ইখওয়নুল মুসলিমুনের নেতা কর্মীদের আত্মত্যাগ থেকে ইসলামপন্থীরা কি পেল আর কি হারালো?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৪৫:২০ বিকাল
ইখওয়নুল মুসলিমুনের নেতা কর্মীদের আত্মত্যাগ থেকে ইসলামপন্থীরা কি পেল আর কি হারালো?
ইখওয়ানুল মুসলিমুন সারা দুনিয়ার ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও একটা ব্রান্ড নাম। ইখওয়ানের সফলতা দুনিয়ার তাবৎ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অণুপ্রাণীত করে আর তাদের বিফলতা ঠিক একই ভাবে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মীকে করে হতাস। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মী যেমন এই বাস্তবতা জানে ঠিক তেমনি ইসলাম বিরোধী শক্তির কাছেও বিষয়টা স্পষ্ট। তাইত বাতিল শক্তি শুরু থেকেই ইখওয়ানের আন্দোলনকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য চালিয়ে আসছে সব ধরণের হেন প্রচেষ্টা। কিন্তু আল্লাহর পথের পথিক এই আন্দোলনের পথ কখনও রোধ করা যাইনি বরং বাঁধার প্রাচীর যত মজবুত হয়েছে ঠিক আন্দোলনও ততটা বেগবান হয়েছে এবং এগিয়ে চলেছে দূরন্ত গতিতে যা আজও অব্যাহত আছে।
প্রায় শতবর্ষের ত্যাগ তিতিক্ষার পরে যখন ইখওয়ানুল মুসলিমুন সামান্য ব্যবধানে ক্ষমতায় আর সে অবস্থায়ই যখন পরিপূর্ণ ইসলামী হুকুমত কায়েমের দার প্রান্তে তখন আবারও ইসলাম বিরোধী কুফরী শক্তি তাদের পুরাতন খেলা নতুন করে শুরু করেছে, নতুন আঙ্গিকে যাতে তাদেরকে চিরতরে শেষ করে দেয়া যায়।
আপাত দৃষ্টিতে ইসলামী আন্দোলন কিছুটা কোনঠাসা বটে কিন্তু এতদ সত্যেও কর্মীরা হতাস নয় বরং এথেকে যেন হুদায়বিয়ার সন্ধীর সময়কার অবস্থাই তারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। আরো দেখতে পাচ্ছে ওহুদ যুদ্ধের প্রাক্কালে মুনাফিকদের পিছুটান এবং যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়কার মুমিনদের দূর্বলতা। মুমিনদের হারানোর কিছুই নাই, আছে শুধু ত্যাগের পরীক্ষা, আল্লাহর নৈকট্য লাভের আকাঙ্খা আর জান্নাতের সুসংবাদ।
এতদিন যাদের ব্যাপারে কিছুটা ধোয়াসা ছিল তাদের ব্যপারে ধারণাটা স্পষ্ট হয়েছে। শুধু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরই নয় বরং সারা দুনিয়ার প্রতিটি মানুষেরই। যারা নিযেরা ইখওয়ান নয় কিন্তু ইখওয়ানের কামিয়াবি চাইত বা ক্ষেত্র বিষেশে বিরোধীতা করত তারাও একটা স্পষ্ট বার্তা পেয়েছে বলে সাধারণ কর্মীরা মনে করে।
রাসূল (সঃ) এর জামানার ইসলাম বিরোধী সুপার পাওয়ার রোম ও পারস্যের মত বর্তমান ইসলাম বিরোধী সুপার পাওয়াদের চেহারও স্পষ্ট হয়েছে। গণতন্ত্রের ফেরীওয়ালারা পরেছে সবচেয়ে বেশী বিপাকে। তাদের অচল পণ্যের সকল ত্রুটি জনসমক্ষে বেরিয়ে এসেছে। মোনাফেক সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদের চেহারার পর্দাও খুলে গেছে।
ইখওয়ানের আত্মত্যাগী এই আন্দোলনের ফলে আল্লাহ প্রেমিক কিছু মুজাহীদের জীবন ও খুণ আল্লাহর দরবারে পৌছে গেছে এবং সাথে সাথে বেচে থাকা মুজাহীদরা পেয়ে গেছে আগামী দিনের পথের একটা সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ। কোথায় কোন বাকে কে বসে আছে? এতদিন যাদেরকে বন্ধু মনে করা হত তাদের মধ্যে কারা প্রকৃত বন্ধু আর কারা শত্রুর বন্ধু এবং কারা বন্ধুর বন্ধু তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
আশাকরি আগামীর ইসলামী আন্দোলন এ থেকে পথের দিসা পেয়ে মঞ্জিলে মকসুদে পৌছে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
হযরত ইউসুফ আর মুসা (আঃ) সহ অসংখ্য নবী রাসূলের পদধুলিতে ধন্য এ জমিনে আগুণের যে ফুল্কির স্ফুলিঙ্গ হচ্ছে তা অচীরেই নূর হয়ে মুসলিম উম্মাহকে আলোকিত করবে এবং জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্মীভুত করেদিবে নমরুদ, ফেরাউন, হামান, খালাফ আর আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদের মত পপাত্মাদের।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন