প্রবাদ বাক্যঃ অন্ধের নাম পদ্মলোচন, নতুন করে শুনছি, ‘রক্ষিতার স্বামী বুদ্ধিবেশ্যা!’
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৫ মে, ২০১৪, ০৮:০৮:৩৩ রাত
প্রবাদ বাক্যঃ অন্ধের নাম পদ্মলোচন, নতুন করে শুনছি, ‘রক্ষিতার স্বামী বুদ্ধিবেশ্যা!’
মুসলিমরা দুনিয়ার সেরা জাতি কিন্তু তাদের অনেকের কর্মকান্ড এমন যে না যায় তাদের মুসলিম ভাই/বোন বালে পরিচয় দেয়া আর না যায় বাংলাদেশী বলে তাদের নিয়ে গর্ব করা। অথচ তারা অনেকেই জ্ঞানী গুণী!
অনেকদিন আগের কথা, তখনও বিয়ে করিনি, কোন কীশোরীর সাথে প্রেম করতে মন চাইত কিন্তু পারিবারিক বিধিনিষেধ আর বিবেকের বাঁধায় করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে যখন দুদুল্যমান ছিলাম তখন বিটিবিতে ‘কিশোরী বধু’ নামে একটা নাটক দেখে বাস্তব জীবনে কোন কিশোরীকে ভালো বাসতে না পারলেও সেই নাটকের নাইকাকে ভালো বেসে ফেলেছিলাম, যেমনটা আর ১০ জন তরুণ তরুণী নাটক সিনেমার নায়ক নায়িকাকে ভালোবাসে।
কিন্তু সেই ভালোবাসা স্থায়ী হয়নি। হবে কি করে নায়িকার যে বিয়ে হয়ে গেছ। হয়ত ভাবছেন তাদের বিয়ে হবে এটাইতো স্বাভাবিক। তা ঠি কিন্তু বিয়েটা হয়েছে একজন অমুসলিমের সাথে যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। কোন মুসলিম মেয়ে যেদি অমুলিম ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে তা ইসলাম সম্মত হয়না। এমতাবস্থায় তাদের দাম্পত্ত সম্পর্ক হয় অবৈধ যা পতিতা বৃত্তির নামান্তর। এ ক্ষেত্রে মুসলিম মেয়েটা অমুসলিম ছেলেটার স্ত্রী হয়না বরং রক্ষিতা হয়। একথা সবাই জানলেও আধুনিক মনা মুক্তিবুদ্ধির চর্চার নামেধারী একশ্রনীর বুদ্ধিবেশ্যারা তা আনতে চায়না। কিন্তু সেই নায়িকা যার রক্ষিতা ছিল সে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিয়েছিল যে আসলেই অমুসলিম ছেলের সাথে মুসলিম নামধারী কারো বৈবাহিক সম্পর্ক হতে পারেনা।
অমানুষটা দাম্পত্ত সম্পর্কের নামে মুসলিম নামধারী টিভি তারকা মেয়েটার সাথেকার দাম্পত্ত সম্পর্ক ভিডিও করে বাজারে ছেড়েছিল। ফলে মেয়েটা অনেকদিন লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিল। তার স্বেচ্ছা অন্তরাল সবাইকে আশান্বিত করেছিল হয়ত মেয়েটা তার ভুল বুঝেছে, হয়ত সে ভালো হয়ে গেছে। সে ভালো হয়েছে কিনা জানিনা কিন্তু তার নছিব এতই খারাপ যে এবার যাকে বিয়ে করেছে সে মুসলিম নামধারী টিভি টকস্টার। আমি বলি তরুণ বুদ্ধিজিবী কিন্তু আনেকেই বলে আসলে সে বুদ্ধির ঢেকি আবার কারো কারো মতে বুদ্ধিবেশ্যা!
অগেরটা ছিল এক ভারতীয় অমুসলিম রক্ষক এবার যেটার সাথে বিয়ে হয়েছে সেটা নাকি পুরা ভারতের দালাল বা ভারতের রক্ষিতা! হায়রে কপাল! হায়রে মুসলিম নামধারী মির্জাফর! খুণী মোহাম্মদী বেগ! কুচক্রী ঘসেটি বেগম! সভ্য যুগেও তোমরা মানুষ হতে পারলেনা!
আমি কিন্তু অপদার্থটাকে বুদ্ধিবেশ্যা বলিনি বরং সে নিজেই তার দালালী তথা বুদ্ধিবেশ্যাগিরীর প্রমাণ দিয়েছে। সারা দেশ যখন বলছে পানির অভাবে উত্তর বঙ্গ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, হার্ডিন্স ব্রীজ পয়েন্ট শুকিয়ে গেছে, তখন বুদ্ধিবেশ্যাটা বলছে ‘যদি নদীতে পানিই না থাকত তাহলে শীতালক্ষায় এত লাশ ভাসে কেমনে?’ বুদ্ধিবেশ্যারা এভাবেই সত্যের অপলাপ করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই হাজারটা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে দেয়। তার সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে এমন একটা সত্য কথা বলার জন্য তাকে সবার সাধুবাদ দেয়া দরকার।
আজকের সংবাদ শিরোনামঃ মেঘনায় লঞ্চ ডুবিতে দুই শতাধিক যাত্রী নিখোজ।
এবার বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরা হয়ত একসাথে হুক্কাহুয়া করে টিভিপর্দা ফাটিয়ে বলবে, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতালক্ষা, ইছামতি, তিস্তা, করতোয়া ও ঘোমতিতে যদি পানিই না থাকে তাহলে লঞ্চ ডুবে কেমনে? অতএব যারা বলে ফারাক্কা বাঁধা - মরণ ফাঁদ, গজল ডোবা আর টিপাইমুখের বাধের কারণে বাংলাদেশ মরুভূমী হয়ে যাচ্ছে তারা সব স্বাধীনতা বেরোধী, ভারতের দুশমন। বন্ধুর শত্রু আমারও শত্রু। জয় বাংলা!
বিষয়: বিবিধ
১৫১২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
পৃথিবীর কোথাও এমন রামছাগল আছে কিনা জানিনা যারা নিজের ন্যায্য অধিকার হরনকারিদের সমর্থন করে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন