ধারাবাহিক গল্পঃ সরকারী খরচে বিয়ে!! (৬ষ্ঠ্য পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৯ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৪৩:৪৮ সন্ধ্যা
সরকারী খরচে বিয়ে!! (৬ষ্ঠ্য পর্ব)
অবিবাহীত / অবিবাহীতা ব্লগারদের প্রতি উৎসর্গীত
পূর্ব সূত্রঃ আগামি শুক্রবার, দিন তারিখ ধার্য হয়েছে আশাকরি আমাদের নিরাস করবেন না।
আল্লাহ আপনার সর্বাঙিন মঙ্গল করুন। আমিন।
ইতি-
আপনার এক কালের ছাত্রী
শায়লা জামান মৌ
সাদী চিঠি পড়ছিল আর তার গণ্ডদেশ বেয়ে অশ্রু গড়াচ্ছিল। কখন যে সাদিয়া আর তার মা সাদীর পার্শ্বে এসে বসেছে তা সে খেয়ালই করেনি। চিঠিটা পড়ে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল। সারা জীবন আদর্শের স্লোগান দিয়েও আদর্শের নমুনা না দেখাতে পেরে সাদী নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত। সাদী ভাবছে তার চেয়ে জামান সাহেবই বরং বেশী মানবিক আচরণ করেছিল। পুরুষ্কারের হাতছানি ও প্রমশনের সম্ভাবনা থাকা সত্যেও সেই রাত্রে জামান সাহেব ভিন্ন মতের শত্রুকে হাতের মুঠয় পেয়েও মেয়ের সামান্য টিউটর হওয়ার খাতিরে জীবন বাচিয়েছিল! জামান সাহেবের সামান্য ইশারায়ই সেদিন ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যেতে পারত। জামান সাহেব, তার পরিবার আর সহক র্মীরা যে ভুল পথে আছে তা জানা সত্যেও তাদের আলোর দিশা না দিয়ে কাপুরুষের মত চিরদিনের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করা মোটেও ঠিক হয়নি। তাছাড়া জামান সাহেবের স্ত্রীর তো কোন দোষ ছিলনা। সেত নিজের ছেলেরমতই ভালবাসত। এমনতো কোন দিন যায়নি যে সে হরেক রকমের নাস্তা খাওয়ান নি। এমনতো কোন সপ্তাহ ছিলনা যে ২/৩ দিন রাতের খাবার খাওয়ান নি। এমনতো কোন মাস ছিলনা, যেমাসে টিউশুনি ফিসের চেয়ে ৫০০/১০০০ টাকা বেশী দেন নি। শায়লাকে পড়ান পাঁচ বছরে এমনতো কোন ঈদ, কুরবানি বা নববর্ষ ছিলনা যে সে শার্ট প্যান্ট দেননি। শায়লার মায়ের দেয়া একটা শার্ট এখনও আছে। অথচ সেই আমি, আদর্শের এক সৈনিক, সামান্য একটা কথায় অভিমান করে তাদের সাথে আর যোগাযোগই রাখিনি! তারা বিপদে না পরলে হয়ত আমাকে ঠিকই খুজে বের করত। বিপদে পরায় হয়ত, আমি কি না কি ভাবি সেই চিন্তায় তারা আর খবর নেন নি।
- থাক বাপ, যা হবার তাতো হয়েই গেছে, এখন চল, আমরা গিয়ে ওদের এই উপকারটা অন্তত করে আসি।
- তুমি যাবে মা?
- হ্যা যাব, এমন দিনে কারো পার্শ্বে থাকতে পারাটাইতো আসল কাজ।
- ঠিক আছে মা, আমি এখনই রওয়ানা হয়ে যাচ্ছি। প্রথমে গিয়ে ওদের প্ল্যান প্রগ্রাম জেনে কিছু কাজ করে আসি। অনুষ্ঠান যেহেতু শুক্রবার তাই বুধবার এসে তোমাদের নিয়ে যাব। আর আমি, না আসতে পারলে তুমি সাদিয়াকে নিয়ে চলে আসবা। আমি ফোন করে তোমাদের জানিয়ে দিব, কি করতে হবে।
(চলবে)
বিষয়: সাহিত্য
১৩৮০ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরের পর্ব গুলোতে ৫০০ শব্দের আশে পাশে থাকার চেষ্টা করব ইনশা'আল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাই।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি এই জিনিসটাই সবাই কে বুঝানোর চেষ্টা করতেছে, বয়স আমার ২৫ চলে, কেউ বুঝে না, আপনি বুঝলেন, কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো, থাক , আগে ঘাড় ধরিয়ে করিয়ে দেন, ধন্যবাদটা ততক্ষণ পর্যন্ত তোলা রাখলাম
খুব বাস্তব ভিত্তিক রচনা, চালিয়ে যান।
শত ব্যস্ততার মাঝেও সঙ্গ দেয়ার জন্য দন্যবাদ বদ্দা।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আহমদ মুসা ভাই।
পত্র পড়ে সাদীর চোখে গড়িয়ে পড়ে পানি
এবার হয়তো শুরু হবে নতুন কাহানী ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন