বিল্পবী তাবলীগ!!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:০৯:০৭ রাত
বিল্পবী তাবলীগ!!
নোয়াখালির মাইজদিতে ল’ইয়ার্স কলোনি থেকে যে পাঁচজন ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ধরিয়ে দিতে নাকি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং তাবলীগের আমীর সাহেব সহায়তা করেছেন। ঘটনা যদি সত্যই হয়ে থাকে, তাহলে তিনি যে একটা বিল্পবী কাজ করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই।
যারা তাবলীগকে অপ্রতিবাদী সংগঠন বলেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন তারা এবার বুঝলেন তো তাবলীগের লোকের কতটা বিপ্লবি? আমরা যারা তাবলীগকে অপ্রতিবাদি নিরহ গোবেচারা সংগঠন বলে তাচ্ছিল্য করি তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাবলিগী ভাইয়েরা একদিন দেখিয়ে দিবেন প্রতিবাদ কাকে বলে? শুধু জামায়াত শিবিরকে একটু ক্ষমতার ধারে কাছে আসতে দেন না।
আহলে সুন্নতের সহিহ আক্বীদার যেসল ভাইয়েরা আক্বীদা ঠিক রাখার জন্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও খামস হয়ে আছেন তারাও জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারলে, পান থেকে চুন খসলেই আক্বিদার জজবা দেখাবেন বেল আশা করি, অবশ্য তাদের সাথে আমিও থাকব, কারণ আমিও আহালে সুন্নত।
৯০ এর দশকে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদে জোহরের নামাযের পরে আমি নিয়মিত হাদীস পাঠ করতাম, সরাসরি বোখারী শরীফ থেকে। মাঝে মধ্যে মুসুল্লিদের দুই চার লাইন ব্যাখ্যাও শুনাতাম। কিন্তু তাবলীগের মুরুব্বির সেটা বরদাস্ত হয়নি, তাই তিনি সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ব্যাখ্যা করা যাবেনা, শুধু অর্থ পড়বা। সবচেয়ে ভালো হয় ফাজায়েল থেকে পরলে’। তার পর থেকে কৌশল হিসেবে উনি উপস্থিত থাকলে ফাজায়েল থেকে সহিহ হাদিস পড়তাম আর উনি না থাকলে বোখারী শরীফ থেকে পড়তাম।
উপরোক্ত প্রথম ঘটনাটা শোনা কথা, আর দ্বিতীয়টা দেখা। আশা করি আপনারা তাবলীগের জাত চিনতে ভুল করবেন না।
গতকাল বিকেলে যখন টিভিতে দেখলাম নোয়াখালির মাইজদিতে ল'ইয়ার্স কলোনি থেকে গোপন বৈঠকের সময় ছাত্রীসংস্থার পাঁচ জন গ্রেপতার, তখন কাউকে ফোন দেওয়ার আগে আমার ফুফুকে ফোন দিলাম কারণ ফুফুর বাসা সেখানেই, এবং আমার ফুফাতো বোন একটাও ছাত্রীসংস্থার কর্মী।
তখন ফুফু বলল যে, তাদের নাকি সাধারণ ছাত্রীদের নিয়ে একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিলো।প্রথমে সবাইকে গ্রেপতার করলেও পরে দায়িত্বশীলা পাঁচজনকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।আমি জিজ্ঞেস করলাম পুলিশকে খবর দিলো কে?ফুফু আমাকে স্থানীয় এক দোকানদারের কথা বলল।
ঐ দোকানদারের কথা শুনে আমি খুব ই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি!কারণ তাকে দেখে মনে হবে বিশাল এক মাওলানা! ইয়া বড় দাঁড়ি আর ইয়া বড় জুব্বা।আমি নিজেও তার দোকান থেকে সদাই করেছি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সে নাকি তাবলীগের আমী!এখন তো মনে হচ্ছে তাকে মাওলানা নয় বরং মালাউনা!
ওখানে তার পাঁচ তলা একটা বাড়ি ও আছে।এবং সে নাকি সুধ আসবে বলে কখনও তার টাকা কোনো ব্যাংকে রাখেনা এমনকি ইসলামী ব্যাংকেও না!কারণ সে মনে করে ইসলামী ব্যাংক নাকি ইসলামের নাম দিয়ে ধোঁকাবাজি করতেছে।
তার ব্যাবহার মোটামুটি ভালো হলেও সে কিন্তু নিয়মিত গোলাম আযম, নিজামি, সাইদী সহ জামাত নেতাদের নামে অত্যন্ত কুরুচীপুর্ণ ভাষায় কথা বলে।
যাই হোক, আমি ফুফুকে নিষেধ করে দিলাম তার দোকান থেকে সদাই না কিনার জন্য, কারণ আমার ফুফু তার নিয়মিত কাস্টমারও বটে!
ছাত্রীসংস্থার বোনদের ধরিয়ে দিয়ে সে যে পূন্যের?কাজ করেছে, আল্লাহ যেনো আমাদের এসব জঘন্য ধরণের পূণ্য কাজ আর পূণ্যবানদের থেকে হেফাজত করেন।
হ্যা, অবশ্যই দুই একজনের ভূমিকার কারণে পুরা তাবলীগ জামায়াতকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।
বিষয়: বিবিধ
৩৪৫১ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন ,,আমিন
ধন্যবাদ।
১৫-২৫ ছাত্রলীগ/যুবলীগ
২৫-৪৫ আওয়ামী লীগ
৪৫+ তাবলীগ
মন্তব্য করতে লগইন করুন