বাংলা লীকস এ সাঈদী সাহেবের কন্ঠ আমার কাছে আসল বলেই মনে হচ্ছে। আপনার কাছেও কি তাই মনে হয়?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:৪৭:১৮ সন্ধ্যা
মোবাইলে সাঈদীর কথিত আদিরস! মিথ্যা প্রমাণে লাখ ডলার পুরস্কার
ট্রাইবুন্যালিক্স এর ঘটনায় বিচাপতি নিজামুল হক নাসিম, তার দোসর বামপন্থী মহল এবং সরকার যখন কুপকাত তখন নিজেদের মুখ রক্ষার্থেই যে বাংল লীক্স অনলাইনে এসেছে সে বিষয়ে মনেহয় কারো সন্দেহ নাই।
ট্রাইব্যুনালিক্স এর বিষয়ে যখন বামেরা লা জবাব তখন তার মোকাবেলার জন্য পাল্টা কিছু একটা যে করা দরকার তাতো আর বলে বুঝানোর প্রয়োজন নাই।
অঘটন ঘটন পটিয়সি বামেরা ঘটিয়েছেনও বটে, তবে এক্ষেত্রে ইসলামপন্থীদের জবাব যুৎসই হচ্ছেনা। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে এটাকে ফেইক বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমান যুগে অনুনয় বিনয়ের কোন স্থান নাই। দরকার যুক্তি প্রমাণ।
সাঈদী সাহেবের সমর্থকেরা যদি অতিভক্তির কারনে অন্ধ হয়ে থাকেন তাহলে প্রলয় বন্ধ হবে না। তাই প্রত্যেক ভক্তকেই অডিও ক্লিপটা ভালো করে শুনতে হবে এবং বুঝতে হবে। বিষয়টা সম্পকে সঠিক বা বেঠিক যেকোন একটা কংক্রিট সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আমি বিশেষজ্ঞ নই তবে ক্লিপটা শুনে যা বুঝেছি তাতে মনে হচ্ছে সাঈদী সাহেবের কন্ঠস্বর আসল। মহিলাদের আমি চিনিনা তাই তাদের কন্ঠস্বর সম্পর্কে আমার তথা কারওই কোন ধারনা আছে বলে মনে হয়না।
সাঈদী সাহেব তার আলোচনায় প্রাসঙ্গিক ভাবে অনেক কথাই বলেছেন। যেমন এক মাহফিলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বোঝাতে তিনি বলেছেন চট্টগ্রামের ছেলে আর বরিশালের মেয়ের মধ্যে বিবাহ হয়েছে। একজন লইট্টাফিস খুব পচন্দ করে আর একজন লইট্টাফিসের গন্ধও শুকতে পারেনা।
রুচীর যখন এরকম বেমিল তখন তাদের মধ্যে নিত্য ঝগড়া হওয়ার কথা ছিল কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে মহব্বৎ পয়দা করে দিয়েছেন।
একানে লইট্টা ফিসের কথা আছে। এই লইট্টা ফিস শব্দটা যদি কৌশলে ফোনালাপের সংক্ষিপ্ত কথার সাথে জুড়ে দেয় তাহলে কেমন হয়?
মেয়েঃ দাদু লইট্টা ফিস রান্না করেছি।
সাঈদী সাহেবঃ লইট্টা ফিস?
আমেরিকা থেকে মঙ্গল গ্রহে পাথ ফাইন্ডর পাঠানো হয়েছিল। পাথ ফাইন্ডারে করে যে ছোট্ট রোবট পাঠানো হয়েছিল তার নাম ছিল সোজার্নার। সাঈদী সাহেব তার এক আলোচনায় এই যন্ত্র বা মেশিনের কথা বলেছিলেন। এর দৈর্ঘ্যর কথা সম্ভবত বলেছিলেন সাড়ে সাত ইঞ্জি আর চাকার ব্যাসের কথা সম্ভবত বলেছিলেন দেড় ইঞ্চি।
এবার আসুন একটু মিলিয়ে দেখিঃ
নাতনি কতটুকু?
সাঈদী সাহেবঃ সাড়ে সাত ইঞ্চি। ব্যাস দেড় ইঞ্চি।
প্রিয় পাঠক কি বুঝলেন?
একটা বহুল প্রচারিত হাদীসঃ (ভাবার্থ) দুই চোয়ালের এবং দুই পায়ের মাঝে যে বস্তু দুটি রয়েছে তার গ্যারান্টি যে দিতে পারবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি দিচ্ছেন।
এবার একটু মিলিয়ে দেখুনঃ কোথাও থেকে তোমার শব্দটা আর দুই পায়ের মাঝে শব্দটাকে একত্রে করলে কি দাড়ায়?
তোমার দুই পায়ের মাঝে।
প্রিয় পাঠক এথেকেই বা আমরা কি বুঝলাম?
আমার মনেহচ্ছে সাঈদী সাহেবের বিষয়ে বামেরা বিশাল বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। অনলাইনে তার ওয়াজ গুলোকেও এভাবে ওরা বিক্রিত করবে বলে মনে হচ্ছে। যাতে মানুষ আর আসল নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে না পেরে তার ওয়াজ শুনাই ছেড়ে দেয়। অথবা শুনলেও বিভ্রান্ত হয়।
তাই এখনই শতর্ক না হলে এবং তার সকল কর্মকান্ডের রেকর্ড স্বরুপ নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট ও আর্কাইভ না করলে তারমত গুণিজনের মূল্যবান কথা একদিন দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে।
বাতিল শক্তি যখন কোন ভাবেই মুমিনের মোকাবেলা করতে পারেনা তখন তারা চরিত্র হননের সোজা রাস্তা বেছে নেয়।
মা আয়েশা (রাঃ) এর চরিত্র হনন করে রাসূল (সাঃ)কে পর্যন্ত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা রব্বুল আলামীন মা আয়েশা (রাঃ) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তাই বলে সাঈদী সাহেবের চরীত্রের সার্টিফিকেট তো আর আল্লাহ তায়া'লা রব্বুল আলামিন দুনিয়ার মানুষের কাছে পাঠাবেন না। তাই সাঈদী সাহেবের চরীত্রের মাধুর্যতা দুনিয়াবাসী তার ভক্ত অনুরক্তদেরই প্রমাণ করতে হবে।
অবশেষে এটা এখন সময়ের দাবী যে প্রযুক্তির মোকাবেলা প্রযুক্তি দিয়েই করতে হবে। স্বস্তা আবেগ আর ভক্তি শ্রদ্ধা দিয়ে বর্তমান মিডিয়ার মোকাবেলা সম্ভব নয়।
যুদ্ধ চলছে ত্বথ্য প্রযুক্তির, মোকাবেলাও করতে হবে তাই দিয়েই।
বিষয়: রাজনীতি
২৩৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন