মানুষের মৃত্যু অবধারিত, তাই বলে কি বলে কয়ে?

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৬ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৪২:৫৪ বিকাল



মানুষের মৃত্যু অবধারিত যা আমরা সবাই জানি কিন্তু সে মৃত্যু যদি হয় বলে কয়ে তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ তেমনটাই ঘটেছে আমার শ্বশুর মুহতারাম মাওলানা খলিলুর রহমান সাহেবের ক্ষেত্রে।

এর আগে একটা পোস্টের মাধ্যমে তার অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে দুয়া চেয়েছিলাম। আপনাদের দুয়ার বরকতে এবং আল্লাহর মেহেরবানীতে সে যাত্রা তিনি পরিত্রাণ পেয়েছিলেন। আমরা যখন আশঙ্কা মুক্ত তখন তিনি জানান দিলেন আজ রাত আর তিনি অতিক্রম করবেন না। প্রতি তৃতীয় দিনে তার কিডনির ডায়ালাইসিস চলছিল। কথাবার্তায় স্পষ্ট সুস্থ্যতার ছাপ। তার পরেও যদি কেউ এমনটা বলেন তাহলে যারা তার আপনজন তারা কিছুটা হোচটই খায় বৈকি?

শ্বশুর মহদয়ের অসুস্থ্যতার খবরে ২৭/০৬/২০১৪ সন্ধ্যা ৮টায় আমি সবে মাত্র সৌদি’আরব থেকে ঢাকার বাসায় এসে পৌছেছি। তিনি আমার বাসায়ই ছিলেন। প্রথমেই মুহতারামের সাথে দেখা করে সালাম বিনিময় এবং কোলাকুলি করে নিজ স্ত্রী সন্তানের ঘরে গিয়েছি। ফ্রেস হয়ে মাগরিব এবং এশার নামাজ আদায় করে পুনরায় তার ঘরে গিয়ে বিস্তারিত আলাপ করছিলাম। ফাঁকে তাকে সহ রাতের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি খেতে চাইলেন না। খোরমা খেজুর পেস্তা বাদাম তার বেশ প্রিয় তাই প্রতিবার ছুটিতে যাওয়ার সময়ই আমি এদুটো জিনিস নিতে অন্তত ভুল করিনা। এবারও বেতিক্রম হয়নি। খোরমা খেজুর আর পেস্তা বাদাম খাওয়ার প্রস্তাব করলে তিনি নিরবতা পালন করেন। তার নিরবতাকে সম্মতি মনে করে খেজুর এবং পেস্তা বাদামের প্যাকেট সামনে নিয়ে আসলে খাদ্য তালিকা বাহির করে দেখলেন, তার জন্য খাদ্য দুটি মানা। পান্ডুর মত মলিন মুখে খেতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। তাকে না খাইয়ে যে আমি খাবনা সেটা হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন তাই সামান্য কয়টা মুড়ি ধুয়ে দিতে বলে আমাকে খেতে যেতে বললেন। কি আর করা গুরু ভক্তি শিরধার্য তাই মনের কষ্ট মনে চেপে রেখে খাবার টেবিলে চলে গেলাম।

রাতের খাবার শেষে বাচ্চাদের সাথে কথা বলছিলাম, ততক্ষণে ঘড়ির কাটায় রাত ১০টা। শ্বশুর মহদয় আমাকে ডাকতে বলছিলেন কিন্তু শ্বাশুরি আম্মা ভেটো দিচ্ছিলেন। তার ধারনা সদ্য বিদেশ থেকে আগত জামাতার সময় কাটানোর হক শ্বশুর মহদয়ের চেয়ে তাদের কন্যা এবং নাতি নাতনিদের বেশী। বার বার তাগাদা দেয়ায় শেষ পর্যন্ত আমাকে ডাকলেন।

মুহতারাম তখন বিছানায় বসে তার বড় ছেলে যে কিনা সিলেটের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছে তার সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। ছেলেকে এখনই ঢাকায় চলে আসার নির্দেশ দিলেন। আমাকে দেখে বসতে বললেন। আমি বসলাম তার পিঠে মাথায় হাত বুলালাম। তিনি বললেন ‘বাবা আমি আজ রাত অতিক্রম করবনা’। এমন স্পষ্ট কথা আমার কাছে হেয়ালি মনে হলেও হৃদয়ে শঙ্কা দেখা দিল। সাথে সাথেই হাসপাতালে নিয়ে রওয়ানা দিলাম। ছয়তলা বাসা থেকে নিজেই হেটে নামলেন। এম্বুলেন্সের পরিবর্তে বাসার সন্নিকটের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশানে রিক্সায় বসেই গেলেন।

ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশানের জরুরী বিভাগে রাত ১১টার সময়ও ডাক্তার মহদয় বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। সাথে সাথে না হলেও সামান্য নময় নিয়ে তিনি রুগী দেখলেন। রুগীর কাছে রোগের হিষ্ট্রি জানলেন। রুগীও মাশা’আল্লাহ সব প্রশ্নের ষ্পষ্ট জবাব দিলেন। ডাক্তার এবং রুগীর কথোপকথনে বুঝার কোন উপায় রইলনা যে ডাক্তার কোন গুরুতর রুগী দেখছেন বরং মনে হচ্ছিল নিয়মিত চেক’আপের জন্য আসা কোনা রুগীর সাথে ডাক্তার মত বিনিময় করছেন।

ডাক্তার পেইন কিলার দিয়ে বললেন কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে। আমরা সেই আশায়ই প্রহর গুনছিলাম কিন্তু বিধি বাম! ডাক্তার এবার রুগীকে অনেকটা ঠেলে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার পায়তারা করল। রুগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে যে কোন সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন। ডাক্তারের এহেন আচরণে আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম সরকারী হাসপাতালে রেফার করার অর্থ কি?

রাত ১২টায় কোন সরকারী হাসপাতাল আমার জন্য তাদের দরজা খুলে বসে আছে? সাত পাঁচ ভেবে আমি ধানমণ্ডির একটা বেসরকারি হাসপাতালের দিকে মুভ করলাম। এমন মুমুর্ষ রোগীকে এক রকম জোড় করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া ডাক্তারি বিদ্যার কোন ইথিক্সে পরে তা আমি জানিনা। রুগীর মৃত্যু যখন সময়ের ব্যাপার তখন রাস্তায় বসে মৃত্যু বরণ করার চেয়ে হাসপাতালের বেডে ডাক্তারের উপস্থিতিতে মৃত্যুবরণ করার সুযোগ দেয়া কি বেশী মানবিক নয়?

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এম্বুলেন্সে অক্সিজেন সাপোর্টে মিরপুর-২ এর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশান থেকে ধানমন্ডির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। শ্বশুর মহদয় তখন বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন, মাথার কাছে বসে আমি কালেমা পড়ে তাঁর শরীরে ফুঁকে দিচ্ছিলাম। বড় জোড় পাঁচ মিনিটের মাথায় আমরা তখনো ট্যাকনিক্যাল মোড় পার হইনি, দেখলাম মুখ থেকে সামান্য লালা বেড়িয়ে এসেছে, স্বযত্নে রুমাল দিয়ে মুখ মুছে দেয়ার পরে অনুভব করলাম তিনি এহধাম ত্যাগ করে তাঁর প্রভূর ডাকে সাড়া দিয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ‘ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন’।

মরহুমের পরিচয়ঃ

নামঃ মাওলানা খলিলুর রহমান

গ্রামঃ ক্রোকির চর

থানাঃ কালকিনি

জেলাঃ মাদারীপুর

জন্মঃ ০১/০১/১৯৫৭ইং

মৃত্যুঃ ২৭/০৬/২০১৪ইং

কর্মঃ আরবী প্রভাষক (আন্ডার চর সিনিয়র মাদ্রাসা)

ডাক্তার (মুক্তি হেমিও হল, ডিগ্রীর চর হাট)

মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, তিন কন্যা, দুই জামাতা, এক নাতি ও তিন নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।



বিষয়: বিবিধ

২০১৩ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242296
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
188138
আবু জারীর লিখেছেন : ধন্যবাদ।
242299
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : ডাক্তারের আচারণ অমানবিকতাসূলভ। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজেয়ুন। মরহুমকে মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউসের বাসিন্দা বানিয়ে নিক।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে আমাদের সুপ্রিয় লেখক/ব্লগার আবু জারীর ভাই এখন দেশে অবস্থান করছেন।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
188139
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
242301
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
রাইয়ান লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ! আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন মামাকে জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ আসনে জায়গা দিন।

আপনার মুহতারাম শ্বশুর আমার আম্মুর আপন চাচাত ভাই হন। আমাদের ছোটবেলায় দেখা খুব কাছের একজন মানুষ। আম্মুর খুব প্রিয় একজন বড় ভাই। আজ সকালেই আম্মু তাঁর ব্যাপারে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন। ছবিটি দেখে চমকে উঠেছি , আপনার লেখাটির সাথে আম্মুর বর্ণিত মামার অন্তিম মুহুর্তের বর্ণনা মিলে যাচ্ছিল , সবশেষে মরহুমের পরিচয় দেখে শিওর হলাম।

আল্লাহর রহমত ও বরকত নাজিল হোক আপনার প্রতিও।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
188147
আবু জারীর লিখেছেন : জেনে ভালো লাগছে যে আপনি আমার ব্লগার আপু থেকে একেবারে আপন আপুতে পরিণত হলেন। মরহুমের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করছি। আপনার আম্মুকে আমার সালাম দিবেন।
ধন্যবাদ।
242305
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ইয়া আল্লাহ তুমি তোমার এই প্রিয় বান্দাকে জান্নাতের মেহমান করে নিও। আমাদের যাদের বাবা মা নেই তাদেরকে জান্নাতের মেহমান কর।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
188148
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
242308
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৯
আফরা লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ! আল্লাহ উনার গুনাহ মাফ করে ভাল আমলগুলো কবুল করে করুন ।উনার করবকে প্রশস্ত করেদিন উনার কবর আজাব মাফ করে দিন ।আমীন ।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
188149
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন, সুম্মা আমীন।
ধন্যবাদ।
242309
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
সোনালি চিল লিখেছেন : একদিন আমাদের সবাইকে এ নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাওসে স্থান দিন।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
188150
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন
ধন্যবাদ।
242314
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আল্লাহ তুমি তোমার এই প্রিয় বান্দাকে জান্নাতের মেহমান করে নিও।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
188151
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
242316
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৫
শফিক সোহাগ লিখেছেন :



০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
188152
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহর কাছে শাহদাতের মৃত্যু কামনা করি।
আল্লাহ আমাদের মৃত্যু আত্মীয় ও সকল মুমিন মোমেনাতকে কবুল করুন। আমীন।
242322
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ইন্নানিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাহী রাজিউন ,,আল্লাহ যেন উনকা জান্নাতের মেহমান করেন ।
মরহুমের ভালো কাজ পরিবার যেন ফলো করে সেই দোয়া রইলো।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
188153
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১০
242336
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
মোবারক লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন , আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন / আমিন
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৫
188221
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১১
242339
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন : আল্লাহ তুমি তোমার এই প্রিয় বান্দাকে জান্নাতের মেহমান করে নিও।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৬
188222
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১২
242343
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : Innalillahi oyainna....... May Allah gives him jannatul ferdous.
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৬
188223
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১৩
242361
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৩২
স্বপন২ লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সারা জীবন উনি পড়াশুনা করেছেন। তার পিছনে
বই এর কলাম থেকে বুঝা যায়। আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করবেন। আমিন।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৬
188224
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১৪
242362
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
শেখের পোলা লিখেছেন : সম্ভবতঃ আল্লাহ তার কোন কোন বান্দাকে আগেই জানিয়ে দেয়৷ আমার ছোট বেলায় আমার পরহেজগার নানাকেও এমন আভাষ দিয়ে চলে যেতে দেখেছি৷ আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন৷
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৭
188225
আবু জারীর লিখেছেন : ঠিক তাই।
আমীন।
ধন্যবাদ।
১৫
242370
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাত নসিব করুন। তিনি অত্যন্ত সুন্দর মৃত্যবরন করেছেন। রাসুল (সাঃ) হঠাত মৃত্য এবং দির্ঘদিন রোগ শয্যায় থেকে মৃত্যু থেকে পানাহ চেয়েছেন। আল্লাহতায়লা তাকে তাই নসিব করেছেন।
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৪৯
188273
আবু জারীর লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তাকে খুব সুন্দর মৃত্যু দিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
১৬
242435
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:১৮
আনিস১৩ লিখেছেন : May Allah (swt) grant him jannat!
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:২৭
188306
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
১৭
242462
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:৪৪
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ। আপনি আপনার শ্বশুরের ছেলে সম ছিলেন, বা তার চাইতেও বেশী। তাই তো সিলেটে আপন ছেলেকে না দেখলেও জেদ্দাপ্রবাসী মেয়েজামাইকে দেখে তবে বিদায় নিয়েছেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের উচ্চতম আসনে আসীন করুন, আমিন। বয়স তো মাত্র ৫৮ বছর।
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
188308
আবু জারীর লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, সেটাই সান্তনা।
আল্লাহ সব কিছু পারেন।
মরহুমকে আল্লাহ জান্নতে সর্বোচ্চ মর্জাদা দান করুন। আমীন।
ধন্যবাদ।
১৮
242498
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২৯
চোরাবালি লিখেছেন : আমাদের দেশে পুলিশি হয়রানি'র যন্ত্রনায় অনেক ডাক্টারই বা বেসরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এ ধরনের আচরণ করে থাকেন
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
188371
আবু জারীর লিখেছেন : হয়ত ঠিক কিন্তু বিষয়টা হৃদয় বিদারক।
ধন্যবাদ।
১৯
242518
০৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক মহান রবের দরবারে দোয়া রইলো যেন তার কবরের প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেন অতপর জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।Praying
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
188372
আবু জারীর লিখেছেন : আমীন।
ধন্যবাদ।
২০
243037
০৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২০
ভিশু লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন!
বুঝাই যায়, বড় নেককার বান্দাহ ছিলেন তিনি!
আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসিব করুন! আমীন!!
তবে ঐ ডাক্তার মোটেও ভালো আচরণ করেন নি!
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:১০
188841
আবু জারীর লিখেছেন : আপনার কথা তখন বার বার মনে পরছিল কিন্তু কন্টাক্ট নম্বর না থাকায় যোগাযোগ করতে পারিনি।
ধন্যবাদ।
২১
243115
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:০০
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনার শ্বশুর কে জান্নাত বাসি করুন। তার ছেলে সিলেট থেকে পৌঁছতে পারেন নি কিন্তু আপনি সৌদি থেকে ঠিকই পৌছতে পেরেছিলেন। আল্লাহ আপনাকেও তার প্রতিদান দিন।

মৃত্যুর সময়ক্ষণ বা দিন বলে মৃত্যুর কোলে ঢলিয়ে পড়েছে এমন কয়েকটি ঘটনার কথা আমি নিজেও জানি।

আমার বাবার ঘটনা ছিল সে ধরনের! তিনি কবরের জন্য বাঁশ ও কাপড় জোগাড় করতে বলেছিলেন। বড় ভাবীকে হাতে টাকা রাখতে বলেছিলেন। সবাইকে কাছাকাছি থাকতে বলেছিলেন। ভাল করে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। টয়লেটের কাজ সেড়ে গোসলের জন্য যাবার সময় তিনি সবার সামনে সেখানেই ঢলে পড়েন। তিনি অসুস্থ ছিলেন তবে কঠিন কোর রোগে ভোগছিলেন না। সব কাজ তিনি নিজের পায়ে হেটেই করছিলেন। আর সেভাবেই তিনি ইন্তেকাল করলেন।

আপনার শ্বশুড়ের কাহিনী পড়তে গিয়ে, আমার বাবার কথাটি মনে পড়ে গেল বলে, মন্তব্যটি লম্বা হয়ে গেল। হয়ত বে-মানান ঠেকাবে তারপরও পিতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমার অভিব্যক্তিকে ধরে রাখতে পারল না। অনেক ধন্যবাদ
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
188845
আবু জারীর লিখেছেন : মরহুমকে দাফন করতে গিয়ে আরো কয়েকটি ঘটনার মূখমূখি হয়েছি যা বেশ প্রণিধান যোগ্য যার মধ্যে বাসগৃহের সংস্কার, কবরের স্থান নির্ধারণ, মাইয়াতকে গোসল করানর তক্তা বানানো, কবরস্থান পরিষ্কার করা এবং নিয়ম ভাঙ্গ করে ঐদিন গোসল করা।

আল্লাহ আপনার আমার আমাদের সকলের বাবা-মা সহ সকল মুমিন-মোমেনাতদের কবুল করুন এবং জান্নাতে তাঁদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন।
২২
243791
১১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
egypt12 লিখেছেন : আপনার শ্বশুর দ্বীনদার বলেই এমন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে...আল্লাহ উনাকে জান্নাত দেবেন এই দোয়া রইল Rose
১৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২৯
190158
আবু জারীর লিখেছেন : আমারও তাই মনে হচ্ছে। আমীন। ধন্যবাদ।
২৩
243916
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন! আপন জন ছেড়ে দূর প্রবাসে থাকি বলে হয়তো যে কারো মৃত্যু সংবাদ মনকে বেশী নাড়া দেয়। আল্লাহ্‌ উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং আপনাদের পরিবারের সবাইকে এই শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দিন। আমীন।
১৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৩০
190159
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলের প্রতি রহম করুন। আমীন।
ধন্যবাদ।
২৪
244035
১২ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
আবু নাইম লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ! আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন মামাকে জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ আসনে জায়গা দিন।

আবু জারির ভাই সালাম। আমিও তো ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশানের পুর্ব দিকে ২নং বাজারের পূর্বে বায়তুল আতিক মসজিদের পশ্চিম পাশ্বে থাকি।
১৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৩২
190160
আবু জারীর লিখেছেন : তাই নাকি? তাহলে একদিন ইফতারীর দাওয়াত নিন।

আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন মামাকে জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ আসনে জায়গা দিন। আমীন।
ধন্যবাদ।
২৫
285601
১৮ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫১
খালেদ সাইফুদ্দিন লিখেছেন : অনেকদিন পর লিখাটা পরলাম কিন্তু মনে হল আজকের ঘটনা। দোয়া করছি আললাহ যেন উনাকে জান্নাত নসিব করেন। আমীন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File