বাংলাদেশে যখন সাক্ষির আকাল তখন সাইয়্যেদ মওদূদী (রঃ) এর বখে যাওয়া ছেলে হায়দার ফারুক শাহরিয়ার কবির গঙদের রাজ সাক্ষি!!

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৬ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:৫২:৫৮ বিকাল

মওদুদীর ছেলে হয়েও জামায়াতে যোগ দেননি হায়দার মওদুদী। কেবল তিনি না, তার নয় ভাইয়ের কাউকে জামায়াতের রাজনীতিতে জড়াতে দেননি মওদুদী। তিনি জানান, কেবল রাজনীতি না, জামায়াতের কোনো বইপত্র পড়তে দেননি তাঁর বাবা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা!



তিনি তাঁর লেখা ও বক্তৃতায় সব সময় ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছেন। যা তাঁর বাবা মওদুদীর মতাদর্শের বিরোধিতার শামিল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হায়দার ফারুক মওদুদী বলেন, আমার বাবা মওদুদীর যেমন কথা বলার অধিকার ছিল, তেমনি আমারও কথা বলার অধিকার আছে। আমি আমার বাবার বই পড়েই এটা জেনেছি।

উপরের দুটি বক্তব্যই মওদূদী (রঃ) এর বখে যাওয়া ছেলে হায়দার ফারুককে কোট করে নিউজ করা হয়েছে! বক্তব্য দুটো পুরাপুরি স্ববিরোধী,

প্রথমে বলেছে তার বাবা তাদেরকে জামায়াতের কোন বই পড়তে দিতনা আর দ্বিতীয় বক্তব্যে বলেছে সে তার বাবার বই পড়েই জেনেছে! জামায়াতের বই মানেই তার বাবার লেখা বই আহশ্য এখন অন্য লেখকদের বইও আছে।
তার বক্তব্যে এরকম অনেক স্ববিরোধিতা আছে যেমন থাকে আমাদের দেশের সুশীল বান্ধ নাস্তিকদের বক্তব্যে। সারা দুনিয়ার নাস্তিকেরাই যে এক ও অভিন্ন এটা তার একটা অন্যতম প্রমাণ।

ভদ্রলোকের উর্দূ টকশো শুনে যা বুঝেছি, সে আসলে তাঁর বাবা মওদূদীর জেনেটিক সন্তান কিন্তু শাহরিয়ার কবিরদের ব্রেণচাইল্ড।

তার আঁতে ঘাঁ লেগেছে পিতা মওদূদীর লাহরের বাড়ির ভাগ এবং লিখিত বই এর রয়েলেটি না পাওয়ায়। কারণ সাইয়্যেদ আবুল'আলা মওদূদী (রঃ) তাঁর লাহরের বাড়ি এবং লিখিত বই এর রয়েলেটি ওয়াকফ করে গেছেন। পিতার এমন সিদ্ধান্ত তার মা এবং পরিবারের বাকী সদস্যরা খুশি মনে মেনে নিলেও হায়দার ফারুক মেনে নিতে পারেনি। সে আদালতেরও দারস্ত হয়েছে কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত পায়নি। না পাওয়ার বেদনাই মূলত তাকে তাড়িয়ে বেরাচ্ছে আর সে পাগলের প্রলাপ বকছে। জামায়াতকে গালি দিতে গিয়ে নিজের পিতাকে প্রযন্ত অপরাধীর কাঠগড়ায় দাড় করাতে দ্বিধাবোদ করছেনা!




অবশ্য হায়দার ফারুক মওদুদী ছাড়া বাকি সবাই পাকিস্থান জামায়াতের সাথে জড়ীত। বড় ছেলে জামায়াতের রুকন। মাওলানার এক মেয়ে ছিলেন জেদ্দায়। তিনি চাকুরী করতেন ইফ্ফাত কলেজে। তিনি ও পাকিস্থান জামায়াতের রুকুন ছিলেন। এই ব্যক্তি কখনো এর আগে বাংলাদেশে আসেন নি। তিনি কিছু লোকের ক্রিড়নক হয়ে কাজ করছেন। আর যা বলা হয়েছে যে, তিনি কলামিষ্ট ও সূশীল সমাজের নেতা। তা বা্ংলাদেশের সূশীল বাবুদের মত পাকিস্থানে অবস্থান। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর আয়োজন করেছে শাহরিয়ার রা। - ইবনে আহমাদ


নূহ নবীর সন্তান যেমন কেনান তেমনি হায়দার ফারুক, যুগ শ্রেষ্ঠ্য আলেম সাইয়্যেদ মওদূদীর কুলাংগার সতান

হায়দার ফারুককে দেখে আমাদের নেতাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের অনেকের ছেলেকেই বলতে শুনেছি, তারা ইনেয়ে বিনিয়ে বলছে যে তারা জামায়াত করেনা। যদি তাই হয় তাহলে আমাদের নেতাদের নন্দলাল সন্তানদের অধিকার নাই নেতাকে বাপ ডাকার কারণ নেতা ঐ সকল নন্দলালদের জন্মদাতা হতে পারে কিন্তু পিতা নন।

﴿وَهِيَ تَجْرِي بِهِمْ فِي مَوْجٍ كَالْجِبَالِ وَنَادَىٰ نُوحٌ ابْنَهُ وَكَانَ فِي مَعْزِلٍ يَا بُنَيَّ ارْكَب مَّعَنَا وَلَا تَكُن مَّعَ الْكَافِرِينَ﴾

৪২) নৌকা তাদেরকে নিয়ে পর্বত প্রমাণ ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে ভেসে চলতে লাগলো৷ নূহের ছেলে ছিল তাদের থেকে দূরে৷ নূহ চীৎকার করে তাকে বললো, “ হে আমার পুত্র! আমাদের সাথে আরোহণ করো, কাফেরদের সাথে থেকো না৷”

﴿قَالَ سَآوِي إِلَىٰ جَبَلٍ يَعْصِمُنِي مِنَ الْمَاءِ ۚ قَالَ لَا عَاصِمَ الْيَوْمَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ إِلَّا مَن رَّحِمَ ۚ وَحَالَ بَيْنَهُمَا الْمَوْجُ فَكَانَ مِنَ الْمُغْرَقِينَ﴾

৪৩) সে পালটা জবাব দিল, “আমি এখনই একটি পাহাড়ে চড়ে বসছি৷ তা আমাকে পানি থেকে বাঁচাবে৷” নূহ বললো, “আজ আল্লাহর হুকুম থেকে বাঁচাবার কেউ নেই, তবে যার প্রতি আল্লাহ রহমত করেন সে ছাড়া৷” এমন সময় একটি তরংগ উভয়ের মধ্যে আড়াল হয়ে গেলো এবং সেও নিমজ্জিতদের দলে শামিল হলো৷

﴿وَقِيلَ يَا أَرْضُ ابْلَعِي مَاءَكِ وَيَا سَمَاءُ أَقْلِعِي وَغِيضَ الْمَاءُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ وَاسْتَوَتْ عَلَى الْجُودِيِّ ۖ وَقِيلَ بُعْدًا لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾

৪৪) হুকুম হলো, “হে পৃথিবী! তোমার সমস্ত পানি গিলে ফেলো এবং হে আকাশ৷ থেমে যাও৷” সে মতে পানি ভূগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো, ফায়সালা চূড়ান্ত করে দেয়া হলো এবং নৌকা জুদীর ওপর থেমে গেলো ৪৬ তারপর বলে দেয়া হলো, জালেম সম্প্রদায় দূর হয়ে গেলো!

﴿وَنَادَىٰ نُوحٌ رَّبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابْنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ﴾

৪৫) নূহ তার রবকে ডাকলো৷ বললো, “ হে আমার রব! আমার ছেলে আমার পরিবারভুক্ত এবং তোমার প্রতিশ্রুতি সত্য ৪৭ আর তুমি সমস্ত শাসকদের মধ্যে সবেচেয়ে বড় ও উত্তম শাসক৷” ৪৮

﴿قَالَ يَا نُوحُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ ۖ إِنَّهُ عَمَلٌ غَيْرُ صَالِحٍ ۖ فَلَا تَسْأَلْنِ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۖ إِنِّي أَعِظُكَ أَن تَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ﴾

৪৬) জবাবে বলা হলো, “হে নূহ! সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়৷ সে তো অসৎ কর্মপরায়ণ৷ ৪৯ কাজেই তুমি আমার কাছে এমন বিষয়ের আবেদন করো না যার প্রকৃত তত্ত্ব তোমার জানা নেই৷ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, নিজেকে অজ্ঞদের মতো বানিয়ে ফেলো না”৷৫০

৪৯. ব্যাপারটা ঠিক এ রকম, যেমন এক ব্যক্তির শরীরের কোন একটা অংশ পচে গেছে৷ ডাক্তার অংগটি কেটে ফেলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এখন রোগী ডাক্তারকে বলছে, এটা তো আমার শরীরের একটা অংশ, আপনি কেটে ফেলে দেবেন? ডাক্তার জবাবে বলেন, এটা তোমার শরীরের অংশ নয়৷ কারণ এটা পচে গেছে৷ এ জবাবের অর্থ কখনো এ নয় যে, প্রকৃতপক্ষে এ অংগটির শরীরের সাথে কোন সম্পর্ক নেই৷ বরং এর অর্থ হবে, তোমার শরীরের জন্য সুস্থ ও কার্যকর অংগের প্রয়োজন, পচা অংগের নয়৷ কারণ পচা অংগ একদিকে যেমন শরীরের কোন কাজে আসে না তেমনি অন্যদিকে বাদবাকি সমস্ত শরীরটাকেও নষ্ট করে দেয়৷ কাজেই যে অংগটি পচে গেছে সেটি আর এ অর্থে তোমার শরীরের কোন অংশ নয় যে অর্থে শরীরের সাথে অংগের সম্পর্কের প্রয়োজন হয়৷ ঠিক এমনিভাবেই একজন সৎ ও সত্যনিষ্ঠ পিতাকে যখন একথা বলা হয় যে, এ ছেলেটি তোমার পরিজনদের অন্তরভুক্ত নয়, কারণ চরিত্র ও কর্মের দিক দিয়ে সে ধ্বংস হয়ে গেছে তখন এর অর্থ এ হয় না যে, এর মাধ্যমে তার ছেলে হবার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে বরং এর অর্থ এ হয় না যে, এর মাধ্যমে তার ছেলে হবার বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে বরং এর অর্থ শুধু এতটুকুই হয় যে, বিকৃত ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া লোক তোমার সৎ পরিবারের সদস্য হতে পারে না৷ সে তোমার রক্ত সম্পর্কীয় পরিবারের একজন সদস্য হতে পারে কিন্তু তোমার নৈতিক পরিবারের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই৷ আর আজ যে বিষয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে সেটি বংশগত বা জাতি-গোষ্ঠীগত কোন বিরোধের ব্যাপার নয়৷ এক বংশের লোকদের রক্ষা করা হবে এবং অন্য বংশের লোকদের ধ্বংস করে দেয়া হবে, ব্যাপারটি এমন নয়৷ বরং এটি হচ্ছে কুফরী ও ঈমানের বিরোধের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবার ব্যাপার৷ এখানে শুধুমাত্র যারা সৎ তাদেরকে রক্ষা করা হবে এবং যারা অসৎ ও নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে খতম করে দেয়া হবে৷

ছেলেকে অসৎকর্ম পরায়ণ বলে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ স্থুল দৃষ্টিসম্পন্ন লোকেরা সন্তানকে ভালোবাসে ও লালন করে শুধু এজন্যে যে, তারা তাদের পেটে বা ঔরসে জন্ম নিয়েছে এবং তাদের সাথে তাদের রক্ত সম্পর্ক রয়েছে৷ তাদের সৎ বা অসৎ হওয়ার ব্যাপারটি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ কিন্তু মুমিনের দৃষ্টি হতে হবে সত্যের প্রতি নিবদ্ধ৷ তাকে তো ছেলেমেয়েদেরকে এ দৃষ্টিতে দেখতে হবে যে, এরা আল্লাহর সৃষ্টি কতিপয় মানুষ৷ প্রাকৃতিক নিয়মে আল্লাহ এদেরকে তার হাতে সোপর্দ করেছেন৷ এদেরকে লালন-পালান করে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যে উদ্দেশ্যে আল্লাহ দুনিয়ায় মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য তৈরী করতে হবে৷ এখন তার যাবতীয় পরিশ্রম ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও তার ঘরে জন্ম নেয়া কোন ব্যক্তি যদি সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য তৈরী হতে না পারে এবং যিনি তাকে মুমিন বাপের হাতে সোপর্দ করেছিলেন নিজের সেই রবেরই বিশ্বস্ত খাদেম হতে না পারে, তাহলে সেই বাপকে অবশ্যি বুঝতে হবে যে, তার সমস্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে৷ এরপর এ ধরনের ছেলে-মেয়েদের সাথে তার মানসিক যোগ থাকার কোন কারণই থাকতে পারে না৷

তারপর সংসারের সবচেয়ে প্রিয় ছেলেমেয়েদের ব্যাপারটি যখন এই তখন অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের ব্যাপারে মুমিনের দৃষ্টিভংগী যাকিছু হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়৷ ঈমান একটি চিন্তাগত ও নৈতিক গুণ৷ এ গুণের প্রেক্ষিতেই মুমিনকে মুমিন বলা হয়৷ মুমিন হওয়ার দিক দিয়ে অন্য মানুষের সাথে তার নৈতিক ও ঈমানী সম্পর্ক ছাড়া আর কোন সম্পর্কই নেই৷ রক্ত-মাংসের সম্পর্কযুক্ত কেউ যদি তার সাথে এ গুণের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত হয় তাহলে নিসন্দেহে সে তার আত্মীয়৷ কিন্তু যদি সে এ গুণ শূন্য হয় তাহলে মুমিন শুধুমাত্র রক্তমাংসের দিক দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক রাখবে৷ তার হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক তার সাথে হতে পারে না৷ আর ঈমান ও কুফরীর বিরোধের ক্ষেত্রে যদি সে তার মুখোমুখি দাঁড়ায় তাহলে এ অবস্থায় সে এবং একজন অপরিচিত কাফের তার চোখে সমান হয়ে দেখা দেবে৷

বিষয়: বিবিধ

৩৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File