ইবাদতের ভরা মৌসুম এই রমজানেও ইবাদতের পরিবর্তে শিরকের ছড়া ছড়ি!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২২ জুলাই, ২০১৪, ১০:৫০:০১ সকাল
ইবাদতের ভরা মৌসুম এই রমজানেও ইবাদতের পরিবর্তে শিরকের ছড়া ছড়ি! ইসলামের প্রার্থমিক যুগে আরব অঞ্চলে থেকে দীনের দাওয়াত নিয়ে বিভিন্ন সময় অসঙ্খ মনিষীদের আগমন ঘটেছিল আমাদের এই অঞ্চলে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং খালেচ দাওয়াত কবুল করে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল আমাদের পূর্ব পুরুষেরা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল আহলে হক্বের দাওয়াত নিয়ে আসা আল্লার সেই নেক বান্দাদেরই একশ্রেণীর নাদান আল্লাহর স্থানে বসিয়ে সেজদাহ করছে! মানত মানছে! কবরকে সামনে রেখে মোনাজাত করছে! কুর’আন তেলাওয়াত করছে! কবরের উপর চাদর চড়াচ্ছে! অকাতরে টাকা পয়সা ছিটাচ্ছে!
উত্তরা থেকে আজ ভেরিবাধের রাস্তা দিয়ে মিরপুর এক এর দিকে আসছিলাম। যে বাসে আসছিলাম সেটার শেষ গন্তব্য ছিল সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্ আলী বোগদাদী (রঃআঃ) এর মাজার শরীফ!
মাজারের গেইট হওয়ায় অন্যান্য যাত্রীদের সাথে সাথে আমিও নেমে পরলাম। মাজারের মেইন ফটক দেখে ভিতের প্রবেশের লোভ সামলাতে পারলাম না। ভিতের প্রবেশ করে যা দেখলাম তা রীতি মত ভায়াবহ। কোন মুসলিম এমন শিরক করতে পারে তা আগে কখনো নিজ চোখে দেখিনি। অবশ্য ইফতারের পূর্ব মূহুর্ত হওয়ায় কিনা জানিনা মাজারের ভিতরে তেমন ভিড় পরিলক্ষিত হয়নি এবং কাউকে সরাসরি সিজদাহও করতে দেখিনি তাবে যা দেখেছি তা যে বড় শিরক তাকে কোন সন্দেহ নাই।
দাদার বয়সী এক মুরুব্বিকে দেখলাম কুঁজ হয়ে মাজারের চৌকাঠ (ধাতব) ধরে কাঁদছেন, বাবার বয়সী একজন দাঁড়িয়ে মাজারের চৌকাঠ (ধাতব ছবিতে) ধরে প্রার্থনা করছেন। ২/৩ যুবক কুর’আন তেলাওয়াত করছে! কেতাদুরস্ত এক যুবক আমাকে ফলো করছিল তাই সব ছবি তুলতে সাহস করিনি।
মাজারের বাহিরে ইফতারের আয়োজন চলছিল। দুই খাদেমকে দেখলাম মাজারে আসা কাঁঠালের কোষ ছাড়াচ্ছে। তাদের কথায় যা বুঝলাম তা হল একটা পাব্লিকের ইফতারের জন্য আর একটা নিজেদের ভোজন বিলাশের জন্য। কোন ভক্তের দেয়া এমন রসাল ফল দেখে নিজের জিহবেও পানি এসে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম ইফতার করেই যাই কিন্ত দীনে হক্বের দাওয়াত নিয়ে আশা আল্লাহর এমন বান্দার কবরকে কেন্দ্র করে শিরকের যে আস্তানা গড়ে উঠেছে সেখানে ইফতার করতে শেষ পর্জন্ত মন সায় দেয়নি বলে অনেক কষ্টে জিহবের পানি সামলিয়ে শেষ পর্জন্ত চলে আসতে বাধ্য হলাম। আসার পথে ছোট্ট একটা মাজার দেখলাম। জানিনা ওটা কার তবে তার মুরিদরা তাকে খুব অভাবি বলেই মনে হল। না হয় কবরের উপর এত টাকার ছড়াছড়ি কেন তা বুঝে আসেনি।
আল্লাহ মুসলমানদের অন্তরকে হেদায়েতের আলোতে আলোকিত করুন। রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৭ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
হে আল্লাহ !এ মানুষ গুলো শিরকে লিপ্ত হয়ে আছে তুমি এদের সঠিক হেদায়াত দান কর ।আমীন ।
আমিন।
ধন্যবাদ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বাংলাদেশের মানুষকে যথেষ্ট ভালবেশে হেফাজত করেছেন। না হলে দেশের তৃণমুলে থাকা তথাকথিত আলেমরা যে হারে মাজারের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে চলেছে তাতে দেশে মাজার পন্থী ছাড়া আর কাউকে কল্পনাও করা যেত না।
তয় এই টাকাটা মাজারের খাদেম ইনভেষ্ট করিছে নাকি?
ধন্যবাদ।
তা হইলে দুইবেলা ঘি দিয়া ভাত খাইতাম!
ধন্যবাদ।
একদা এক লোক রাতে গ্রামের পথ ধরে যাচ্ছিলো। তো হঠাৎ প্রকৃতি তাকে দুই নম্বর সূরে ডাক দিলো (অর্থাৎ তার মলত্যাগের প্রয়োজন হলো)। তো বেচারা কোন উপায় না পেয়ে পথের এক পাশে বসেই সেরে ফেলর এবং যাওয়ার সময় দেখতে খারাপ লাগছে ভেবে তার উপর কিছু মাটি ছড়িয়ে দিলো। ঘটনাক্রমে সেই মাটিগুলো এমন ভাবে পড়লো যে, দেখলে কবরের ছোটো খাটো সংস্করণ বলে মনে হয়। তো পরদিন ভোরে কিছু লোক মাঠে কাজ করার সময় সেই পথ ধরেই যাচ্ছিলো। তারা ঐ জিনিসটার কাছে আসতেই অবাক হয়ে পরস্পরকে বললো "আরে! এটা কি?" কাছে গিয়ে কবর আকৃতি দেখে তাদের আক্কেল গুড়ুম, "এতো দেখছি গায়েবি মাজার!! হলফ করে বলতে পারি কালকেও এই জায়গায় এমন কিছুই ছিলো না।" ব্যাস, আর যায় কই। গ্রামের লোক সব জড়ো হয়ে গেলো, "বাবা গায়েব শাহর মাজার।" লালসালু,মোমবাতি, আগরবাতি কিছুই বাকি থাকলো না নিমেষে, এমনকি হাদিয়া-তোহফারও অভাব হলো না।
এই হলো বাংলাদেশে মাজার ব্যবসার চিত্র। বছর কয়েক আগে আমাদের এলাকায়ও এমনি একটি গায়েবী মাজার উঠেছিলো, পরে দেখা গেল তা সজনা গাছের শেকড়ের কেরামতি।
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কোন মাজারের প্রয়োজন নেই, যার প্রমান জান্নাতুল বাকীতে শুয়ে থাকা শত শত সাহাবা।
এমন কি চলন বিলের মাঝখান দিয়েও যদি কোন রাস্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে কোন না কোন বাগদাদী বা ইয়েমেনীর নামে মাজার উঠে গেছে!
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
আছে তাদের সার্ধে।
Thanks
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন