আন তেলাওয়াত করত, কিন্তু তাতে কি লাভ হল? বিভ্রান্তি তাকে, আমিরুল মু’মিনিন, খলিফাতুল মুসলিমিন, আশারেয়ে মোবাশ্বারার একজন, আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ)কে খুন করতে প্ররচিত করেছে!

অতএব আমাদেরকে সকল বিভ্রান্তির উর্ধে উঠে সলফে সালেহিনের পথ অনুসরণ করে কুর’আন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে হবে। ইসলামের কথা বলে আবেগ তারিত হয়ে আমদের কেউ যেন ভুল পথে পা না বাড়ায় সে দিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ...............।

বিষয়: বিবিধ

১১৩৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323311
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৪
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : এই কথাগুলো যদি সারা পৃথিবীর অসংখ্য গ্রুপে বিভক্ত মুসলমানেরা ঠিক ভাবে বুঝত আর অনুসরণ করতে পারত!
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:২১
264716
আবু জারীর লিখেছেন : ইসলামী সংগঠন গুলোর উচিৎ স্বকৃয় ভাবে এমন বক্তব্য গুলো মানুষের মাছে ছড়িয়ে দেয়া। ধন্যবাদ।
323312
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : আবু জারীর: চমত্কার খুতবাটার বিষয়টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ |
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:২২
264717
আবু জারীর লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
323313
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ধরনের বোমা হামলা কোনভাবেই জিহাদ নয়।
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:২২
264719
আবু জারীর লিখেছেন : পাগলামি আর ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই না।
ধন্যবাদ।
323319
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:১৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:২৩
264720
আবু জারীর লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
323321
২৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:৪৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। আবু জারীর ভাইয়া অনেকদিন পর আপনার কোন লেখায় মন্তব্য করছি। ভাইয়া আমরা যেন একচোখা না হয়ে যাই। হুতিদের সাথে যুদ্ধে নিরীহ শিয়া হত্যা অবশ্যই কোনভাবেই সমর্থন করা যায়না এর প্রতিবাদ করা উচিত কিন্তু পাশাপাশি সিরিয়ায় ইরানী সেনাবাহিনী ও শিয়া আসাদের সিরিয়ান আর্মি, হেজবুল্লাহ ও ইরাকে শিয়া ইরাকি আর্মি ও শিয়া মিলিশিয়া সদর বাহিনী কর্তৃক যখন সিরিয়া ও ইরাকজুড়ে কয়েকলাখ নিরীহ সুন্নী হত্যা করা হয়েছে ও হচ্ছে, নির্মমভাবে গণহারে সুন্নী নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে ও হচ্ছে, ক্যামিকেল ওয়েপন দিয়ে হাজার হাজার নিরীহ সুন্নী শিশু হত্যা করা হয়েছে ও হচ্ছে, এরও প্রতিবাদ করা উচিত সমানভাবে। অথচ অজানা কারণে আমরা এব্যাপারে চুপ থাকি, পাছে ইরান আবার নাখোশ হয়! খারিজি ও শিয়াদের সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। "হে আলী! তোমার মাঝে ঈসা ইবন মারিয়ামের উদাহরণ রয়েছে, ইয়াহুদীরা তার প্রতি এমনই বিদ্বেশ পোষণ করেছিল যে, তারা তার মা কে পর্যন্ত অপবাদ দিয়েছিল। পক্ষান্তরে নাসারাগণ তার প্রতি এমনই ভক্তিপোষণ করেছে যে, তারা তাকে ঐ মর্যাদায় সমাসীন করেছে করেছে যার উপযুক্ত তিনি নন।

হাদিসটি হারিস ইবনে হাসীরাহ হতে, তিনি আবু সাদিক হতে, তিনি বারীয়া ইবন নাজিদ হতে, তিনি হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।

“হযরত আলী (রাঃ) মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বললেন: সাবধান! ২ শ্রেণীর লোক আমাকে কেন্দ্র করে হালাক হবে। সীমাতিরিক্ত ভক্তি পোষণকারী (শিয়া), যে আমার এমন প্রসংসা করবে যা আমার মাঝে নেই, দ্বিতীয়ত: এমন বিদ্বেশ পোষণকারী (খারেজী) যে আমার প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করবে। শুনে রাখ, আমি নবী নই, আমার প্রতি কোন ওহী নাজিল হয়না, তবে আমি আল্লাহর কোরান ও তার নবীর সুন্নতের উপর যথাসম্ভব আমল করি। সুতরাং আল্লাহর আনুগত্যের যে আদেশ আমি তোমাদের করি পছন্দ হোক বা না হোক সে ব্যাপারে আমার আনুগত্য করা তোমাদের কর্তব্য।(তথ্যসূত্র: গ্রন্হ "হযরত আলী রাঃ জীবন ও খিলাফত" লেখক: সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী। বইটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকেও প্রকাশ হয়েছে বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আবূ তাহের মেসবাহ)”
আর খারিজী সম্পর্কে হাদিস: মূসা ইবনে ইসমাইল (রঃ)..ইউসায়ের ইবনে আমর (রাঃ)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি সাহল ইবনে হুনায়েফ(রাঃ) কে জিঙ্গাসা করলাম,আপনি নবী (সাঃ)কে খারেজীদের সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন কি?তিনি বললেন,আমি তাকে বলতে শুনেছি, আর তখন তিনি তার হাত ইরাকের দিকে বাড়িয়েছিলেন যে,সেখান থেকে এমন একটি কওম বের হবে যারা কুরআন পড়বে সত্য,কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না, তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। (বুখারী-৬৪৬৫)
আলী (রাঃ) এর হত্যাকারী আবদুর রহমান ছিল খারেজীদের একজন।
তাই আলেমরা এব্যাপারে খুব স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন, তারা শিয়া ও খারেজীদের ইসলাম থেকে বিচ্যুত বলেছেন তবে কাউকে কাফির বলেননি, যেহেতু আল্লাহর রাসূলও (সাঃ) কাফির বলেননি।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) বলেছেন, মুসলিম নির্যাতনে কাফিরদের সহায়তাকারী মুসলিমও কাফির। কাজেই আমেরিকার চামচা সৌদি আর রাশিয়ান চামচা ইরান ২টা কেও এক কাতারে ফেলি।
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:২৫
264721
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহু আলম।
ধন্যবাদ। ভাই।
৩০ মে ২০১৫ রাত ০১:৪১
264765
আবু জান্নাত লিখেছেন : মা শা আল্লাহ, দারুন সংগ্রহ থেকে কথাগুলো লিখেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইর। @ঘুম
323348
২৯ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৭
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : কাউকে অমুসলিম ঘোষনার পূর্বে জানতে হবে যে মুসলিম হতে কি লাগে। দুঃখজনক হলেও সত্যযে আজ অনেক হাফ মোল্লা টাইপের ইসলাম পন্থি আছে যারা কথা কথা সামান্য বিরোধের জন্য প্রতিপক্ষকে কাফের, মুনাফেক, ইহুদিদের দালাল ইত্যাদি শব্দ গুলো ব্যাবহার করে।
323371
৩০ মে ২০১৫ রাত ০১:০৫
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
323378
৩০ মে ২০১৫ রাত ০১:৪২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ভাই, সৌদি আরবের খুৎবাহ গুলো কোন ওয়েন সাইটে প্রকাশ করা হয়, জানা থাকলে জানাবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
323388
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৫:২৬
কাহাফ লিখেছেন :
শিয়াদের বহু মতের মধ্য দু'একটা ছাড়া অধিকাংশই ইসলামের গন্ডি বহির্ভূত! তবে' যতক্ষণ পর্যন্ত ওরা তাওহিদ-সালাত আদায় করবে, তাদের কে এ ভাবে হত্যা করা ঠিক নয়!
১০
323390
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৫:৩৬
সাদাচোখে লিখেছেন : খতিবের বক্তব্যটি যথার্থ। শতভাগ গ্রহনযোগ্য।

-----------

কিন্তু এ বক্তব্যসমূহের এ্যাফেক্ট আম জনতা কিংবা সমাজে রিফ্লেক্ট হচ্ছে না - এই জন্য যে - ওনারা মানুষের মনস্তত্বঃ নিয়ে, মানুষের ক্ষুদ্ধতার বিষয় সমূহ আমলে না নিয়ে শুধু মাত্র একাংশ নিয়ে কথা বলেন (বেশীর ভাগ)।

যে কোন অবিচার, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন - ইসলামে হারাম। আম জনতা তা জানে। এবং তাকে সামর্থ্য ও সুযোগ থাকলে প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্বভাবতঃই মানুষ মসজিদের মত সপট টার্গেটে আঘাত করে (আমি সাপোর্ট করছি না) - যখন কোন বিহিত করতে না পারে, এ্যাংগার ম্যানেজ করতে না পারে।

যদি খতিব রা কষ্ট করে কোরান হাদীসের আলোকে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে কথা বলতো (রাজা/মন্ত্রী ইত্যাদিকে আমলে না নিয়ে) - আম মানুষ - তাদের রাগ, ক্ষোভ প্রশমন করতে পারতো এবং অমন আত্মঘাতি হতে হতো না।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File