বাংলাদেশের সুশীলরা যে কত বড় সাম্প্রদায়িক আর বর্ণবাদী তার প্রমাণ মাদ্রাসা পড়ুয়াদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ দুয়ার।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৪৯:৩৭ সন্ধ্যা
আমরা বাঙ্গালীরা বর্ণবাদ আর সাম্প্রদায়িকাতার বিষয়ে বড়ই উচ্চ কণ্ঠ। অসাম্প্রদায়িক হিসেবে এদেশের সুশীলরা সব সময় জাবর কাটে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। অবশ্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সাধারণ মানুষেরা কখনো বর্ণবাদী বা সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে এমন প্রমাণ নেই। সাধারণ মানুষের এমন মানবিক গুণের কারণে যে সুশীলেরা জাবর কেটে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সেই সুশীলরা যে কতটা বার্ণবাদী তার প্রমাণ আমাদের গর্বের ধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যাদের অবদানে এবং যে সেন্টিমেন্ট নিয়ে কলকাতার তথাকথিত বাবু আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ গং দের চরম বিরোধিতার পরেও ঢাকার নবাব পরিবার ও আজকের বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের দৃঢ়তায় প্রতিষ্ঠি হয়েছিল সে বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ যোগ্যতা থাকার পরেও অনেক ক্ষেত্রে তাদের সন্তানরাই বঞ্চিত! যার বড় প্রমাণ আব্দুর রহমান সহ মাদ্রাসা পড়ুয়া অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী। ঢাকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রহমান দেশের নামিদামি কলেজের ৪২,০০০.০০ ছাত্রছাত্রীকে পিছনে ফেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেও অনেক বিষয়েই পড়তে পারবেনা এর চেয়ে চরম বর্ণবাদী আর সাম্প্রদায়িকতা কি হতে পারে?
অসাম্প্রদায়িকতা আর তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার কোন ডিকশনারিতে বাংলাদেশের কোন সম্প্রদায়ের প্রতি এমন অসম আচরণের কথা লেখা না থাকলেও বাস্তবে কিন্তু তাই ঘটছে। অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে তথাকথিত ধর্মহীন সেকুলারীজমের কত বড় বিস দাত যে লুকিয়ে আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আব্দুর রহমানের এমন চোখ ধাঁধানো সাফল্যই হতে পারে ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বাম সুশীলদের বিস দাত উপড়ানর উপযুক্ত হাতিয়ার।
জীবন বিধান হিসাবে ইসলাম যে পৃথিবীর বুকে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনবিধান তা অতীতের মত আজও প্রমানীত সত্য, তাই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রকায়িক এবং বর্ণবাদহীন এক সুখি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে সকলের উচিৎ ইসলামী জীবন বিধানকে মেনে নেয়া। ইসলামী জীবনবিধান মেনে নিতে অমুসলিমদের যে মুসলিম হওয়া লাগেনা তার প্রমাণ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ যেখানে অমুসলিমরাও চোখ বুঝে হিসাব খুলছে এবং ব্যবসা পরিচালনা করছে। আজকের দুনিয়ায় ধর্মহীন সেকুলারিজম আর পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের উত্তম বিকল্প হল ইসলাম তাই শোষণের হাতিয়ার সমাজবাদ আর পুঁজিবাদকে বাদ দিয়ে ইসামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া এখন সময়ের দাবী।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাস।
ধন্যবাদ।
খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের বিষয়।
কেন এমন বৈষম্য?
ভালো লাগল লিখাটি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
অন্ধ সুশীলদের বর্ণবাদী চেহারা উন্মোচিত করতে হবে এবং অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
ধন্যবাদ।
কেন এমন বৈষম্য কেন ?....কেন ?
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
এক আব্দুর রহমান পূরো জাতির গালে যে চপেটাঘাত করেছেন তাতে ঐ সকল নীতির কর্তাদের ও ভার্সিটির ভিসিদের একযোগে পদত্যাগ করা উচিত!!
অগ্রীম শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ব্যক্তি ও সমাজ জীবন ত্যাগের আলোকে উদ্ভাসিত হোক
টিভি চ্যানেল গুলোতে সব আলোচনাই হয় কিন্তু আব্দুর রহমান ইস্যু নিয়ে কেউ মুখ খুলেনা। জ্ঞন পাপীদের এমন চপেটাঘাতেও যদি শিক্ষা না হয় তাহলে তাদের ভাগ্যে পদাঘাত অপেক্ষমান।
অগ্রিম ঈদ মুবারক।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন