দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় তখন আহত সার্দূল ঘুড়ে দাড়ায়।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৫:০২ দুপুর

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে!

জামায়াত নেতারা জুডিশিয়াল কিলিং এর অপেক্ষায় প্রহড় গুণছে, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল আর প্রতিনিয়ত নেতা কর্মীরা খুণ হচ্ছে অতএব তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

বিএনপির প্রধান বেগম জিয়া গৃহছাড়া, তার সন্তানরা নির্বাসীত, নেতা কর্মীরা জেলে, কেন্দ্রীয় অফিস তালাবদ্ধ, সমর্থকরা নিত্য নতুন যুলমের শিকার হয়ে ছন্ন ছাড়া, অতএব তাদের পিঠও দেয়ালে ঠেকে গেছে।

২০০৬ এর অক্টোবরে লগী বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে আওয়ামিলীগ নতুন ইতিহাস রচনা করে অনেক নাটকিয়তার পর বিতর্কীত নীর্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরহন করেছে। ক্ষমতা চর্চা করতে গিয়ে খুণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্য ও ছাত্রী বানিজ্য করে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে। গুম খুণ জুডিশিয়াল কিলিং চিরুণী অভিজান এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি এমনভাবে সরিয়ে ফেলেছে যে দেয়ালে পিঠ না ঠেকিয়ে এখন আর দাড়াতে পারছেনা। ফলে তাদের পিঠও দেয়ালে ঠেকে গেছে।

এখন দেখার বিষয় হল কাদের দেয়াল কতটা মজবুত?

জামায়ত শিবির সারাজীবন বলে আসছে তারা সীষা ঢালা প্রাচীরের মত মজবুত দেয়াল গড়বে। যদি সত্যিই তারা তা করে থাকে তাহলে তাদের দেয়ালই সবচেয়ে বেশী মজবুত। দুনিয়ার কোন শক্তির পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব নয় বলে তারা দাবী করছে।

বিএনপির দেয়ালের মূল ভিত্তি হল দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ জনতা অবশ্য ফাঁকে ফাঁকে দুইচারটা নেতা গোছের ঝামা ইট আছে যেগুলো নিয়ে কিছুটা ভয় আছে, তারপরেও বলতে হবে মোটামুটি খারাপনা। দরকার শুধু আত্মবিশ্বাসী হয়ে শক্তভাবে দেয়াল ধরে ঘুড়ে দাড়ানো।

আওয়ামিলীগই যেহেতু ক্ষমতায় আর সরকারের সকল যন্ত্রই যেহেতু তাদের পদতলে সেহেতু দেয়ালে পিঠ ঠেকানোর প্রশ্নই উঠেনা কিন্তু বিগত বছর গুলোতে যেহারে তারা ক্ষমতার অবৈধ চর্চা করেছে এবং ভারতের কাছে নিজেদের সপে দিয়েছে তাতে নৌকার তলায় অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে, পাল ফুঁট হয়ে গেছে এবং পায়ের নিচের মাটিও সরে গেছে। অস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে দেয়ালের নিচের মাটি ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়ার কারণে একসময় বিনা ধাক্কায়ই আওয়ামী দেয়াল খসে পরবে। কারণ যেই জনতা তাদের দেয়াল ধারণ করে রেখেছিল সেই জনতাই এখন তাদের প্রতি ত্যাক্ত বিরক্ত।

হিন্দু সম্পদ্রায় ছিল তাদের প্রতি অন্ধ অনুরক্ত, তারা আওয়ামিলীগ থেকে চাকুরীগত সুবিধা আদায় করে নিতে পারলেও প্রতিনিয়ত আওয়ামী পান্ডাদের হাতে লাঞ্চিত ও লুণ্ঠিত হচ্ছে। আওয়ামী সন্ডারা জামায়াতের নাম দিয়ে ইদানিং ব্যাপক হারে মন্দির ভাঙতে গেয়ে এবং বাড়ি ঘরে অগ্নী সংযোগ করতে গিয়ে ধরা খেয়ে নামকাওয়াস্তে শাস্তিও পাচ্ছে।

হিন্দুদের উপর যুলম নির্যাতন জামায়াত শিবিরের কাজ বলে দল দাস লীগাত্তর মিডিয়া যতই প্রচার করুকনা কেন, ভুক্তভোগিরা কিন্তু ঠিকই জানে আসলে এধরণের অঘটন যে তাদের পেয়ারের আওয়ামী সন্ডারাই ঘটাচ্ছে। মানুষের মনুষত্ব বোধের কারণে তারা অর্থের চেয়ে সম্মানকে বেশী গুরুত্ব দেয় তাই হিন্দু সম্পদায়ও যে আওয়ামিলীগের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সেটা হলফ করে বলা যায়।

হিন্দুদের যতই জামায়াতের জুজু দেখানো হকোনা কেন তারা কিন্তু ঠিকই জানে যে জামায়াতের চরিত্র সাম্প্রদায়িক আর কতটা অসাম্প্রদায়িক। অতএব দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ও যে আওয়ামিলীগরে দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা আর সে ক্ষেত্রে তারা যদি জামায়াতের দিকে মুখ ঘুড়িয়ে দেয় তাহলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবেনা।

প্রশাসনকে অবৈধ হুকুম মানতে বাধ্য করে তাদের ত্যাক্ত বিরক্ত করে ফেলেছে আওয়ামি সরকার। বলা যায় তাদের পিঠও দেয়ালে ঠেকে গেছে।

জামায়াতে ফাঁসানর জন্য ইদানিং আওয়ামি পন্ডারা- বিচারপতি, মন্ত্রী, এমপি ও সুশীল বাবুদেরও টার্গেটে পরিনত করেছে, অতএব সমাজের সর্বস্তরের মানুষের পিঠই দেয়ালে ঠেকে গেছে। পুর জাতি এখন শুধু ঘুড়ে দাড়ানর অপেক্ষায়।

বিষয়: বিবিধ

২০৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File