গণতন্ত্র হারাম!!!!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:১৫:২০ রাত
গণতন্ত্র হারাম!!!!
ইদানিং অনেকেই গণতন্ত্র হারাম বলে জোরে সোরে প্রচার করে বেরাচ্ছে। তাদের প্রচেষ্টায় কোন ত্রুটি আছে বলে আমি মনে করিনা। তবে তাদের এহেন কর্মে বরং বাতিল গণতন্ত্রীদেরই উপকার হচ্ছে আর ক্ষতি হচ্ছে যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দলন করছে তাদের। কারণ প্রচলিত অর্থে ইসলামী সংগঠন গুলোও গণতান্ত্রিক কর্মসূচী নিয়েই মাঠে আছে।
গণতন্ত্র হারাম বলে যারা প্রচার করছেন তারা কিন্তু সমস্যার সমাধানের কোন পথ বাতলান না, হয়ত তারা বিল্পবের খোয়াব দেখেন কিন্ত প্রকাশ্যে বলার সাহস করেন না, তা ছাড়া বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত যারাই বিল্পবী কর্মসূচী নিয়েছে তারা এমন ফান্দে পড়েছে এবং অপবাদের শিকার হয়েছে যে এখন কেউ বিল্পবের কথা শুনলেই আতকে উঠে। তাছাড়া রাসূল (সঃ) এর জেহাদ ফি সাবিলিল্লাহর ধরণ হাল আমলের বিল্পবীদের মতও ছিলনা। বলা নাই কোয়া নাই মার বোমা, কর ইসলাম প্রতিষ্ঠা! গণতন্ত্র বিরোধী অন্তরে বিল্পবীদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাইঃ
১) বর্তমান সমস্যার সামাধানের উপায় কি?
২) যারা গণতন্ত্রকে হারাম বলে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তারা আল্লাহর দীন কায়েমের কোন কর্মসূচী নিয়ে ময়দানে নাই কেন?
৩) তাদের ভবিষ্যৎ কোন পরিকল্পনা আছে কিনা থাকলে তার ধরণ কি?
৪) যারা বলে অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে কোন কাজই হয়না, যেমন সন্তান জন্ম দেয়া, আল্লাহ কর্তৃক মানুষ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। আসলে অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে কিন্তু অনেক কাজই হয়েছে। বদরের যুদ্ধের পর অধিকাংশের মত গ্রহণ করে রাসূল (সঃ) বন্ধীদেরকে কি শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেন নি? অথচ ওমর (রাঃ) একক মত ছিল ভিন্ন এবং সেটা আল্লাহর কাছেও বেশী পছন্দনীয় ছিল। এমনকি সন্তান জন্মদানেও উভয় পক্ষকে ১০০% এক মত হতে হয়, ৫০% / ৫০% হলেও কাজ হয়না।
৫) কারো যদি কোন মেয়েকে পছন্দ হয় আর সে মেয়ে যত দীনদার পরহেজগার মোত্তাকিই হোকনা কেন বাব-মা সহ পরিবারের সকলের মতামত উপেক্ষা করে নিজের মতে কিন্তু বিয়ে করা যায়না, পিতা মাতা অমত হলেতো বিয়ে শুদ্ধই হয়না, তাই না?
৬) মসজিদে একজন ইমাম রাখা হবে। সভাপতি যাকে পছন্দ করেছেন সার্বিক বিবেচনায় সেই যোগ্য কিন্তু সেক্রেটারী সহ অন্য সদস্যরা মত দিয়েছে অন্যজনের প্রতি, সেখানে কিন্তু বাধ্য হয়েই সভাপতিকে মতের কুরবানি দিতে হয়। কমিটিকে অস্বিকারের সুযোগ নাই। যদি তাই করা হয় তাহলে আমীর আর জামায়াতের ধারনা ইসলামে থাকত কি?
৭) শুরার অর্থ কি?
৮) হজ্জ্বে যেতে হলে বর্তমানে দূরের দেশ গুলো থেকে বিমানে করে যেতে হয়, যে বিমানের সেবিকারা বেপর্দা বেশরম ভাবে হাজিদের সামনে আসে যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। সমাধান কি? হারাম বলে হজ্জ পালন থেকে বিরত থাকা, নাকি পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা এবং সে আলোকে প্রচেষ্টা চালনো এবং যে পর্যন্ত সফল না হওয়া যাবে সে পর্যন্ত হজ্জ অব্যাহত রাখা।
৯) ভারত সহ পৃথিবীর অনেক দেশের পাসপোর্টেই মূর্তির ছবি আছে। আল্লাহর রাসূল (সঃ) যে কাবা শরীফকে মূর্তি থাকে পবিত্র করেছিলেন আমাদের মুসলিম ভাইরা সেই মূর্তির ছবিই বুকে ঝুলিয়ে (পাসপোর্ট ছোট্ট ব্যাগে করে বুকে ঝুলিয়ে) হজ্জ করছেন! যারা এটা করছেন তাদের নিয়ত কিন্তু আল্লহর হুকুম পালন করা। অমান্য করা নয়, কিন্তু প্রকাশ্যে আমরা কি দেখছি? দেখছি, হারাম মূর্তির ছবি বুকে ধারণ করে কতগুলো লোক আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করছে অথচ কেউ বাঁধা দিচ্ছেনা! এমতাবস্থায় হারামের ফতোয়া কার্যকর করতে গেলে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষই হজ্জ করতে পারবেনা, তাই না?
১০) মুসলিম মহিলাদের জন্য মাহাররাম ব্যতীত হজ্জে যাওয়া নাজায়েজ। মূল উদ্দেশ্য কি? কোন মহিলাই যেন মাহাররাম ব্যাতীত ছফর না করে? দুই মুসলিম দেশের সাথে গৃহপরিচারিকা পাঠানর ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে, যেখানে মহিলার সাথে কোন মাহাররাম আত্মীয় থাকবেনা। বিদেশে বিভূঁইয়ে মহিলাকে অন্যের গৃহে বছরের পর বছর কাজ করতে হবে! এটা কি হারাম না? কিন্তু কোন মুফতি এ ব্যাপারে ফতোয়া দিচ্ছেনা কেন?
কোন কোন ভালো চিন্তাও অনেক সময় সমাজকে বিভ্রান্ত করে, এজন্য রাসূল (সঃ) মুয়াজ (রা)কে ঈমান আনলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে বলে যে হাদীস আছে তা নর্ণনা করতে নিষেধ করেছিলেন, যাতে মানুষেরা শুধু ঈমান এনেই বাকী কাজ করা থেকে আবার বিরত না থাকে।
হ্যা, প্রচলিত গণতন্ত্র অবশ্যই হারাম কিন্তু কুর’আন হাদিসকে আইনের উৎস বিবেচনায় শুরা পদ্ধতিরই আধুনিক রূপ গণতন্ত্র, আর সেটা প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামী জামায়াত গুলো কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আলেমরা যদি ব্যাপকভাগে প্রচার করতে থাকে য গণতন্ত্র হারাম হারাম হারাম এবং হারাম, তাহলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে এবং ইসলামী দল গুলোকেও অন্যান্য দলের মত হারাম দল হিসাবে চিহ্নিত করে বয়কোট করবে। ফলে ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন সুদূর পরাহত হবে, যার দায়িত্ব ঐ সকল দীনি ভাইদের নিতে হবে যারা সময়ের কাজ এই অসময়ে করছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে শুকরের মাংশ খাওয়া হারাম কিন্তু জীবন বাচানর জন্য অনুমোধন আছে।
বিষয়: রাজনীতি
১৫২৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ধর্ষকের শাস্তি?? ইসলামে ক্রীতদাসী ধর্ষন হালাল, ইসলামে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষন হালাম, ইসলামে ৬ বছরের শিশু বালিকা ধর্ষন হালাল। এগুলো বরংচ নবীর সুন্নত।যৌতক নিষিদ্ধ এ কথা ইসলামের কোথায় বলা হয়েছে? কোরাণ-হাদীসের রেফারেন্স দিন তো।
ইসলাম নারীকে শালিন পোশাক পরতে বলেনি। ইসলাম নারীকে নাক, মুখ, চোখ, কান, মাথা, হাত, পা, গতর সব কালো ত্যানা দিয়ে প্যাচিয়ে রাখতে বলেছে। এটা কোন ধরনের শালিন পোশাকরে ভাই??
ইসলামে ক্রীতদাসী ধর্ষন হালাল, ইসলামে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষন হালাম, ইসলামে ৬ বছরের শিশু বালিকা ধর্ষন হালাল। এগুলো বরংচ নবীর সুন্নত।
কোন কেতাবে পেলেন এসব ফালতু কথা?
যৌতক নিষিদ্ধ এ কথা ইসলামের কোথায় বলা হয়েছে? কোরাণ-হাদীসের রেফারেন্স দিন তো।
তাহলে আপনি কুর’আন হাদীসও মানেন?
ইসলাম নারীকে শালিন পোশাক পরতে বলেনি। ইসলাম নারীকে নাক, মুখ, চোখ, কান, মাথা, হাত, পা, গতর সব কালো ত্যানা দিয়ে প্যাচিয়ে রাখতে বলেছে। এটা কোন ধরনের শালিন পোশাকরে ভাই??
মোটেইনা। ইসলাম শালীন পোষাকের কথাই বলা হয়েছে। শতর্ক করে দেয়া হয়েছে কোন নারী যেন বেখেয়ালে আবার মাথা ও বুক খোলা না রাখে। শালিন পোষাকের বাকী বিষয় গুলো মানুষ মাত্রই বুঝে।
ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : না ভাই, মুমিন ছাগুদের এমন কোন পাখা গজায় নি যে কেউ ভয় পাবে। বরং আল্যার মুমিনরাই এখন নারীকে পাথর মেরে খুন করতে ভয় পায়।১। একজন মুসলিম আর একজন মুসলিমের জন্য আয়না স্বরূপ।
২। ইসলামের বিজয় চায়না - এমন কোন মুসলিম আদৌ মুসলিম ই নয়।
৩। আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের সময় ও কালে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে যা কিছু ভাল মনে করেছেন - তা বলেছেন ভাল র জন্য। কিন্তু ওনারা মানুষ এবং ওনাদের ভুল হলেও হতে পারে। কিন্তু কোরআন ও সুন্নাহ ভুল হতে পারেনা। আজকের সময়ে এসে কোরান ও সুন্নাহ র আলোকে কেন আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের আইডিয়াকে কেন রিভিউ করতে পারবোনা?
৪। যদি দেখি তাদের চিন্তা ভাবনায় ভুল ছিল না - আলহামদুলিল্লাহ্। কিন্তু যদি ভুল পাই তবে শুধরাবো না কেন?
৫। আর আমরা ইসলামকে তথা আখেরাতকে আগে বিবেচনা করবো - নাকি সংগঠন কিংবা কোন আলেম ওলামা কিংবা দার্শনিক এর মতামতকে আগে বিবেচনা করবো?
আমার মনে হয় - এ নিয়ে আলোচনা চলতে দিলে ভাল এবং তা যতটা সম্ভব কন্সট্রাক্টিভ ওয়েতে করতে দিলে ভাল হয়। কারন আমাদের বয়স, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা সব সময়ই সঠিক কনক্লুশান টানতে পারবে তা নয়। সুতরাং সত্য জানা ও বোঝার জন্য এই আলোচনায় ফুলস্টপ টানা আমার কাছে ভাল মনে হয় না।
ধন্যবাদ।
আপনার সাথে আমি এক মত। স্থান কাল পাত্র বলে একটা কথা আছে সে দিকে খেয়াল করতে হবে। ধন্যবাদ।
গণতন্ত্র হচ্ছে ইনসাফ, গণতন্ত্র হচ্ছে জোর করে যা ইচ্ছে তা করার বিরোধী। ইসলাম ইনসাফ এর কথা বলে।
ইসলামপন্থীরা গণতন্ত্র কায়েম এর জন্য নয়, ইসলাম কায়েম এর জন্য সংগ্রাম করেন। এটিই মহাসত্য। গণতন্ত্র যে উপাদান ইসলাম এর সাথে সাংঘর্ষিক তার বিরোধিতাও করেন তারা। এরপরও যারা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অপবাদ দেন তারা হয় জেনেশুনে বাতিলকে বেনিফিশিয়ারী বানাচ্ছেন নতুবা তারা ইসলামের সঠিক রূপ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন