অনশন মাহমুদুর রহমানকে দূর্বল নয় বরং শক্তিসালী করেছে।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ২৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০৬:১৭ বিকাল



দেশ যখন দুঃখের সাগরে ভাসছে ঠিক সেই মুহুর্তেই মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে সাভারে আজ একটা বহুতল ভবন ধ্বসে পরেছে। বাঙালী মুসলমানদের এত দুঃখ রাখার জায়গাও যেন শেষ হয়ে গেছে। দুঃখের দিনে মানুষ দায়িত্বশীলদের কাছে শান্তনার বানি শুনতে চায় কিন্তু শান্তনা থাক দূরের কথা সাথে সাথেই দোষারপের রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেবের ব্যাপারে দেশের ৯০% মুসলিম জনতার সাথে আমিও উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমার মমতাময়ি দাদীর সাথে মাহমুদুর রহমান সাহেবের মা জনাবা মাহমুদা বেগমের যথেষ্ট মিল থাকায় তাঁর প্রতিও আমি শ্রদ্ধাবনত। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং মুখায়ব এবং গাত্রবর্ণ অনেকটা আমার দাদীর মত। গতকাল নানা ব্যস্ততার মধ্যে থাকায় আমি যথাসময় মাহমুদুর রহমান সাহেবের অনশন ভাঙ্গার খবরটা পাইনি, ফলে উদ্বিগ্নতার সাথেই রাতে ঘুমতে যাই। অভ্যাস মত ফজরের নামাযের পরে দ্বিতীয় রাউন্ডের ঘুমে যখন আচ্ছন্ন তখনই স্বপ্নে ঘরে চীর উন্নত শীরের মাহমুদুর রহমান সাহেব ও তাঁর মা,জননীর স্বাক্ষাৎ পাই।

২০০১ সালের মধ্য এপ্রিলে আমার দাদী দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। মাঝে মধ্যেই তাঁর সাথে স্বপ্নের ঘরে স্বাক্ষাৎ হলেও এ যাত্রায় অনেকদিন হল তাঁর দেখা পাচ্ছিনা। তাই স্বপ্নে ঘোরে আজ প্রথমে অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমকে নিজের দাদী ভেবে ভুল করেছি। যদিনা মাহমুদুর রহমান সাহেব তাঁকে মা সম্ভদন করতেন তাহলে হয়ত ভুলের মধ্যেই থাকতাম। হোকনা ভুল, হোকনা তিনি আমার দাদীর বয়সী নন তাতে কি? মাহমুদা বেগম আমার দাদী নাহোন তিনি আমার জীবন্ত দিদি। দিদি স্যালুট তোমায়, তোমার অবাধ্য সন্তানের মুখে আল্লাহর নেয়ামত পানি তুলে দিয়ে ১৬ কোটি বাঙালী মুসলমান তথা তৌহিদী জনতাকে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত করায়।

মাহমুদুর রহমান সাহেবকে তার শারিরিক দূর্বলতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিজের বাজু দেখিয়ে বলেন, 'তোমাদের মত কোটি তরুণের ভালোবাসায় আমার বাজু আগের চেয়েও অনেক বেশী শক্তিসালী।

আমার স্বপ্ন যেন সত্যি হয়। মহান রবের কাছে প্রার্থনা করি তিঁনি যেন আমার দিদি মাহমুদা বেগমের কলিজার টুকরা আর ১৬ কোটি তৌহিদী জনতার নয়নের মণি মাহমুদুর রহমানের বাজুকে আগের চেয়েও বহুগুণে শক্তিসালী করে দেন। আমাদের ছেলে মাহমুদ যেন আমরন দেশ জাতি তথা দীনের জন্য কাজ করে যেতে পারেন।

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী মাহমুদুর রহমানের অনশন ভাঙ্গার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মাহমুদুর রহমান তাদেরকে বলেছেন, ইসলামে অনশনের কোন বিধান নেই। বাধ্য হয়েই তিনটি দাবি পূরণে গত ৮ দিন যাবত তিনি অনশন করে আসছেন। হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ শফীসহ অন্যান্য আলেমদের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই মাহমুদুর রহমান অনশন ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই তার মা মাহমুদা বেগমের হাতে পানি পান করে তিনি অনশন ভাঙ্গেন।

বিষয়: বিবিধ

২২৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File