স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া কি জরুরী নাকি বয়কোট করাই শ্রেয়?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৯:৩৪ বিকাল
জাতীয় নির্বাচন আর এস্থানীয় নির্বাচন এক নয়।
বিরোধী দল বয়কোট করলেও স্থানীয় পর্যায় অনেক পয়সাওয়ালা লোক নাম ফাটানর জন্য স্থানীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে যা ঠেকান প্রায় অসম্ভব।
স্থানীয় নির্বাচনে আত্মীয়তা এবং আঞ্চলিকতার খাতিরে হলেও বেশীর ভাগ মানুষ ভোট দিবে। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলে এখানেও ওরা বিনা বাধায় প্রশাসনের বাকী অংশও দখল করে ফেলবে।
স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নিলে ফাঁটা ফাঁটি নির্বাচন হবে এবং ভোটার উপস্থিতি বেড়ে ৮০% ও হতে পারে। ফলে সহজেই দুনিয়া বুঝবে যে বাংলাদেশের মানুষ কতটা গণতান্ত্র পাগল। বিরোধী দল জাতীয় নির্বাচন বয়কোট করার কারনেই যে কেউ ভোট দেয়নি তা আরও একবার বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণীত হবে।
নির্বাচন বয়কোট করলেই সরকার অবৈধ হয়ে যাবেনা।
সরকার কখনও অবৈধ হয়না। দায় ঠেকে হলেও অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিতে হয় বা বৈধতা পেয়ে যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথায় কথায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবেনা যা সাধারণ নেতা কর্মীর বেলায় সম্ভব।
নির্বাচন কমিশনার যদি জনতার বিজয় ছিন্তাই করে তাহলে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠবে যা সরকার বিরোধী আন্দোলনের হলে পানি যোগাবে।
বর্তমানে বিরোধী দলের এমনকোন শক্ত অবস্থান নাই যাতে এক ফুঁৎকারেই সরকার উড়ে যাবে। তাই স্থানীয় প্রশাসন দখলের মাধ্যমে সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলতে হবে।
সব মিলিয়ে আমার মতে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়াই শ্রেয়।
পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনের কৌশলেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।
আন্দোলন হবে অহিংস কিন্তু প্রভাব হতে হবে লক্ষভেদি। দেশবান্ধব এমন কর্মসূচী নিতে হবে যাতে সরকারের কলিজার পানি শুকিয়ে যায়।
মাঝে মধ্যে ঢাকা চল কর্মসূচী দিয়ে সরকারকে নাকাল করে ফেলতে হবে। ক্ষমতায় থাকার স্বাধ এবং দেশ চালানোর খাহেস চিরতরে মিটিয়ে দিতে হবে।
সারা দেশে জুতা বৃষ্টি, টমেটো বৃষ্টি,কলম বৃষ্টি, অগ্নী বৃষ্টির ফল্গুধারা প্রবাহীত করতে হেব।
বিষয়: বিবিধ
২৪০৭ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
দুয়া চাই যাতে চিন্তা গবেষণার রাজ্যে অবদান রাখতে আপনার সহকর্মী হতে পারি।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
বর্ধনটা যেন বয়স যোগ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে হয় সেদিকটাও ভাবতে হবে।
ইমব্যালেন্স হয়ে গেলে কিন্তু ঘোড়াঘুড়ি ছাড়া তেমন কোন ফল পাওয়া যাবেনা।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
তারা যেত সাধারণ নির্বাচনে । জিততে হলে আওয়ামী লীগকে অনেক কাহিনী করতে হত । সারা বিশ্বের নজর থাকতো এই নির্বাচনের উপর । দেশী বিদেশী অনেক পর্যবেক্ষক থাকতো সে সময় । উল্টা সিধা কিছু করতে গেলে কঠিনভাবে কালার হয়েই তা করতে হত । আজ ভারত যে সেল্টার দিচ্ছে সারা বিশ্বের বিপরীতে , তখন ভারতই চুপসে যেত কারণ সেল্টার দিলে তারাও পঁচতো ।
ফলাফল যদি নিজেদের অনুকূলে না আসতো তাহলে লীগ কালক্ষেপন করতো , ফলে তারা এখনও যে তাদের প্রতি বিদেশীদের নিমরাজি পাচ্ছে তখন সেটাও পেত না ।
কিন্তু নির্বাচনে না যাওয়াতে বিএনপির কোন লাভই হয় নি । বিনা বাঁধায় তারা আওয়ামী লীগকে থাকতে দিয়ে দিল ।
না পারলো তারা মার্চ ফর ডেমোক্রেসী করতে , না পারলো নির্বাচন ঢেকাতে ।
আশা যে ছিল বিদেশী প্রভুরা সাথে থাকবে তা আর হল না । সবাই হতাশ হলেও ঠিকই নির্বাচিত সরকার আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেছে ।
ফলে খালেদাকে পিছু হটতেই হলো । রণে ভঙ্গ দিয়ে এখন তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথা বলছে আগামী ৬ মাস ।
ভোট ৫% পড়ুক বা ৪০% , কথা হল আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এসেছে । এটাই বাস্তবতা । এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করাই বিএনপির একমাত্র উপায় ।
আর এসময়ের মধ্যে যত স্থানীয় নির্বাচন আসবে তার সবগুলোতে পার্টিসিপেট করা । কারণ , সাধারণ নির্বাচনের ভিত্তি হল স্থানীয় নির্বাচন । এটা না ধরতে পারলে চিরতরে হারিয়ে যাবে বিএনপি ।
ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে বিরোধীদলের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যাক্ত করেছে কিন্তু বিরোধী দল তা থেকে কোন ফায়দা হাসিল করতে পারেনি। এত জনসমর্থন থাকার পরেও যারা বিজয়ি হতে পারেনা বা আন্দোলন সফল করতে পারেনা তাদের রাজনীতি করা উচিৎ না।
বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে আজ অপদার্থ নেতাদের কারণে সাধারণ সমর্থকরা অকাতরে জীবন দিচ্ছে। এসকল অপদার্থ নেতাদের উচিৎ নাকে ক্ষৎ দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেয়া।
সকল স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়ে প্রশাসনিক ভিত্তি শক্ত করতে হবে।
ধন্যবাদ।
শান্তিকালিন সমাবেশ এটি। পুলিশের কোন বাঁধা ছিলনা। বিনা দাওয়াতেই ইসলামী দলগুলোর কর্মীরা উপস্থিৎ হয়েছিল। বিএনপিকে বাগে আনার জন্য সরকারও লোক সাপ্লাই দিয়েছিল কিনা কে জানে?
ইসলামী দলগুলোর উচিৎ অন্তত বিশ বছরের জন্য চুপ হয়ে যাওয়া। নিজেদের মধ্যে ঐক্য স্থাপন, ঈমান আক্বীদার পরিশুদ্ধ করণ, জ্ঞানার্জন এবং বিতরণ ও জনসেবামূলক কাজে আত্মনিয়গ করা।
বেনামে সকল স্থানীয় নির্বাচনে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ২০/২৫ টি আসনে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করা। নির্বাচিত হলে সরকারী দেলে ঢুকে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করা এবং ইসলামের খেদমত বাড়িয়ে নেয়া।
শুধুমাত্র ধর্মীয় এবং জাতীয় ইস্যূতে প্রতিবাদ জানান এবং ধর্মীয় মাহফিলের বিস্তার ঘটান তবে সর্বচ্চো সবুরের মাধ্যমে সকল প্রকার সহিংসতা পরিহার করে চলা এবং অনাগত বিপ্লবের জন্য অপেক্ষা করা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন