হালাল ক্রিকেট, হারাম ক্রিকেট??

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২০ মার্চ, ২০১৫, ০৯:১২:৫২ রাত



১৯৯৩ এর বিশ্ব কাপ থেকে ক্রিকেট ভক্ত হই। তার পর থেকে এই খেলাকে কেন্দ্র করে কত যে হেসেছি আর কত যে কেঁদেছি তার হিসেব নেই। আমার মত অসংখ্য তরুণেরই একই অবস্থা। অবশ্য এখন শিশু বুড় মহিলারাও এই রোগে আক্রান্ত! পছন্দের দলকে জেতানর জন্য প্রায় সকলেই আল্লাহর কাছে দোয়া করে আবার অনেকে আছে পছন্দের দলকে হারানর জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া করে! যাদের দোয়া আর দাওয়ায় বেশী তেঁজ তারাই জিতে আর যাদের দোয়া এবং দাওয়ার তেঁজ কম তারা হারে।

পছন্দের দলকে জেতানর জন্য আল্লাহর অপছন্দনীয় বান্দরা অর্থাৎ যারা খেলায় জেতার জন্য ছাড়া কখনো আল্লাহর ধার ধারেনা তারা দুয়া করে। আর যারা সর্বদা আল্লাহর দরবারে হাত তুলে, যারা আল্লাহর প্রিয় তারা নিজেদের দলের হারের জন্য দোয়া করে। কারণ জিতলেইতো পরের দিন আনন্দ মিসিল বের হবে আর তাতে অসংখ্য মেয়ের শরীরে হাত দিয়ে বেহায়া সমর্থকেরা রং লাগানো হবে। অফিসগামী অসংখ্য মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে।

আজকে আমি ক্রিকেটের ভালো এবং খারাপ দিকের প্রতি সবার দৃষ্ট আকর্ষণ করব এবং বন্ধুদেরকেও তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরার আহবান জানাবঃ

আসুন আমরা শুরুতেই ক্রিকেটের ভালো দিক গুলো তুলে ধরিঃ

০১) ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা, এতে মারামারি কাটাকাটি দাঙ্গা ফাসাদ নাই যেমনটা হয়ে থাকে ফুটবল ও হাঢুডু সহ অন্যান্য খেলায়।

০২) যারা খেলা বুঝে তারা ব্যাপক বিনোদন পায়।

০৩) ট্রাউজার পড়ে খেলা যায় বলে ফরজ তরক হয়না।

০৪) আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন কোন মুসলিম খলোয়াড়ের নাম নেয় তখন নিজেদের মুসলমান ভাবতে ভালো লাগে।

০৫) মুসলমানদের যারা চির শত্রু তাদের পরাজিত করতে পারলে নিজেদের মধ্যে একটা জেহাদী জজবা আসে আর নিজেকে কেমন যেন মুসা বিন তারেক, তারেক বিন জিয়াদ, সাহউদ্দিন আয়ুবী আর মোহাম্মদ বিন কাসিম মনে হয়।

ক্রিকেটের খারাপ দিকঃ

০১) একটা অলস জাতি তৈরী হয়, যারা কোটি কোটি কর্ম ঘণ্টা নষ্ট করে খেলা দেখে।

০২ ) বেশুমার অর্থের অপচয় হয়। অথছ কোটি কোটি বনি আদম না খেয়ে দিন কাটায়।

০৩) একজন ক্রিকেটার তৈরী করতে হাজারো, লাখো তরুণের কেরীয়ার নষ্ট হয়। অথচ পড়া লেখায় মনযোগী হলে কারো কেরিয়ারই নষ্ট হয়না। যোগ্যতা বলে সবাই নিজ নিজ স্থান তৈরী করে নিতে পারে।

০৪) এক একটা খেলার সাথে কত ধরণের বানিজ্য এবং জুয়া যে জড়িত তা একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বুঝা যায়। আজ জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে এক পাকিস্তানির দোকানে গেলাম পানির জ্যন, অন্য এক পাকিস্তানী মুরুব্বিও নামাজ পড়ে এসেছেন, দোকানদার এবং ক্রেতা পাকিস্তানী পরষ্পর শর্ত লাগাচ্ছে পাকিস্তানের হার জিত নিয়ে। অথছ এধরণের বাজি ধরা সম্পূর্ণ হারাম কিন্তু দুই নামাজী ব্যক্তি নামাজ শেষে এমনই একটা হারাম কাজ করছে অথছ তারা বুঝতেও চেষ্টা করছেনা যে এটা হারাম।

০৫) পছন্দের দল হেরে যাওয়ায় আত্ম হত্যার মত ঘটনাও ঘটেছে এবং সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনাতো নিত্য নৈমেত্তিক। ভারতের কতক মুসলিম ছাত্রকে পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঢাকার জগন্নাথ হলে গত বিশ্বকাপের সময় কিছু ছাত্র ভারতকে সমর্থন করলে দুই গ্রুপের মধ্যে বৎসা হয় এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহতিতে রূপ নেয়।

০৬) বিজয়ী দলের সমর্থকেরা আনন্দ মিসিলের নামে রাস্তা ঘাটে পথচারীদের চলা চলে চরম বিঘ্ন ঘটায়। মেয়েদের শরীরে এমনকি ষ্পর্সকাতর জায়গায় হাত দিয়ে পর্যন্ত রং মাখায়।

০৭) ধনির দুলালেরা মাত্রাতিরিক্ত পান করে টাল হয় আর গরীবেরা মান হীন তারি আর স্প্রিট পান করে জীবন বিপন্ন করে।

০৮) উন্নত দেশ গুলোর রাস্তায় তরুণেরা রাত ভর উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজিয়ে ওভার স্পিডে গাড়ি চালায় ফলে সাধারণ মানুষের চলা চলে বিঘ্ন ঘটে এবং দূর্ঘটনায় জান মালের ক্ষতি হয়।

০৯) ইবাদত বন্দিগিতে ব্যাঘাত ঘটে। খেলোয়াড়েরা যথা সময় নামায পড়তে পারেনা। আজকে কোন পাকিস্তানী খেলোয়াড়ই জুমার নামায পড়তে পারেনি। অনেক মুসুল্লিরই জামায়াত ছুটে যায়।

১০) মূল পর্বের খেলায় নির্দিষ্ট ট্রাউজারের কারণে ফরজ তরক না হলেও প্রস্তুতি মূলক ওয়ার্ম’আপে অনেককেই শর্ট প্যান্ট পড়ে ফুটবল নিয়ে দৌড় ঝাপ করতে দেখা যায়।

উপসংহারঃ

খেলাধুলা ইসলামে হারাম নয় তবে যে সকল খেলায় উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা বেশী এবং জুয়া জোচ্চুরির সুযোগ আছে তা অবশ্যই হারাম।

ছাত্ররা যদি পড়া লেখার ফাকে ফাকে চিত্ত বিনোদনের জন্য লেখাপড়ায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বিকেলে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

শ্রমিকরা যদি তাদের ডিউটির পড়ে অবসর সময় আনন্দ ফুর্তির জন্য কাজ কর্ম এবং ইবাদতের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

কৃষকেরা যদি কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়ে অবসর সময়ে স্থানীয় ভাবে আনন্দ ফুর্তির জন্য খেলাধুলা করে তবে তা হারাম হবে কেন?

সৈনিকেরা যদি তাদের শরীর ঠিক রাখার জন্য সকালে বিকেলে খেলাধুলা করে তবে তা হারম হবে কেন?

বুড়রা যদি সকালে বিকেলে শারিরীক পরিশ্রমের জন্য দল বেঁধে দৌড়ায় তাহলে তা হারাম হবে কেন?

পুরুষ মহিলা সবার জন্যই নিজ নিজ গণ্ডির মধ্যে থেকে এগুলো করলে তা হারাম হবার কারণ দেখিনা।

বর্তমান ফর্মেটে অনুৎপাদন মূলক খেলাধুলার পিছনে যে বিগ বাজেট ব্যবহার হচ্ছে এবং যে পরিমাণ জুয়া যোচ্চুরি হচ্ছে অথছ কোটি কোটি বনি’আদম নাখেয়ে মরছে তাতে কোন যুক্তিতে এধরণের খেলাধুলাকে কোন বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারে তা আমার বুঝে আসেনা।

আমার কলীগ ইন্ডিয়ান ভদ্রলোক, ইঞ্জিনিয়ার রামা কান্ত গতকালই আমাকে বলছিল তার এক খেলোয়াড় বন্ধু প্রথম শ্রনীর ক্রিকেট খেলে। ছাত্র অবস্থায় সে সর্বদা ব্যাক বেঞ্চার ছিল অথচ সে’ই চলতি মৌসুমের জন্য স্থানীয় ক্লাবের সাথে মাত্র ১৪ কোটি রুপিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার রাম ২৫ বছর লেখা পড়া করে এখন যেখানে বছরে ১০/১২ লাখ টাকা কামায় সেখানে তার সেই বন্ধুর ইনকাম ১৪ কোটি! এই আপসোস তাকে কতদিন তাড়িয়ে বেড়াবে কে জানে। তবে একটু চেষ্টা করলেই অনেক রামই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, হতে পারে কিন্তু হাজার জনের কেরিয়ার নষ্ট করে একজন খেলোয়াড় বেড়িয়ে আসে কিন্ত সেই খেলোয়াড় কোন উৎপাদনমূলক কাজ করেনা।

ইসলামী আন্দলনের এক কর্মী যিনি পেশায় প্রকৌসুলি। কর্ম জীবনের একটা বড় অংশ কুয়েতে ছিলেন। কুয়েতে থাকাকালিনই তার একমাত্র ছেলেকে ক্রিকেট বাতিখে পেয়ে বসে। ছেলে লেখাপড়া ছেড়ে ক্রিকেটের পিছনে সময় নষ্ট করে। কোনভাবেই ছেলেকে পড়ার টেবিলে বসান যাচ্ছিলনা। অনেক ভেবে চিন্তে দেশে চলে আসে। কিন্তু দেশে চলে আসলে বিষয়টা হীতে বিপরীত হয়। কুয়েতে থাকতেতো অন্তত মাঝেমধ্যে বাসায় পাওয়া যেত এখন তাও পাওয়া যায়না। ছেলেই বরং বাবাকে যুক্তি দিয়ে বলে, ‘২৫ বছর লেখা পড়া শেষে ২০ বছর ইঞ্জিনিয়ারী করে ঢাকায় একটা বাড়ি করেছ, আর আমি যখন জাতীয় দলে খেলব তখন দেখবা এক মৌসুমের টাকা দিয়েই এরকম ৫টা বাড়ি বানাব’! ছেলের যুক্তি ঠিকই আছে কিন্তু সে ছেলে জাতীয় দলেও চান্স পায়নি আর তার বাড়ি বানানর স্বপনও স্বপনই রয়ে গেছে। হয়ত তাকে বাবার বাড়িও শেষ পর্যন্ত বিক্রি করে খেতে হবে। বাবা দুনিয়ায় যেমন একটা বাড়ি বানিয়েছিলেন তেমনি নামায রোজা এবং ইসলামী আন্দলন করে আখেরাতেও বাড়ি বানিয়েছেন। পক্ষান্তরে ছেলে বকলম রয়ে গেছে এবং নামাজ রোযায়ও অমনযোগি তাই তাকে দুনিয়ার বাড়িও হারাতে হবে আর পরকালের বাড়িরতো প্রশ্নই ওঠেনা, যদিনা আল্লাহ তার প্রতি স্পেশাল রহমত করেন।

বিষয়: বিবিধ

২৩৮৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310089
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৩১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
বিজয়ী দলের সমর্থকেরা আনন্দ মিসিলের নামে রাস্তা ঘাটে পথচারীদের চলা চলে চরম বিঘ্ন ঘটায়। মেয়েদের শরীরে এমনকি ষ্পর্সকাতর জায়গায় হাত দিয়ে পর্যন্ত রং মাখায়।


‘২৫ বছর লেখা পড়া শেষে ২০ বছর ইঞ্জিনিয়ারী করে ঢাকায় একটা বাড়ি করেছ, আর আমি যখন জাতীয় দলে খেলব তখন দেখবা এক মৌসুমের টাকা দিয়েই এরকম ৫টা বাড়ি বানাব’!


আপনি কথাগুলো অনেক ভাল লেগেছে।

খেলাধুলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, আলহামদুলিল্লাহ্‌, ইনশাল্লাহ বলা আমার কাছে খুব হাস্যকর মনে হয়! অন্যরা মানা যায়,যখন ইসলামী আন্দোলনের ভাইয়েরা খেলার জন্যো মুখে তাসবীহ গুনা শুরু করে তখন বিরক্তির সীমা থাকে না! আমরা বলি, আন্দোলনের পথে আবেগ বর্জনীয় আবার আমরাই...

আল্লাহ খেলায় সাহঅ্যা করবেন, এই কথা মনে হলে হাসব নাকি কাঁদব ভেবে কূল পাই না।


খেলা আমিও পছন্দ করি, আমি অবশ্য ফুটবল বেশি পছন্দ করি, কিন্তু কখনো এমন হয়য় নি আমি বলেছি আল্লাহ আমার দল কে জিতিয়ে দাও!!!!


২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:০৩
251119
আবু জারীর লিখেছেন : মুমিনরা আসলে খেলার জন্য দোয়া করেনা। তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য থাকে অমুসলিম খেলোয়াড়দের সামনে যেন মুসলিম খেলোয়াড়রা পরাজিত না হয় বা অমুসলিম খেলোয়াড়দের উপর মুসলিম খেলোয়াড়দের শেষ্ঠ্যত্ব প্রতিষ্ঠা বিষয়টা যদিও হাস্যকর।
ধন্যবাদ।
310097
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ফুটবল কিন্তু আমর একদম পছন্দ করিনা!
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:০৬
251120
আবু জারীর লিখেছেন : ফুটবল অপছন্দ হওয়ার কারণ নাই যদি তা শিশু কিশোরদের মধ্যে সীমিত থাকে এবং শরীয়তের বিধান লঙ্গন না করে বড়রাও খেলে। বিশ্ব কাপের নামে বা জাতীয় লীগের নামে অনুৎপাদন মূলক খেলাকে যখন পেশা হিসেবে নেয়া হয় তখনই কেবল তা দোষনীয়।
ধন্যবাদ।
310132
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৪৫
আফরা লিখেছেন : একেতো মেয়ে মানুষ আর যেখানে থাকি ক্রিকেট খেলা নেই তাই তেমন বুঝি ও না পছন্দ ও নয় । আপনার যুক্তি দিয়ে লেখাটা অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া ।

ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:১০
251136
আবু জারীর লিখেছেন : তার পরেও এত বড় লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
310136
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পুরাপুরি একমত হতে পারছিনা। পেশাদার খেলোয়ার হওয়া একটি যোগ্যতা। একজন ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে তার তুলনা হতে পারেনা। একজন খেলোয়াড় কিন্তু চিরজিবন ধরে আয় করতে পারেনা। আর নিজ দেশে পতাকাবহনকারি একজন খেলোয়াড় জনপ্রিয় হবে এটা দেখে ঈর্ষা বোধ করা কিছু নাই। এই বিষয়ে একটি ঘটনা মনে পড়ছে। সত্যজিত রায় ভারতরত্ন উপাধি পেলে তার এক সহপাঠি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নাকি হাহাকার করেছিলেন যে তিনি বিএ পরিক্ষায় সত্যজিত রায় থেকে অনেক বেশি নম্বর পেয়েছিলেন!! এই ভাবে বিবেচনা করলে মানুষ হবে কেবল যন্ত্র। ইনপুট আউটপুট এর রেশিও ই যার একমাত্র মর্যাদা।
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৪
251141
আবু জারীর লিখেছেন : আপনার কথা ঠিক আছে কিন্তু বিষয়টা হল আনপ্রডাক্টিভ কাজের পিছনে এত বড় বাজেট এবং তাকে কেন্দ্র করে জুয়া জোচ্চুরি। আমি মূলত এগুলোই তুলে ধরতে চষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ।
310147
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এক একটা খেলার সাথে কত ধরণের বানিজ্য এবং জুয়া যে জড়িত তা একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বুঝা যায়। আজ জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে এক পাকিস্তানির দোকানে গেলাম পানির জ্যন, অন্য এক পাকিস্তানী মুরুব্বিও নামাজ পড়ে এসেছেন, দোকানদার এবং ক্রেতা পাকিস্তানী পরষ্পর শর্ত লাগাচ্ছে পাকিস্তানের হার জিত নিয়ে। অথছ এধরণের বাজি ধরা সম্পূর্ণ হারাম কিন্তু দুই নামাজী ব্যক্তি নামাজ শেষে এমনই একটা হারাম কাজ করছে অথছ তারা বুঝতেও চেষ্টা করছেনা যে এটা হারাম।


ছাত্ররা যদি পড়া লেখার ফাকে ফাকে চিত্ত বিনোদনের জন্য লেখাপড়ায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বিকেলে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

শ্রমিকরা যদি তাদের ডিউটির পড়ে অবসর সময় আনন্দ ফুর্তির জন্য কাজ কর্ম এবং ইবাদতের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

কৃষকেরা যদি কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়ে অবসর সময়ে স্থানীয় ভাবে আনন্দ ফুর্তির জন্য খেলাধুলা করে তবে তা হারাম হবে কেন?

সৈনিকেরা যদি তাদের শরীর ঠিক রাখার জন্য সকালে বিকেলে খেলাধুলা করে তবে তা হারম হবে কেন?

বুড়রা যদি সকালে বিকেলে শারিরীক পরিশ্রমের জন্য দল বেঁধে দৌড়ায় তাহলে তা হারাম হবে কেন?

পুরুষ মহিলা সবার জন্যই নিজ নিজ গণ্ডির মধ্যে থেকে এগুলো করলে তা হারাম হবার কারণ দেখিনা।

জাজাকাল্লাহ খায়রান। কেলার উদ্দেশ্যই হল শরীর চর্চা। আর ইসলামে শরীর চর্চার উদ্দেশ্য বেশ কিছু। এর প্রধানতম উদ্দেশ্য জিহাদ। কিন্তু খেলাধুলাকে পয়সা ইনকামের মাধ্যম বানানো হারাম। ইসছাত্ররা যদি পড়া লেখার ফাকে ফাকে চিত্ত বিনোদনের জন্য লেখাপড়ায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বিকেলে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

শ্রমিকরা যদি তাদের ডিউটির পড়ে অবসর সময় আনন্দ ফুর্তির জন্য কাজ কর্ম এবং ইবাদতের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে খেলাধুলা করে তাহলে তা হারাম হবে কেন?

কৃষকেরা যদি কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়ে অবসর সময়ে স্থানীয় ভাবে আনন্দ ফুর্তির জন্য খেলাধুলা করে তবে তা হারাম হবে কেন?

সৈনিকেরা যদি তাদের শরীর ঠিক রাখার জন্য সকালে বিকেলে খেলাধুলা করে তবে তা হারম হবে কেন?

বুড়রা যদি সকালে বিকেলে শারিরীক পরিশ্রমের জন্য দল বেঁধে দৌড়ায় তাহলে তা হারাম হবে কেন?

পুরুষ মহিলা সবার জন্যই নিজ নিজ গণ্ডির মধ্যে থেকে এগুলো করলে তা হারাম হবার কারণ দেখিনা। ইসলামে খেলাধুলা হল অন্য কিছু অর্জনের একটি টুলস,এটিই লক্ষ্য নয়। আর আমরা এটাকেই উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি। তাতে উম্মাদ জনতা পেয়েছি
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৩৫
251143
আবু জারীর লিখেছেন : ইসলামে খেলাধুলা হল অন্য কিছু অর্জনের একটি টুলস,এটিই লক্ষ্য নয়।

আর আমরা এটাকেই উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

সমস্যাটা এখানেই।
ধন্যবাদ।
310148
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৫
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : ক্রিকেট খেলা আমিও পছন্দ করিনা । ক্রিকেটের খারাপ দিক গুলো জেনেও এই খেলা কেউ পছন্দ করবে কিনা সন্দেহ ? সুন্দর বিশ্লেষণ ,আবু জারীর ভাই অনেক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৩৬
251144
আবু জারীর লিখেছেন : ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
ভালো থাকুন।
310172
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় ভাইয়া। আপনার লিখাটির বিষয় বস্তুর ব্যাপারে আমার সঠিক হাদিস জানা নেই। তাই বিশ্লেষণ করা একটু দুরূহ। তবে ইদানীং শুধু ক্রিকেট নয় যেকোন খেলার নামে যা ঘটছে তা কোন সুস্থ মানুষ গ্রহণ করতে পারে না।
লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:০২
251165
আবু জারীর লিখেছেন : ওয়ালাইকুম'আসসালাম।
হ্যা আপু। যদিও ক্রিকেট নিয়ে লিখেছি কিন্তু বিষয়টা সব খেলার জন্যই প্রযোজ্য। ধন্যবাদ।
310175
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : চাইতে হলে তো যিনি দিয়ে থাকেন তার কাছেই চাওয়া উচিৎ৷ দেওয়া না দেওয়া তার ব্যাপার৷ আবার চাইলেই যে পাওয়া যাবে এমন গ্যারান্টি নেই৷অবশ্য যারা পাওয়ার উপযুক্ত তারা পায়ই৷ ভাল মন্দ সব বিষয়েই আছে৷ ব্যবহারের উপর নির্ভর করে৷ আপনার বিশ্লেষণ ভাল লাগল৷ধন্যবাদ৷
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:০৫
251168
আবু জারীর লিখেছেন : চোরে যখন চুরি করে তখন সেও আল্লাকে ডাকে। আর গৃহস্ত যখন ঘুমায় তখন তাদের অনেকেই আল্লাহকে ভুলে থাকে।

ব্যবহারটাই আসল। আমার যা খোলা চোখে দেখছি তাতেই বুঝতে পারছি যে বর্তমান ফর্মেটের প্রায় সকল খেলাধুলার সাথেই জুয়া যোচ্চুরি জড়িত।
ধন্যবাদ।
310194
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:১১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। লিখাটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং চক্ষু উন্মোচনকারী! শুকরিয়া ভাই সুন্দর বিবরনের জন্য!

Good Luck
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৪৭
251240
আবু জারীর লিখেছেন : ওয়ালাইকুম'আসসালাম।
ধন্যবাদ আপু।
১০
310205
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:১৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার যুক্তিযুক্ত লিখাটা অনেক ভাল লাগলো, বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের ৬০% বেকার, তারা যেমন চাহিদামত চাকুরী পাচ্ছেনা, তেমনি ছোটখাটো কাজ করতেও তাদের বিবেকে বাধা দেয়। যারা কাজকর্ম, পড়ালেখা ও চাকুরীকে প্রাধান্য দিবে, তারা খেলা দেখে অলস সময় পার করবেনা। যাদের কোন কাজ নেই, তারা কি করবে?? একদিক থেকে একেবারে মন্দ ও না,বলতে পারি মন্দের ভাল।
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৫৩
251241
আবু জারীর লিখেছেন : তাহলেতো ঐ বেকারদের বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টাই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা সার জীবন খেলা দেখতে পারে।

তারা যদি খেলা দেখার পরিবর্তে নিজেরাই খেলে তাহলে ব্যাপারটা আরো ভালো হয়না?

সেক্ষেত্রে যে বাজেট খরচ করে বড় বড় ট্রুনামেন্ট আয়োজন করা হয় ঐ টাকা দিয়ে প্রতিটি মহল্লায় এক একটা খেলার মাঠ তৈরী করা যায় ফলে ওপেন এরিয়ার স্পেস যেমন বাড়বে তেমনি বেকারদের সময় কাটানোরও সুযোগ হবে আর বাদাম বিক্রেতারদের আয় ও বাড়বে।

ধন্যবাদ।
১১
310310
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৫৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জাযাকাল্লাহ..

আপনার বিস্তারিত লেখাটির জন্য ধন্যবাদ, যদিও বিষয়গুলোর কোন কোনটা আরো গভীর বিশ্লেষণের দাবী রাখে!


সমসাময়িক বিশ্বের যেসকল বিষয় রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কুটনীতিকে প্রভাবিত করে তাকে উপেক্ষা না করে বরং শরীয়ার সীমানায় আত্মীকরণের প্রচেষ্টাই উত্তম মনে করি!

ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাট অনেক সমস্যার সমাধান করেছে! আরো নতুন কিছু করার সুযোগ রয়ে গেছে!

নেতিবাচক বিষয়গুলো দূর হবেনা সতমানুষদের সক্ষমতাঅর্জন ছাড়া

"আর তাদের জন্য সকল ঘাঁটিতে পাহারা বসাও.."
২২ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০১
251503
আবু জারীর লিখেছেন : ওয়ালাইকুম'আসসালাম। ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

হ্যা পুর বিষয়টাই গভির বিশ্লেশানের দাবী রাখে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বিয়োগান্ত ঘটনার জন্য সমব্যথী।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File