চেনা বাওনের যেখানে পৈতা লাগেনা সেখানে চেনা নামাযিদের নামায পড়ার কথা প্রচার করা লাগে কেন?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৮ মে, ২০১৪, ০১:১৫:০৯ রাত
ছোট্ট বেলা থেকেই একটা প্রবাদ বাক্য শুনে আসছি আর তা হল, ‘চেনা বাওনের পৈতা লাগেনা’। অর্থাৎ পরিচিত বাওনদের পরিচয়ের জন্য পৈতা জরুরী নয়। কথা কিন্তু সত্য, আমি সহ সকল শিক্ষিতজনের কাছেই তথ্য আছে। (বাওন মানে পূজারী, পণ্ডিত/ব্রাক্ষ্মন – পুরহীত)
বর্তমানে দিনকাল যেন কেমন যাচ্ছে? এখন আর পৈতা না থাকলে কাউকে কেউ বাওন বলে মানতেই চায়না। বাওনেও ফর্মালিন ঢুকল কিনা কে জানে?
পৈতা বাওনের পরিচয়ের একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হলেও মুসলমানদের ইবাদতের ক্ষেত্রে লোকদেখান মনোভব কিন্তু সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। পুরুষদের ফরয ইবাদত বাদে সকল ইবাদতই কিন্তু গোপনে করা উত্তম আর সেক্ষেত্রে লোক দেখানর মনোভব থাকলে ইবাদত কবুলতো দূরের কথা হীতে বিপরীত হবার শত ভাগ সম্ভাবনা আছে।
লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কুর’আনে কারীমে আল্লাহ’তায়ালা এব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন। বলা হয়েছে সে সকল নামাজিদের জন্য ধ্বংস যারা নামাযে আবহেলা করে এবং লোক দেখানোর জন্য নামায পড়ে।
নফল ইবাদত করতে বলা হয়েছে গোপনে পারত পক্ষে লোকচক্ষুর অন্তরালে। আর তাহাজ্জুত নামাযের গোপনীয়তা তো আরো বেশী। এমন গোপনীয়তা যাতে কেউ যেন টের না পায় তাই একেবারে রাতের তৃপ্রহরে।
মজার ব্যাপার হল চেনা বাওনেরা পৈতা লাগুক আর না লাগুক কিছু চেনা রাজনৈতিক নামাযির কিন্তু ইদানিং তাদের নামায রোযা,তেলাওয়াত, তাজবিহ তাহলিল, তাহাজ্জুতের কথা খুব জোড়ে সোরে প্রচার করা লাগছে! মুসলমান বলতেই সবাই নামায রোযা করে এটাই সকলের বিশ্বাস কিন্তু সেই বিশ্বাসকে দূর্বল করে তারা নিজেরা এবং মুসলিম সহকর্মীরা যখন এগুলো প্রচার করছে তখন তাদের প্রতি বিশ্বাসের ভিতটা অটোমেটিক দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের আত্মপ্রচার আর কাউকে বিশ্বাস করানো যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় কিছু অমুসলিম রাজনৈতিক ভাড় এমনকি ধর্মহীন কম্যুনিস্ট ও নষ্ট বামদের দিয়েও প্রচার করাচ্ছে কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। এতকিছুর পরেও তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করছেনা! কারণ মুসলমান তথা ধর্মে বিশ্বাসী মাত্রই জানে যে এগুলো প্রচারের বিষয় না। যেহেতু প্রচার করা হচ্ছে সেহতু সাধারণ জনগণের মাঝে সন্দেহ আরো বেড়ে যাচ্ছে। সবাই ধারণা করছে যে ডালমে নিশ্চয়ই কুছ কালা হ্যায়। তা না হলে নামাজ রোযা, তেলাওয়াত, তজবিহ তাহলিলের কথা এভাবে কেউ প্রচার করে নাকি?
যারা ধর্মকে, আবিম, মারিজুয়ানা, কোকেন, গাজা, হিরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিলের সাথে তুলনা করে আর সেই তারাই যখন নেতা নেত্রীদের ধর্ম পালনের কথা প্রচার করে তখন সাধারণ জনতার বুঝতে আর বাকী থাকেনা যে ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বামেরা যে কি পরিমাণ আবিম, মারিজুয়ানা, কোকেন, গাজা, হিরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল সেবন করে মাতলামী করছে।
লোকদেখান নামাযীদের জন্য ধ্বংস অনিরার্য, এটা আল্লাহর ওয়াদা। আমরা ধ্বংসাবশেষ দেখার এবং তা মাটিতে পুঁতে ফেলার অপেক্ষায় রইলাম যেমনটা নিকট ও দূর আতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা করেছিল।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৩৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
কিন্তু এদের সেন্স ফেরার জন্য দোয়া বাদে আর কি করা সম্ভব যখন এসব স্মার্ট রা উটপাখির ন্যায় বালির নিচে মাথা লুকিয়ে তোতাপাখি মত একই বুলি আওড়াতে থাকে।
ধন্যবাদ।
আপনি বলেছেন- "এমতাবস্থায় কিছু অমুসলিম রাজনৈতিক ভাড় এমনকি ধর্মহীন কম্যুনিস্ট ও নষ্ট বামদের দিয়েও প্রচার করাচ্ছে কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না। এতকিছুর পরেও তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করছেনা!"
কিন্তু আমরা তো দেখি হালে পানি পায়না আল্লায় নিবেদিত মুমিনরাই : যত ফিৎনা, ফাতোয়া, কাইজ্যা, ফ্যাসাদ, অবিশ্বাস, ষড়যন্ত্র......... সবই নানান কিসিমের ইসলামী দলগুলোর ভিতর।
সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তিন শ্রেণীর লোকঃ
(১) প্রভাবসালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকার,
(২)মুনাফাখোড়, ঘুষখোর, সুদখোর বিত্তবান।
(৩)ধান্ধাবাজ মোল্লা মুন্সি।
বর্তমানে তিন শ্রেণির অনৈতিক লোকের ভিড়ে সৎ লোকের সংখ্যা নেহায়েতই নগণ্য।
দুনিয়ার অবস্থা যখন এমন তখন আল্লাহর ওয়াদা কার্যকর। এমতাবস্থায় আল্লাহর গজব অবধারিত। আল্লাহ যে গযব গুলো নাজিল করেন তার মধ্যে অন্যতম হল যালেম সরকার কায়েম করে দেয়া যারা সৎ অসৎ সকলকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবে যাতে জনগণের চেতনা ফিরে আসে।
অসৎ লোকেরা কেন ডান্ড খাবে তা ব্যাখ্যা করার দরকার নাই। সৎ লোকেরা ডান্ডা খাবে দায়িত্বাবহেলা বা আল্লাহর পরীক্ষার কারণে।
আপনার জন্য দুয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে পরিপূর্ণ মুসলিম বানান। আপনার নেতৃত্বে যেন সৎ লোকের ইনসাফ পূর্ণ সমাজ বিনির্মিত হয়।
আল্লাহ যদি আমার দুয়া কবুল করেন আর আপনি যদি একা হয়ে থাকেন তাহলে আমার নাতিকে আপনার সাথী হওয়ার উপদেশ দিব। আবশ্য তার আগে আমাকে নানা/দাদা হতে হবে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন