আসুন আমরা সবাই মিলে ১৮ দলীয় জোটকে পল্টন ময়দানে নিয়ে বলৎকার করি।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০৬ মে, ২০১৩, ০১:৫২:৩৮ দুপুর
অনিচ্ছা সত্যেও বল্লাম, আমি আজ নফল রোযা রেখেছি। দেশে থাকতে আন্দোলন সংগ্রামের প্রথম কাতারে থাকতাম কিন্তু বিদেশে থাকার কারণে জাতির ক্রান্তি লগ্নে পাশে থাকতে না পারার কাফফারা স্বরুপ হরতাল অবরোধ বা এজাতীয় কর্মসূচীর দিন রোযা রেখে আল্লাহ'তায়ালা রব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করে তাঁর সন্তষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আন্দোলনে সামিল লোকদের কাতারে যাওয়ার চেষ্টা করি।
কোন অবস্থায়ই গালিগালাজ করা ঠিক না আর রোযা রেখে তো নয়ই, তাছাড়া গালিগালাজ করা আমার চরিত্র বিরুদ্ধ কাজ তাই গালি গালাজ না করে বই এর ভাষায় বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে ১৮ দলীয় জোটের নপংষুকদের পল্টন ময়দানে নিয়ে গণহারে বলৎকার করি।
সরকারের অনাচার অবিচার, সরকার দলিয় লোকদের যুলম নির্যাতন তথা সর্বপরি মহান আল্লাহ, তদিয় নবী (সঃ) এবং ইসলামও ও পবিত্র কুরআন হাদীসের অবমাননা সহ্য করতে না পেরে সমাজের অতিসয় ভদ্রজন বলে পরিচিত আলেম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা রাজ পথে নেমে এসেছিল একটা সুন্দর পৃথিবীর আশায়।
জনতার এই জাগরণকে শক্তিতে পরিনত করার দায়িত্ব ছিল ১৮ দলিয় জোটের, কিন্তু তারা ভাশুরের ভয়ে ঘোমটা দিয়ে ড্রইং রুম রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। একজন বল্লেন হেফাজতের কিছু হলে তারা ঘরে বসে থাকবেনা কিন্তু হেফাজতের নিরহ নেতা কর্মীদের ক্ষুধার্ত বাঘের মুখে ঠেলে দিয়ে তারা এসি রুমে বসে টিভির পর্দায় তামাসা দেখেছে।
গতকাল সন্ধার পরেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল যে হেফাজতের নেতাকর্মীদের উপর দিয়ে শতাব্দির ভায়াবহ বর্বরতা হবে কিন্তু তার পরেও কেউ কোন উদ্বগ নেয়নি!
নাচতে নেমে ঘোমটা দিতে নাই, কিন্তু ১৮ দলিয় জোট রিস্কলেস রাজনীতি করতে চায় যা রাজনীতির ডিক্সনারীতে নাই।
গতকাল সন্ধায় যখন হেফাজত নেতা আল্লামা শফি (দাঃবাঃ) মঞ্চে আসতে পারেনি তখনই ১৮ দলিয় জোটের নেতাদের মঞ্চে চলে এসে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া উচিৎ ছিল। এবং নিজস্ব কায়দায় সরকারী বাহিনীকে কুলডাউন করা দরকার ছিল কিন্তু কেউ সেরকমটা করলনা!
দেশ যখন হায়ানার কবলে তখন ফেউ গুলোও নপংষুক হয়ে গেছে, তাই এসকল নপংষুক ফেউদের গণহারে বলৎকার করা ছাড়া আর কি করার আছে?
বিষয়: বিবিধ
২৪০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন