নির্বাচন সরকারের রূপ রেখাঃ
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:১০:৫৪ সন্ধ্যা
নির্বাচন সরকারের রূপ রেখাঃ
নামঃ সরকারের নাম হবে নির্বাচন সরকার। (নিস) Election Government (EG)
যাদের নিয়ে গঠিত হবেঃ
জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত সাবেক সদস্যদের মধ্যে যারা চলতি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী বা কোন লাভজনক সরকারী সংস্থার সাথে জড়িত নয় এমনকি যে নির্বাচনের জন্য এ সরকার গঠিত হচ্ছে সে নির্বাচনেও তারা বা তাদের নিকটাত্মীয়দের কেউ অংশগ্রহণ করছে না এমন সদস্য ও সদস্যাদের নিয়ে গঠিত হবে। তাদের সংখ্যা হবে অনুর্ধ ২১ জন। যাদের মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টা থাকবে এবং তার (প্রধান উপদেষ্টা) নেতৃত্বে সরকারের রুটিন কাজ পরিচালনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে।
চলতি সংসদের মেয়াদ পুর্তির শেষ ৬০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সরকার গঠন ও নিয়গ সম্পন্ন করতে হবে। যা চলতি সরকারের মেয়াদুত্তির্ণের দিন থেকে কার্যকর হবে।
২১ জন উপদেষ্টা নির্বাচন পদ্ধতিঃ
জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সাবেক সদস্য যারা বর্তমান সংসদের সদস্য, মন্ত্রী বা সরকারী কোন লাভজনক সংস্থার সাথে জড়িত নয় এমন সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে। তাদের সংখ্যা ২১ এর বেশী হলে যতজন সদস্য জিবিত আছে তাদের মধ্যে থেকে বয়সের দিক থেকে যারা নবিন তাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নের্বাচিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি একাধিক সদস্যের একই বয়স হয় তাহলে তাদের মধে প্রকাশ্য লটারি মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম সমাপ্ত করতে হবে।
সদস্য সংখ্যা যদি ২১ এর কম হয় তাহলে যতজনকে জীবিত পাওয়া যাবে তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন সরকার গঠিত হবে তবে সে সংখ্যা কোন ভাবেই ১১ জনের কম হবেনা। কোন সদস্য অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বাদ দিতে হবে তবে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে আন্তর্ভুক্ত করা যাবেনা।
কোন কারনে সদস্যা সংখ্যা ১১ জন না পাওয়া গেলে সিটি কর্পরেশনের নির্বাচিত সাবেক মেয়রদের মধ্যে তুলনামূলক কম বয়সীদের নিয়ে সংখ্যা পূর্ণ করতে হবে। যদি তাতেও সংখ্যা পূর্ণ না হয় তাহলে জেলা পর্যায়ের পৌরসভার নির্বাচিত সাবেক মেয়রদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সদস্য নিয়ে ১১ জনের সংখ্যা পূর্ণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যদি একই বয়সের একাধিক সদস্য পাওয়া যায় তাহলে তাদের মধ্যে পাকাশ্য লটারি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টাঃ
সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে ইতিপূর্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে তিনিই প্রধান উপদেষ্টা হবেন। এমন কাউকে না পাওয়া গেলে, স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কাউকে পাওয়া গেলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। সাবেক স্পিকার পাওয়া নাগেলে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে এমন একজনকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দিতে হবে। উপরোক্ত যে কোন শর্তে যদি একাধিক সদস্য পাওয়া যায় তাহলে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে হবে। প্রেসিডেন্ট, স্পিকার বা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে এমন কাউকে পাওয়া না গেলে সংসদ সদস্য হিসেবে সর্বাধিক সময় দায়িত্বপালনকারী সদস্যকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব দিতে হবে। সম মেয়াদের একাধিক সদস্য পাওয়া গেলে বয়সের দিক দিয়ে যিনি জেষ্ঠ্য তাকে দায়িত্ব দিতে হবে। সমবয়সী একাধিক সদস্য পাওয়া গেলে প্রকাশ্য লটারির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন