মুজাহিদের পরামর্শে বেগম জিয়ার নির্বাচন, হেরে গিয়ে সব চিৎপটাং!!

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:১৫:৫৪ দুপুর

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাননি বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরামর্শে ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।



নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করত এবং দলের অস্তিত্ব বিপন্ন হত। নির্বাচন কার্যত সবাই মেনে নিত আর আওয়ামিলীগ বড়গলায় বলে বড়াত, ‘পরাজয়ের ভয়েই বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে আংশ নেয়নি। মিডিয়া যেহেতু তাদের পক্ষে তাই বিএনপি-জামায়াতের কোন আকুতিই জনণের কাছে পৌছত না।

বেগম জিয়া বিরোধী দলের নেত্রী হওয়ার পরেও তাকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, ভাবুনতো, তিনি যদি সংসদ সদস্যও না হতেন তাহলে আওয়ামী চাই আর ইনু মেননেরা তাকে দেশে থাকতে দিত কি না? বরং বর্তমান দুঃশ্বাসনের দায়-ভারও বিএনপি-জামায়াত জোটকেই বহন করতে হত। কারন জনগণ বলত, ‘আমরাতো বিএনপি-জামায়াত জোটকে ভোট দিতে প্রস্তুত ছিলাম। তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ায়ই আমাদের আজ দুঃশ্বাসনের যাতা কলে পিষ্ট হতে হচ্ছে।'

আসলেও তাই। জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে উদার হস্তে ভোট দিয়েছে কিন্তু ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে আওয়ামিলীগ উইনিং ভোট আদায় করে নিয়েছে, যার পিছনে কলকাঠি নেড়েছে দেশ বিদেশী কৃড়নক ও বিভিন্ন পেশার সুবিধা ভোগী আমলা কামলারা। যেখানে জনগণের হাত ছিলনা বরং জোট নেতা হিসাবে সেটা মিনিমাইজ করার দায়িত্ব ছিল বেগম জিয়ার।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও দোষটা জামায়াতকেই বহন করতে হত! কারণ, যতদোষ নন্দ ঘোষ! মিডিয়া ইনিয়ে বিনিয়ে জামায়াতকে দোষারোপ করত আর বুঝেহোক না বুঝেহোক জামায়াত বিরোধী চক্র হালে হাওয়া দিত।

জামায়াতের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হত তারা এতদিনে ওয়াশ আউট হয়ে যেত। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ প্রকাশ্যে সারাদেশের লিড দিচ্ছেন দুই এমপি। আরও মারাত্মক ক্ষতি যা হত তা হল জামায়াতের নিষ্কৃয় কর্মীরা হারিয়ে যেত আর স্বকৃয় কর্মীরা হয়ে পরত নিষ্কৃয়। অনুমান নয় বরং অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

সেনা সরকারের অধিনে যেসকল সিটি নির্বাচন হয়েছিল তাতে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ নেয়নি কিন্তু নির্বাচন কি ঠেকে ছিল? তাতে কিন্তু বিএনপি নেতারা স্বনামে নির্দলীয় হিসেবে ঠিকই অংশগ্রহণ করেছিল। দল নেত্রী কিন্তু তার নেতাদের বিরত রাখতে পারেননি? বিদ্রহী নেতারা চ্যাঁলেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছিল ফলে সাধারণ কর্মীরা এ থেকে এমন বার্তাই পেয়েছে যে নেত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবেই মেয়র প্রার্থীরা হেরেছে। সে সময় এমন কোন দিন যায়নি যে দৈনিক এহেন শত প্রশ্নের জবাব দিতে হয়নি! কর্মীদের একটাই কথা, ‘দেশের বেশীর ভাগ জনগণই ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বামদের ক্ষমতায় দেখতে চায়না’।

বাস্তবতাও তাই, কিন্তু ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বামেরা যেখানে ৩০% সমর্থনকে ৬০% ভোটে পরিণত করতে পারে সেখানে বিএনপি-জামায়াত জোট ৭০% সমর্থনের বিরীতে ভোট পায় ৩০ থেকে ৪০% ! এ ব্যর্থতা জনতার না বরং জোট নেতাদের।

২০০৮ সালের নির্বাচন যে ১০০% প্রশ্ন বিদ্ধ আর জোট নেতা কর্মীদের অলসতার ফল ছিল তা দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই দিবালোকের মত স্পষ্ট। তাই দোষারপের রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশবাশীকে সাথে নিয়ে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে হেফাজতের মানষে পূর্ণোদ্দমে ঝাপিয়ে পড়ুন। দেশ বাচান, জাতিকে বাকশালী গজব থেকে রক্ষা করুন আর তরুণ প্রজন্মকে কোটামুক্ত মেধা বিকাশের সুযোগ দিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করুন।

বিষয়: বিবিধ

১৬৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File