বাতিলের আইনের ফাঁক গলিয়ে আল্লাহর সাহায্যে আব্দুল কদের মোল্লাকে মুক্ত করে আনতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:০৩:১০ সকাল
হক বাতিলের যে দ্বন্দ চলছে তাতে হকের বিজয় হয়েছে। ওরা ঘোষনা করেছিল আজ রাতেই (বুধবার রাত ০০.০১টা) আব্দুল কাদের মোল্লাকে খুণ করা হবে কিন্তু হায়াত মওতের মালিক যে আল্লাহ, তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল ভিন্ন।
আব্দুল কাদের মোল্লা যখন শাহাদতের অমিয় সূধা পানে মানুষিক ভাবি প্রস্তুৎ, তার পরিবার যখন আল্লাহর দিদারের জন্য তাকে বিদায় জানিয়ে এসেছেন, যালিম যখন খর্গ হস্তে দাড়িয়ে তখন কোন সে শক্তি যে নিশ্চিৎ মৃত্যুর মুখ থেকে তাকে বাচিয়ে দিলেন? তিনিতো আমাদের মণিব, আমাদের শ্রষ্ঠা, আমদের প্রভূ মহান আল্লাহ।
ইব্রাহীম (আঃ) যখন স্বীয় পুত্র ইসমাঈলের গলায় ছুড়ি চালাচ্ছিলেন তখন পিতা-পুত্র কেউকি জানত যে আল্লাহর সিদ্ধান্ত ভিন্ন? কেউ জানত না।
কবুল হয়ে গেল আল্লাহর দরবারে পিতা-পুত্রের ত্যাগের সর্বচ্চো নমুনা! তাঁরা পাশ করলেন আল্লাহর পরীক্ষায়, পক্ষান্তরে মরদুদ শয়তান ব্যার্থ হল চিরতরে।
আব্দুল কাদের মোল্লার ঘটনাটা যদি আমরা সইয়েদেনা ইব্রাহী ও ইসমাঈল (আঃ) এর কুরবানীর ঘটনার সাথে মিলিয়ে পাঠ করি তাহলে কি আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারিনা যে আল্লাহর দরবারে মুহতারাম আব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদতের মর্যাদা প্রাপ্ত হয়ে গেছে?
বিষয়টা, এখন আর আব্দুল কাদের মোল্লার জীবন মৃত্যুর ফায়সালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না। এখন এটা আল্লাহর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জের পর্যায়ে চলে গেছে।বাতিল বলছে আজই তাকে খুণ করা হবে আর মুমিনরা বলছে হায়াত মওতের ফায়সালা আল্লাহর হাতে।
আব্দুল কাদের মোল্লা যেহেতু অপরাধী নন তাই তিনি দুনিয়ার কোন শক্তির কাছে ক্ষমা চাইবেন না এটাই স্বাভাবিক, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি নেতা কর্মীর সেটাই কাম্য এবং প্রতিটি কর্মীই শাহাদতের তামান্না নিয়ে ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়।
আব্দুল কাদের মোল্লা এমপি নির্বাচিত হলে ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা খুশি হত, মন্ত্রী হলে আরো বেশী খুশি হত, প্রধানমন্ত্রী হলে তো কোন কথাই ছিলনা কিন্তু তিনি যখন শাহাদতের মর্যাদা পাচ্ছেন তখন ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মী, তিনি নিযে এবং তার পরীবারের সকলের খুশীর সীমা পরিসীমা নাই। বাতিলরা হকপন্থীদের চোখে যে অশ্রু দেখছে সেটা কান্নার অশ্রুনা বরং মহা প্রাপ্তির আনন্দাশ্রু। যা আব্দুল কাদের মোল্লার জীবন সঙ্গিনী মুহতারেমা সানোয়ারা বেগমের বিজয় চিহ্ন এবং চোখের তিক্ষ্ণ ভাষায়ই প্রতিয়মান।
বাতি শক্তি আইনের কথা বল্লেও সম্পূর্ণ বে'আইনী ভাবে আব্দুল কাদের মোল্লাকে যেহেতু খুণ করতে বদ্ধ পরিকর সেহেতু বাতিলকে চ্যালেঞ্জ না করে ছেড়ে দেয়া মোটেও উচিৎ নয়। আব্দুল কাদের মোল্লা কি বল্লেন আর না বল্লেন সেটা দেখার সয় এখন আর নাই কারণ তিনি আল্লাহর কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন, তিনি কুরবানী হয়ে গেছেন। কুরবানীর গোস্ত আল্লাহ নেন না, বরং সেগুলোকে আল্লাহ মুমিনের জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন। ইচ্ছা করলে মুমিনেরা কুরবানীর গোস্তের কাবাবও খেতে পারে আবার ইচ্ছা করলে ঝাল মসল্লা বানিয়ে খেতে পারে।
আব্দুল কাদের মোল্লাহ এখন মুমিনদের মালে গনিমত এখন মুমিনরা যেভাবে চাইবে আল্লাহর ইচ্চায় তাকে সেভাবেই চলেতে হবে।
মুমিনার চাচ্ছে বাতিলের আইনের ফাঁক গলিয়ে আল্লাহর সাহায্যে আব্দুল কাদের মোল্লাকে মুক্ত করে আনতে, তাই আইনজিবীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনে কি লেখা হবে সেটা পরের কথা প্রথম কথা হল আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করব।
রাষ্ট্রপতিকে যেহেতু চালাকি করে ওরা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে তাই তার ফিরে না আশা পর্যন্ত সময় দিতে হবে। আজেকেই সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে জানিয়ে দেয়া জরুরী।
রাষ্ট্রপতি ফিরে আসা পর্যন্ত পদ্মা মেঘনায় অনেক পানি গড়াবে আর আল্লাহর ক্ষমতার বাস্তব নমুনা মুমিনরা যেভাবে অতীতে দেখেছে ভবিষ্যতেও তেমনি দেখতে পাবে ইনশা'আল্লাহ।
বিষয়: রাজনীতি
২৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন