বায়না
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৫ মে, ২০১৫, ০৫:৪৪:১৯ বিকাল
বায়না
বেবি আমার বেজায় ভালো
মনটা তাহার সাদা
পড়তে পড়তে পাড় করে দেয়
রাত্র গুলোর আধা।
নিত্ত নতুন বায়না ধরে
লাগবে এটা ওটা
সাধ্য মত চেষ্টা করি
দেইনা কষ্ট ফোটা।
কালকে রাতে বায়না ধরছে
লাগবে নাকি ট্যাব
বললাম খুকু পাবে তবে
লাগবে একটু গ্যাপ।
টাপুর টুপুর কয়েক ফোটা
ঝরিয়ে চোখের জল
রেগে মেগে, লাগবেনা সব
বুঝেছি তোমার ছল।
সিক্সের ছাত্রী ট্যাব কেন চায়
ঢুকছে নাকো মাথায়
কলেজে উঠলে দিব এসব
কাজ হচ্ছেনা কথায়।
বান্ধবীদের এটা ওটা
আছে অনেক কিছু
তাইত বেবি বায়না নিয়ে
ধরছে বাবার পিছু।
বিষয়: সাহিত্য
১১১৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
ছবিতে দুজন ওরা কি আমাদের ভাতিজি?
বান্ধবীর অনেক কিছু আছে এটা কিন্তু বাচ্চাদের অনেক প্রভাবিত করে। আর বয়সটাই এমন এখন যা চায় তা সব কিছু ছেড়ে দেয়াও কঠিন!বোঝাতে থাকেন আশা করি বুঝবে! আমি কন্ডিশন দেই যেমন বলি সূরা মুখস্থ করো কয়েকটা, ওমুক সাবজেক্টে এটা মার্ক পেয়ে দেখাও ইত্যাদি! দীর্ঘমেয়াদী মা করে স্বল্প পরিসরে করে ট্রাই করে দেখতে পারেন ।
শুকরিয়া। শুভকামনা জানবেন!
আসলে আপনাদের পরামর্শ্বের আশায়ই পোস্ট করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্ সুন্দর পরামর্শ্ব পেয়েছি।
আমি অবশ্য তিনটা শর্ত দিয়েছি।
০১) পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে
০২) নিয়মিত কুর'আন অধ্যায়ন করতে হবে।
০৩) এমন কোন ভিডিও ক্লিপ দেখা যাবেনা বা গেম খেলা যাবেনা যেগুলো বাবা মায়ের অপছন্দনীয়।
শর্তগুলো নাকি খুব সহজ। আশা করি সে পালন করবে।
ফজরের নামাযের ব্যাপারে তার একটু কথা ছিল সে ব্যাপারটা সহজ করে দিয়েছি। কোন কারণ যেদি সে সময়মত না উঠতে পারে তাহলে যখনই উঠবে আপাতত তখনই ফ্রেস হয়ে প্রথেম নামায পড়ে নিবে।
কন্টিনিউ তিন মাস করে দেখানর পরেই কেবল সে তার কাঙ্খিত ট্যাব পাবে তবে তার ছোট্ট বোন এবং মায়ের সাথেও শেয়ার করতে হবে।
একজন আমার বেবি আর একজন তার বান্ধবী।
তাকে বুঝিয়ে বললে সে বুঝে এবং তার পজেটিভ দিক হল সে যথেষ্ট উদার। বেশিরভাগ সময়ই সে নিজের টিফিনের টাকা পুরটাই ভিক্ষুকদের দিয়ে দেয়। এমনকি ৫০/১০০টাকার নোট হলেও পুরটাই দিয়ে দেয়। নিজে না খেয়ে পুরটাই দিয়ে দেয়ার জন্য তার আম্মু তিরস্কার করে, মায়ের মন বলে কথা। কিন্তু আমি উৎসাহ দেই। নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়ান যে কতবড় উদারতা তা ব্যাখ্যা করে বুঝান যাবেনা। বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
তাকে তিনটা শর্ত দিয়েছি আশাকরি সে পালন করবে।
পঞ্চমশ্রেণী পর্যন্ত আমি তার হিজাবের ব্যাপারে বেশ টেনশানে ছিলাম। স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় যতবার তার মাথায় স্কার্ফ দিয়েছি ততবারই ফেলে দিয়েছ। মাঝে মধ্যে নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রল করেছি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে সে ষষ্ঠ্য শ্রেণীতে ওঠার সাথে সাথেই হিজাব করা শুরু করেছে। যদিও প্রচলিত বোরকা এখনও দেইনি তবে সে বোরকাও পরবে বলে আমার বিশ্বাস জন্মেছে। আমার দ্বিতীয় বেবিটাও মাশা'আল্লাহ ভদ্র এবং ভালো। তারা দুজনই ঢাকার একটা ভালো স্কুলে পড়ে এবং ছাত্রী হিসেবেও ভালো, আলহামদুলিল্লাহ্। এসব কিছুর পিছনে আল্লাহর অশেষ রহমতের আলোকে তার মায়ের শ্রম ও প্রচেষ্টার জন্য আমি আল্লাহর কাছে শুকুরগুজার এবং তার আম্মুর কাছে কৃতজ্ঞ।
ওদের জন্য দুয়া কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপু।
ধ ন্য বা দ।
সে এখন নিয়মিত নামায পড়া শুরু করেছে। তার রোল বর্তমানে ২২, এক থেকে ৩ এর মধ্যে আসার টার্গেট নিয়ে পড়া শুরু করেছে। তার মা অবশ্য বেশ শতর্ক। জানিনা কি করব। আল্লাহ আপনার নেক দুয়া কবুল করুন। ধন্যবাদ আপু।
বাকি দায়িত্ব আপনার এবং ভাবীর।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন