আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম কাহিনী (০৩)- আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ (মোমতাজুল মুহাদ্দেছীন)

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১৪ মে, ২০১৩, ০৮:৩৮:৫৯ রাত

আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম কাহিনী (০২)- আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ (মোমতাজুল মুহাদ্দেছীন)



শর্ষিনা হতে বিদায় ও আমতলী মাদ্রাসায় ভর্তিঃ

শর্ষিনার আবহাওয়ায় আমার স্বাস্থ্য না টেকায় আমি শর্ষিনা হতে বিদায় নিয়ে আমতলী মাদ্রাসায় এসে ভর্তি হই। এ মাদ্রাসা ছিল আমার গ্রামের বাড়ি হতে ছয় কিলোমিটার দূরে। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হযরত মাওলানা আব্দুল লতীফ সাহেব। তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসার ডিগ্রীধারী একজন উচ্চমানের আলেম ছিলেন। তিনি ফুরফুরার মরহুম পীর আবু বকর সিদ্দিকী সাহেবের মুরীদ ও খলিফা ছিলেন।

আমতলী মাদ্রাসায় আমি একাধারে চার বছর পড়া-শুনা করি। প্রকাশ থাকে যে, আমি পড়া-শুনায় ভাল হওয়ার কারণে, আর পরীক্ষায় সবসময় প্রথম স্থান অধিকার করার কারণে আমার ওস্তাদগণ সকলেই আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করতেন। আমতলী মাদ্রাসায় তখন আমি উচ্চমানের কয়েকজন প্রতিভাধর বুজর্গ ওস্তাদের সাহচার্য লাভ করে তাদের কাছ থেকে তাফসিরুল কোরআন, হাদীস, নাহু ছরফ সহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করি। এই মাদ্রাসা হতেই ১৯৪৮ সনে আমি আলিম পরীক্ষায় পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ডের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সরকারী বৃত্তি লাভ করি।

আমতলী মাদ্রাসা হতে বিদায় ও ঢাকা সরকারী আলীয়া মাদ্রাসায় ভর্তিঃ

আমতলী মাদ্রাসা হতে বিদায় নিয়ে আমি ঢাকা সরকারী আলীয়া মাদ্রাসায় গিয়ে ফাজিল ক্লাসে ভর্তি হই। ১৯৪৭ সনে যখন বাংলাদেশ বিভক্তির ফয়সালা হয়, তখন সেই সময়ের কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসার সুযোগ্য প্রিন্সিপাল খান বাহাদুর জিয়াউল হক নাজিমুদ্দীন মন্ত্রী সভার অনুমোদন নিয়ে কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে তার যাবতীয় সহায় সম্পদ ও বিরাট লাইব্রেরীর কিতাবাদি ও ফার্র্নিচার ইত্যাদিসহ সামুদ্রিক জাহাজে করে ঢাকায় স্থানান্তর হন। সে সময়ের আলীয়া মাদ্রাসার সুযোগ্য ওস্তাদগণও হিজরত করে কলিকাতা হতে ঢাকায় চলে আসেন। আমি যখন ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হই, তখন আলীয়া মাদ্রাসার প্রিসিনসপাল ছিলেন খান বাহাদুর জিয়াউল হক, হেড মাওলানা ছিলেন হযরত মওলানা জাফর আহমদ ওসমানী, আরবী আদবের শিক্ষক ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান কাশগরী, তাফসীরের ওস্তাদ ছিলেন মাওলানা হুজ্জ্বাবুল্লাহ লাখনবী ও ফখরেবা,লাগার মাওলানা নাসির ভোলাবী। এছাড়া মুফতী আমিমুল ইহসান ও মাওলানা নাজির আহমদ সহ বেশ কয়েকজন হাদীসের ওস্তাদও ছিলেন। আমি ওসমানী সাহেব ও মুফতী আমিমুল ইহসানের কাছে বোখারী শরীফ পড়েছি।

১৯৫০ সনে ফাজিল পরীক্ষায় পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে আমি সরকারী বৃত্তি লাভ করি। টাইটেল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত পাশ করে মুমতাজুল মুহাদ্দেসীন উপাধি লাভ করি.....।

আমার সংক্ষিপ্ত আত্ম কাহিনী (০৪)- আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ (মোমতাজুল মুহাদ্দেছীন)

বিষয়: বিবিধ

২২৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File