জাতীয় অংগনে প্রকাশ্যে যে গুনাহ করা হয় এবং জাতি তা বরদাশত করে নেয় তা জাতীয় পাপ হিসেবে বিবেচিতঃ
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৮:২৯ সকাল
জাতীয় অংগনে প্রকাশ্যে যে গুনাহ করা হয় এবং জাতি তা বরদাশত করে নেয় তাও জাতীয় পাপ হিসেবে বিবেচিতঃ
আজ আমরা বাংলার মুসলমানেরা জাতীয়ভাবে অন্যায় পাপাচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, অনাচার, অবিচার, সূদ, ঘুষকে মেনে নিয়েছি। বিচারের নামে জাতির সম্মানিত লোকদের উপর জুলম করছি। যদিও এসব পাপ কথিত বাপ-বেটির স্বপ্ন কিন্তু বিনা বাঁধায়, প্রকারন্তরে আমাদের প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষ মদদে নির্বিগ্নে সংগঠিত হচ্ছে। কুর’আনের ভাষ্য মতে এহেন পাপের জন্য পুরা জাতিই সমভাবে পাপী। যেমনটা সালেহ (আঃ) এর উটনিকে এক ব্যক্তি হত্যা করলেও তার দায়ভার নিতে হয়েছিল সমগ্র জাতিকে।
আজকে নিরপরাধ সাঈদী-নীজামী সহ ইসলামী আন্দলনের সিপাহ সালারদের বিনা অপরাধে অপরাধী সাজিয়ে অপমান করা হচ্ছে, এমনকি দুনিয়া থেকেই চির বিদায় করে দেয়ার পায়তারা চলছে অথচ পুরা জাতি তা বিনা বাঁধায় মেনে নিচ্ছে! কেউবা ইন্দন যোগাচ্ছে আর বাকীরা মুখে কুলুপ এটে নিরব দরর্শকের ভূমিকা পালন করছে! সব মিলিয়ে পুরা জাতিই অপরাধী হয়ে যাচ্ছে। ফলে আল্লাহর গজব কওমে সালেহর (আঃ) মত সকলের জন্যই অবধারিত। সময় থাকতেই সাবধান না হলে বাপ-বেটির অবৈধ স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপরাধে পুর জাতিকেই কঠিন মূল্য দিতে হবে।
সূরা আল আরাফে আল্লাহ আল্লাহ বলেনঃ
﴿فَعَقَرُوا النَّاقَةَ وَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ وَقَالُوا يَا صَالِحُ ائْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِن كُنتَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ﴾
আল আরাফ ৭৭) তারপর তারা সেই উটনীটিকে মেরে ফেললো, ৬১ পূর্ণদাম্ভিকতা সহকারে নিজেদের রবের হুকুম অমান্য করলোএবং সালেহকে বললোঃ “নিয়ে এসো সেই আযাব যার হুকমি তুমি আমাদের দিয়ে থাকো, যদি সত্যিই তুমি নবী হয়ে থাকো৷”
৬১. সূরা কামার ও সূরা শাসম-এর বর্ণনা অনুযায়ী যদিও এক ব্যক্তিই মেরেছিল তবুও যেহেতু সমগ্র জাতি এ অপরাধীর পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছিল এবং অপরাধী লোকটি ছিল নিছক তার জাতির ক্রীড়নক মাত্র,তাই অভিযোগ আনা হয়েছে সমগ্র জাতির বিরুদ্ধে৷ জাতির ইচ্ছা ও আকাংখা অনুযায়ী যে সমস্ত গুনাহ করা হয় অথবা যে সমস্ত গুনাহ করার ব্যাপারে জাতির সম্মতি ও সমর্থন থাকে কোন ব্যক্তি বিশেষ সেগুলো করলেও জাতীয় গুনাহেরই পর্যায়ভুক্ত৷ শুধু তাই নয়, কুরআন বলে, জাতীয় অংগনে প্রকাশ্যে যে গুনাহ করা হয় এবং জাতি তা বরদাশত করে নেয় তাও জাতীয় পাপ হিসেবে বিবেচিত৷
বিষয়: বিবিধ
১৪৯০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি বেচে থাকতে চাই। ভাল উপার্যন চাই। স্ত্রী সন্তানদের দায়িত্ব পালন করতে চাই কিন্তু আল্লা চান আমাকে জান্নাতের মেহমান বানাতে যা মৃত্যুর পরেই সম্ভব।
আমার অনুপস্থিতিতে আমার পরিবারের জন্য আল্লাহ আমার চেয়েও উত্তম অভিভাবকের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তাই মুমিনরা সর্বদা নিজের জ্ঞানের স্বল্পতার আলোকে আল্লাহর কাছে চায় আর আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানের আলোকে সিদ্ধান্তু নেন।
আশা করি আপনার মাথার উপর দিয়ে গেছে কিছুই বুঝেননি। কারণ আপনি ইচ্ছা করেই বুঝতে চাননা।
আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দিন। আল্লাহর প্রিয় বান্দী হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
ভারতের হুমকি মোকাবেলার উপযুক্ত হলেই কেবল পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার স্বপ্নেই তারা এটা করেছিলেন। কারণ, শুধুমাত্র ধর্ম ছাড়া পাকিস্তানীদের সাথে আমাদের আর কোন মিল ছিলনা এখনও নেই।
১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেই স্বক্ষমতা অর্যন করতে পারেনি বলেই শেখ মুজিব স্বাধীনতার আন্দোলন করেননি। করেছেন ৬ দফার আন্দোলন।
৭০এর নির্বাচনে জিতেও স্বাধীনতার ডাক দেননি। আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাধানমন্ত্রীর পদের জন্য।
জামায়াতও শেখ মুজিবের মতই বুঝেছিল পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার ওটা উপযুক্ত সময় নয়।
দেশকে ভারতের গোলামী ও অনৈতিক খবরদারী থেকে বাচাতে, পানির ন্যয্য হিস্যা, বানিজ্য ঘাটতি ও হিন্দি সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুসলিম এই ভূখণ্ডকে বাচানর জন্যই মূলত জামায়ত তথা সকল ইসলামী দল ও ব্যক্তি পাকিস্তানের ঐক্যের পক্ষে ছিল। এমন কি চীন পন্থী কমিউনিস্টরাও। বিশ্বর সমুদয় মুসলিম দেশ গুলোও আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন দেয়নি।
এখন প্রশ্ন হল জামায়াত নেতারা যুদ্ধকালিন সময়ে কোন অন্যায় করেছেন কিনা? উত্তরঃ না।
সরকার এ পর্যন্ত অথেন্টিকভাবে তা প্রমাণ করতে পারেনি। খ্যতিমান কোন মুক্তিযোদ্ধা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। এমনকি উল্লেখ করার মত কেউ স্বক্ষী দিতেও আসেনি। এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে যারা স্বাক্ষি দিয়েছে তারা কেউ মুরগী চোর, কেউ কলা কচু চোর নাহয় বৌ ভাবির মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সাজানো এই বিচার মূলত আমাদের মাথা উঁচু করা মুক্তিযোদ্ধাদেরই আপমান করছে। মানুষ আদালতের বারান্দায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে কিছু মুরগী চোর, কলা কচু চোরের পদাচারণা দেখে লজ্জিত হচ্ছে! জাতির শ্রেষ্ঠ্য আলেমদের অপমান করতে দেখে স্তম্ভিত হয়েছে। নিরবে চোখের পানি ফেলছে। নাটকের কুশীলবদের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে বিচার দিচ্ছে। অযুত মানুষের ফরিয়াদ কোনদিন বৃথা যাবেনা। যেতে পারেনা।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
আমি বার বার একটি কথা বলে আসছি- ১৯৪৮ সালে সম্পূর্ণ মুসলিম অধ্যুষিত স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ ছিল হায়দারাবাদ। এ দেশটিকে যখন ইন্ডিয়া দখলে নিচ্ছিল তখন তাদের পর্যাপ্ত পরিমান নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে সহজেই কাবু করতে পেরেছিল। হায়দারাবাদকে কব্জা করার পর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ রিফিউজী হিসেবে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশছাড়া হয়েছিল। এরা ছিল সবাই মুসলমান। তাদের মুখের মাতৃভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। সরকারী অফিস আদালতে উর্দু ভাষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এক প্রকার বলতে গেলে হায়দারাবাদের মুসলমানদের উপর ভয়াবহ এক আজাব নেমে এসেছিল।
আজ অনেক বোদ্ধা দেশপ্রেমিক চিন্তাশীল ব্যক্তি দেশের এই নাজুক ও করুণ অবস্থা দেখে বার বার হায়দারাবাদের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার ৪১ দিনের মাথায় পিলখানা ম্যাছাকারের মাধ্যমে দেশের শসস্ত্র বাহিনীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার আয়োজন হলো। এমনকি বিডিআরের তেজোদীপ্ত নামটা পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিলেন।
এর পরে নেমে আসলো দেশপ্রেমিক ঈমানদার রাজনীতিবিদদের নাজেহাল ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের মাধ্যমে ধমনের খেলা। আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের উপর জুলুমের স্টীম রোলার চালিয়ে তাদেরকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়ার সমস্ত আয়োজন। যারা এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলো তাদের উপর চালানো হলো গনহত্যা। কিন্তু এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ ও এলিট শ্রেণী মুখে কুলুপ এটে এসব অন্যায়কে পশ্রয় দিয়ে সমর্থন যুগিয়ে আসছে।
যদি জাতির ঘাড়ে হায়দারাবাদের মত কোন বিপদ আসে তখন এসব টাউট এলিটরাও যে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হবেন তা আচ করতে অক্ষম।
সুতরাং সময় থাকতে এখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির বিরুদ্ধে পরিচালিত ভয়াবহ ষড়যন্ত্র তথা মানবতার বিরুদ্ধে আপরাধী ট্রাইবুনালের অপতৎপরা রুখে দিতে হবে।
এমন কখনো হয়নি - জাতীর সবচেয়ে ভাল মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে আর জাতীর উন্নয়ন হয়েছে।
এটা ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে। আমরা সবাই সেদিকে যাচ্ছি।
আযাব কখনো খাস হয় আবার কখনো আম হয়।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন