বাংলাদেশে যত ছাএ সংগঠন আছে তাদের মধ্যে ছাএ শিবির নীতি আদর্শে এ এগিয়ে থাকা সত্তেও তাদের কেন সমর্থন করছি না? -সাদা মন। (একটু গভিরে পৌছুতে পারলে অবশ্যই সমর্থন করতে পারবেন ইনশা'আল্লাহ - আবু জারীর)

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:০০:৫০ রাত

বাংলাদেশে যত ছাএ সংগঠন আছে তাদের মধ্যে ছাএ শিবির নীতি আদর্শে এ এগিয়ে থাকা সত্তেও তাদের কেন সমর্থন করছি না?



আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা জানাই। খারাপ লোকের সিলেবাস পড়ে কেউ ভালো হতে পারেনা। শিবির যদি কিছু ভালো কাজ করে থাকে তার জন্য সবটুকু অবদান জামায়াতের সেই সকল নেতাদেরে যাদেরকে আপনি অভিযুক্ত করেছেন।

আপনার কাছে আমার প্রশ্নঃ

কেন পূর্ব বাংলা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল?

সে জন্য কি আপনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং শেখ মুজিবর রহমান সাহেবকে দায়ি করবেন?

তারা যদি ৪৭এ পাকিস্তানের অন্তুভুক্তিতে সহায়তা না করত তাহলে পাকিস্তান আমাদের ২৪ বছর শোষণ করতে পারতনা এবং ৫২, ৬৯, ৭১ এ আমাদের মায়েদের কোল খালি করতে পারতনা।

যে কারণে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবেরা ৪৭এ পাকিস্তানের সাথে যোগ দিয়েছিল ঠিক একই কারণে ৭১এ জামায়াত, মুসলিমলীগ সহ সকল ডানপন্থীরা এমনকি পিকিং পন্থী কমিউনিষ্টরা পর্যন্ত পাকিস্তানের ঐক্য কামনা করেছিল।

শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি বেঁচে থাকলে কি করতেন জানিনা তবে ফজলুল কাদের চৌধুরী শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন এবং শেখ মুজিবর রহমানও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি। গ্রেফতারের আগমুহুর্ত পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।

মাথা মোটা ইয়াহিয়া যদি নরপিশাচ ভুট্টুর পরামর্শে হটকারী সিদ্ধান্ত না নিত তাহলে ৩০ লক্ষ লোকের প্রাণ বাঁচত। বিহারীরাও কঁচুকাটা হত না।

পূর্ব পাকিস্তান অবশ্যই স্বাধীন হত কিন্তু সেজন্য এত রক্ত দিতে হতনা। আর সাহায্যের নাম করে ভারতও আমাদের সকল সম্পদ লুটেপুটে নিয়ে যেতে পারতনা। ফারাক্কা বাঁধ চালু করার আগে হাজারবার ভাবতে হত। সীমান্তে কাটা তারের বেড়া দিতে পারতনা, ফেলানীদের মেরে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখতে পারত না।

আমরা আপষেই স্বাধীন হয়ে যেতাম বা পশ্চিম পাকিস্তানীরাই আমাদের কাছে স্বাধীনতা চাইত কারণ আমরাই ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ্য।

পৃথিবীর কোথাও এরকম দেশের অস্তিত্ব নাই যে দেশের দুই অংশের মধ্যে অন্য একটা দেশ এবং যার ব্যাস ১২৫০ কি.মি.!

পৃথিবীর কোথাও সংখ্যাগরিষ্ঠ্যরা সংখ্যা লঘুদের কাছে স্বাধীনতা চায়না বরং সংখ্যা লঘুরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ্যদের কাছে স্বাধীনতা চায়।

আমরাই যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ্য ছিলাম তাই ওরাই একসময় বলত ছেড়ে দে মা কেঁদেবাচি।

শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাধীন হলে ভারত নাক গলাতে পারত না সেজন্যই মূল নেত শেখমুজিবকে অন্ধকারের রেখে সিরাজুল আলম খান, আসম আব্দুর রব, শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকীদের নিউক্লিয়াস বাহিনী ভারতের গোপন এ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।

৪৭ এ যারা ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান কায়েম করেছিল তারাই আবার পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ কায়েম করত। সেজন্য এত রক্তের বন্যা বহানর দরকার হত না এবং জাতিকে সারাজীবনের জন্য বিভক্ত হতে হতনা।

শেখ মুজিব চেয়েছিল বিভক্তি দূর করতে কারণ তিনি নেতা ছিলেন। বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা নেহায়েতই ইন্দ-মার্কিনীদের হাতের পুতুল। নেতৃত্বের গুণ তাদের মধ্যে কতটুকু আছে তা নতুন প্রজন্মকে ভেবে দেখতে হবে।

ক্ষমতার জন্য যারা বিদেশের কাছে ধর্ণা দেয় তারা কোন ভাবেই দেশের বন্ধু হতে পারেনা। তারা শুধু সুবিধাবাদী।

জামায়াতের কোন নেতা যদি খুণ ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে অকাট্ট ভাবে প্রমাণীত হয় তাহলে আমিও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এমনকি সে আমার বাবা হলেও।

জামায়াতও প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চায় কিন্তু রাজনৈতিক জিঘাংসা চায় না। সেজন্যই তারা বিচারে নামের প্রহসন হচ্ছে যেনেও বিচারিক প্রকৃয়ায় অংশ গ্রহণ করেছে এবং পুর জাতি সহ সারা বিশ্বের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিচারের নামে যে প্রহসন হচ্ছে তা দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

সব শেষে একটা কথা বলব আর সেটা হল শিবির সম্পর্কে আপনার পজেটিভ ধারনার পরেও আপনি শিবিরের সেই সকল মুরুব্বিকে ঘৃর্ণা করেন যাদেরকে শিবির নিজেদের অভিভাবক মনে করে এবং অন্তরের অন্তস্থ্যল থেকে শ্রদ্ধা করে এবং তাদের জন্য জীবন দিতে পারে। হলুদ সাংবাদিকতা এবং মতলবি সুশীলরা নুতুন প্রজন্মের কিছু তরুণদের অন্তরে শিবির সম্পর্কে পজেটিভ ধারনা থাকা সত্যেও জামায়াতের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বিদের ব্যাপারে যে বিদ্যেষ সৃষ্টি করতে পেরেছে এটাই ঐসকল সুশীল মিডিয়ার সবচেয়ে বড় শাফল্য। তবে এ ঘোর একদিন কাটবেই ইনশা'আল্লাহ। সত্যকে কোন দিনও মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না।

বিষয়: বিবিধ

৩৪৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File