পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গিঃ (আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম কাহিনী - ০৯) আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ (মোমতাজুল মুহাদ্দেছীন)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২০ মে, ২০১৩, ০৭:৫১:৫৩ সন্ধ্যা
(আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম কাহিনী - ০৯) আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ
পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গিঃ
জামায়াতে ইসলামী এক দিকে যেমন ইসলামী আদর্শের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার কাজ করছে, তেমনি ডিকটেটরী শাসন ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাহিরে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী পার্টিসমূহের সাথে মিলিতভাবে আন্দোলন করেছে। এর বিভিন্ন পর্যায় পি,ডি,এম (পাকিস্তান ডেমোক্রাটিক মুভমেন্ট), ডাক (ডেমোক্রাটিক একশান কমিটি) ইত্যাদি জোট, বিরোধী দল সমূহের সমন্বয় গঠিত হয়েছে। এ সব জোটে জামায়াতে ইসলামী সামিল থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও জামায়াতে ইসলামী পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাহিরে সমান সোচ্চার ছিল। তবে এ কথা স্বীকার করতে আমাদের কোন দ্বিধা নাই যে, মুসলিম জাহানের সর্ববৃহৎ দেশ পাকিস্তানকে অখন্ড রেখে অধিকার আদায়ের আমরা পক্ষপাতি ছিলাম। জামায়াত সহ সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রচেষ্টায় আমারা বাষট্টির পার্লামেন্টে প্যারিটি বিল পাশ করিয়ে চাকুরীবাকুরীসহ আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয়াদিতে পূর্ব পাকিস্তানে সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলাম। বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে আমরা মুসলমানদের সর্ব বৃহৎ দেশটাকে অখন্ড রেখে পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের পক্ষপাতি ছিলাম। আর আওয়ামিলীগ সহ কতিপয় পার্টি বিভক্তির মাধ্যেমে অধিকার আদায়ের পক্ষপাতি ছিল। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আমাদের সকলেরই লক্ষ এক ও অভিন্ন ছিল। তাছাড়া বিভক্তির ব্যাপারে ভারতের অত্যাধিক উৎসাহ এবং ৪৭ এর স্বাধীনতার পরপরই শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতের মুসলিম শাসিত দেশ হায়দারাবাদ ও জুনাগড় দখল করে নেয় এবং শক্তি বলে মুসলিম কাশ্মীরকে পদানত করার ঘটনা সমূহ আমাদের এই সন্দেহেকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে বাস্তবে দেশ যখন বিভক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটল, তখন জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশের বাস্তবতাকে মনে প্রাণে মেনে নিয়ে এ দেশ ও জনগণের কল্যাণের ব্রত নিয়ে দিবা-রাত্রি কাজ করে যাচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন