কাদের মোল্লা যখন নিজেই নিজের গাড়ির ড্রাইভার!

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:০৯:৪২ দুপুর



মেধাবী ছাত্র, ব্রিলিয়ান্ট রাজনীতিক এবং সত্যের সৈনিক বীর মুজাহীদ শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা যদি চাইতেন তাহলে দুনিয়ায় গাড়ি বাড়ি অট্টালিকার মালিক হতে পারতেন। কিন্তু সাদা সিধা, বোকা সোকা এই মানুষটা দুনিয়ার সুখ শান্তি ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন আখেরাতের জিন্দেগিকে।

দুনিয়ায় তিনি বিত্ত বৈভব কিছুই পাননি। গাড়ি বাড়িতো স্বপ্নেও দেখেননি। আমি যতবার তাকে দেখেছি তাতে মনে হয়েছে সবচেয়ে কমদামী পাঞ্জাবীটা তিনি কিনেছেন। কোনদিন স্ত্রি করার সুযোগ পেয়েছেন বলেও মনে হয়নি।

অথচ সেই আব্দুল কাদের মোল্লাই এখন গাড়ি হাকান! গাড়ি যখন হাকান তখন ভালো বাড়িও যে করেছেন তাতেও সন্দেহ নাই।

শুনেছি হুজুর মার্কা লোকেরা চান্সে সুন্দরী নারীদের বিয়ে করে ফেলেন। গাড়ি হাকানো বাড়ির মালিক আব্দুল কাদের মোল্লা কোন অপ্সরীকে ইতি মধ্যে সঙ্গিনীও করে ফেলেছেনকিনা কে জানে? সেকুলারা ক্লাবে গিয়ে ফুর্তি ফার্তি করলে দোষ হয়না কিন্তু হুজুরটাইপের কেউ যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে তাহলেই সবার চোখে ঠাডা পরে। ভাবখানা এমন যে ধর্মহীন সেকুলারেরা সব সুন্দরী নারীদের সাথে অবৈধ ফুর্তি করবে করুক কিন্তু হুজুর সুন্দরী তরুণীকে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করল কেন?

সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ আমি কশাই কাদেরের কথা বলছিনা। আমি বলছি ইসলামী উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন, বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার কথা।

আপনারা যারা তাকে জানেন হয়ত তারা ভাবছেন আমি পাগলের প্রলাপ বকছি, তাইনা? না আমি পাগলের প্রলাপ বকছিনা বারং যা নিজ চোখে দেখেছি তাই বলছি। তিনি যে ভিতরে ভিতরে এত কিছু করে ফেলেছেন তা হয়ত অনেকেরই অজানা। আমিও জানতামনা কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় শুধু জানলামইনা বরং দেখেও ফেল্লাম।

ঢাকার রাজ পথ দিয়ে শীতের পড়ন্ত বিকেলে উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাটছি আর ভাবছি যেহেতু মগবাজারের কাছেই আছি তাই কিছু ইসলামী বই কিনলে খারাপ হয়না? যেমনি ভাবনা অমনি ফুটপাথ থেকে রাজপথে দৃষ্টি দিতেই দেখি দুধ সাদা পাঞ্জাবি পড়া মধ্য বয়সি এক ভদ্রলোক সাদা রঙের একটা গাড়ি থামিয়ে চট জলদি গাড়ি থেকে নেমে কি যেন চেক করছেন।

ভালো করে দৃষ্টি দিতেই আমার চোখ যেন ছানা ভড়া! এ দেখছি আব্দুল কাদের মোল্লা। আরে তিনি এত সুন্দর গাড়ি পেলেন কোথায়? আবার নিজেই ড্রাইভ করছেন। সালাম দিলাম, তিনি জবাব দিলেন এবং আমার কুশল জিজ্ঞেস করলেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ বলে জবাব দিতেই তিনি মুচকি হেসে বল্লেন, 'জবাবটা পরিপূর্ণ হয়নি, পরিপূর্ণ জবাব হল, আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন'!

আমি আর কথা না বাড়িয়ে বল্লাম, 'আমিকি আপনাকে সাহায্য করতে পারি কি"? উদ্দেশ্য সাহায্যের ছলে তার সাহচর্য। তিনি একই কায়দায় মুচকি হেসে বল্লেন, 'তুমি খুব চালাক, বস'।

তার গাড়ির যে সামান্য সমস্যা তাতে আমার কিছুই করার নাই। যা করার তা তিনি নিজেই করছেন কিন্তু আমার উদ্দেশ্য যে তার সাহচর্য তা তিনি বুঝতে পেরে আমাকে বসালেন এবং তার সাহচর্য লাভে ধন্য করলেন।

কথার ফাকে তার মৃত্যু দন্ড সম্পর্কে ভাবছিলাম। তার মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার বাকী মাত্র তিন দিন যা তিনি নিজেও জানেন অথচ সে ব্যাপারে তার কোন ভাবান্তর নাই! তিনি প্রেশান গাড়ি ঠিক করা নিয়! বিষয়টা আমার ভালো লাগেনি। অবশ্য ততক্ষণে তার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। হঠাৎ তার মুক্তির দাবিতে বড় একটা মিছিল এসে আমাদের মধ্যে আড়াল করে দিল আর অমনি ঘুম ভেঙ্গে গেল।

এটা ছিল আজ ফজরের পরে দেখা আমার স্বপ্ন। (২২.১২.২০১৩ইং)

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, হে প্রভূ! তুমি শহীদ আব্দু কাদের মোল্লার শাহাদত কবুল কর এবং জান্নাতে তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান কর। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

২০৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File