লাশ গুম হয়নি - এটাই আমার বিশ্বাস তবে.....

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ০২ মে, ২০১৩, ০২:৪১:০৬ দুপুর

লাশ গুমের অভিযোগ মিথ্যা, দুঃখজনক: জিওসি



আমাদের গর্বের ধন, আপনের চেয়ে অতি আপন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমরা তেমনি ভালোবাসি জেমনি ভালোবাসি, মা - মাটি ও মানুষকে। তাই তাদেরকে সকল প্রকার বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে চাই।

তবে নিহত বা নিখোজরা যেন তাদের অধিকার বঞ্চিত নাহয় সেদিকটার প্রতিও অবহেলা করার সুযোগ নাই।



মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক হিসাব জানিনা। রাজাকারের সংখ্যাও কেউ জানেনা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আছে বিস্তর ফাঁক।

ফাঁক তালের এই দেশে বিশ্বাসের জাগয়াটাও কেন যেন নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বিশ্বাসের ফাটল ইচ্ছা করেলে আমরাই জোড়া লাগাতে পারি। সে দায়িত্ব আমাদের সকলের। আসুননা আমরা একটু চেষ্টা করে দেখি, অভিশপ্ত রানা প্লাজার ঘটনায় নিহতদেরও সঠিক সংখ্যা মেলাতে পারি কিনা?

দিন বদলের এই যুগে পদ্মার বুকে জাল তুলতে তুলতে যদি ঢাকার কাওরান বাজারের ইলিশ মাছের দাম জাচাই করা যায় তাহলে বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ কেন করা যাবে না? ইচ্ছা করলেই যে কোন সংস্থা এটা সহজেই বাহির করতে পারে।

দেশপ্রেমিক স্বচেতন তরুণেরা ইচ্ছা করলেই ক্ষতিগ্রস্ত বা ওখানে কর্মরত তার নিকটতম প্রতিবেশীর নাম ঠিকানা এস এম এস এর মাধ্যমে তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে সহায়তা করতে পারে। এমনকি এটা কমিউনিটি ব্লগ, ফেজবুক পেজ, সংবাদ সংস্থার পক্ষেও সংগ্রহ করা সম্ভব।

শুধু দরকার একটা উদ্বগের। বিশ্বস্ত কোন প্রতিষ্ঠন যদি উদ্বগ নেয় এবং আহবান জানায় তাহলে এটা করা তেমন কঠিণ কাজ নয়।

বাংলাদেশের হলুদ মিডিয়ার ভিড়ে মানুষ দিগন্ত মিডিয়ার উপর আস্থাবান। দিগন্ত ইচ্ছা করলে তাদের বিশ্বাসের ব্যারমিটারের পাদর আরও একটু উপরে তুলে নিতে পারে। তারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে সহায়তার আহব্বান জানিয়ে নিউজ করে এবং দর্শক পাঠকরা যদি ত্বথ্য দিয়ে সহায়তা করে তাহলে বিষয়টা যেমন নির্ভর যোগ্য হবে তেমনি সঠিক ত্বথ্যও জানা যাবে।

প্রার্থমিকভাবে ত্বথ্যদাতাদের যে কাজটি করতে হবে তাহলঃ কর্মীদের নাম ঠিকানা জাতীয় এবং কর্মসংস্থান আইডি নং এবং প্রতিষ্ঠানের নাম, পেশা ও বেসিক বেতন উল্লেখ করে এসএমএস পাঠান।

প্রাপ্ত ত্বথ্য দিগন্ত মিডিয়া তাদের নিজস্ব সাংবাদ কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধীর মাধ্যমে তদন্ত করে সঠিক চিত্র নিরুপন করে দারাবাহিক ভাবে মিডেয়ায় প্রকাশ করা। ত্বথ্যে কোন ত্রটি থাকলে তা সংযোজন বিয়োজন করে পূর্ণাঙ্গ লিষ্ট তৈরী করা।

ওখানে কর্মরত সকলের সঠিক চিত্র জানার পর ক্ষতির উপর নির্ভর করে তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করা।

এতে একত্রে অনেক গুলো কাজ হয়ে যাবে। যেমনঃ

০১) মোট শ্রমিকের সংখ্যা জানা যাবে।

০২) যারা চাকুরী হারিয়েছে কিন্তু শারীরিক কোন ক্ষতি হয়নি তাদের সংখ্যা জানা যাবে।

০৩) যারা বেচে আছে কিন্তু শারীকির ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সংখ্যা জানা যাবে।

০৪) যারা নিহত হয়েছে এবং লাশ পাওয়া গেছে তাদের সংখ্যা জানা যাবে।

০৫) যারা ওখানে চাকুরী করত কিন্তু এখন খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা অর্থাৎ নিখোজ আছে তাদের সংখ্যাও জানা যাবে।

এরকম একটা নির্ভুল ডাটাবেজ তৈরী করে সহায়তার হাত বাড়াতে পারলে ফান্ডের কোন অভাব হবে বলে মনে হয়না।

এর ফলে কাউকে অনর্থ দোশারোপ করা যাবেনা এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরাও উপকৃত হবে।

আশা করি কেউ না কেউ এমন উদ্বগ নিবেন।

বিষয়: বিবিধ

২০২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File