হে মানবজাতি! কীসের এতো অহঙ্কার, কীসের এতো গৌরব? পড়ুন বাস্তবধর্মী এই পোষ্টটা
লিখেছেন লিখেছেন অনেক পথ বাকি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:০৬:০৮ রাত
পৃথিবী কাঁপানো এই বিখ্যাত মনিষীর কাহিনী পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। হায় মানব জীবন। ১৯৬১ সালে পুরো ভারতবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম। এরপর ১৯৬৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মাত্র দুবছরের মাঝে গণিতে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করে ১৯৬৯ সালে গণিতে পিএইচডি। Reproducing Kernels and Operators with a Cyclic Vector- এর জনক হিসাবে স্বীকৃতি। ১৯৬৯ সালেই নাসার গবেষক হিসাবে যোগদান করে ১৯৭৩ সালে দেশ সেবার মহানব্রত নিয়ে ফিরে আসেন ভারতে। নাসা'তে উনার অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বলা হয়েছিলো- গণিতে যদি কোনো নোবেল পুরস্কার থাকতো তবে সেটা উনারই প্রাপ্য হতো। আইআইটি সহ ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যাপনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তারপর শুরু হতে থাকে ধীরে ধীরে উনার মানসিক ভারসাম্য হীনতা। স্ত্রী, ঘর ,সংসার সবকিছু থেকে আলাদা হয়ে যান। ১৯৮৮ সালের পর থেকে একেবারেই নিঁখোজ । কারো সাথে
কোনো যোগাযোগ নেই। কেউ জানেনা উনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন।
তারপর, ১৯৯২ সালে উনাকে পাওয়া যায় গৃহহীন হয়ে বিহারের রাস্তার ফুটপাথে অর্ধউলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছেন। কোনো কথা নেই, কাউকে চিনেন না। গণিতের অসংখ্য সূত্র যিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা মুহুর্তেই বলে দিতে পারতেন- সেই বিদ্বান, মনিষী, গণিত বিজ্ঞানী নিজের নামটিও আর বলতে পারেননা। শুধু ভারত নয় , ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি একনামে পরিচিত গণিত বিজ্ঞানী হিসাবে -Dr.Vashishtha Narayan Singh।
বিহারে যখন উনাকে ভবঘুরে অবস্থায় পাওয়া যায় তখনকার এই ছবি-
পুরো ভারতবর্ষের মানুষ বিশেষকরে শিক্ষিতজন উনার এই ছবি দেখে চমকে ওঠেছিলো। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় হেডলাইন হয়। পাটনার এক ঘরে এখন তিনি বলতে গেলে একেবারে একাকী জীবন যাপন করেন। এবার, একবার কল্পনা করে দেখুন মানুষের কীসের এতো অহঙ্কার, কীসের এতো গৌরব। এই রকম জীবন্ত একটা দৃষ্টান্ত থেকে যদি শিখার কিছু না থাকে তবে আমাদের চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই। নিমিষেই সবকিছু চূর্ণ হয়ে যায়। আমি যা বলি আমার- আসলেই কি এসব কিছু আমার !!!
আরিফ মাহমুদের ফেসবুক থেকে
বিষয়: বিবিধ
২০১৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
কিন্তু জ্ঞান ঐশ্বরিক, আল্লাহ প্রদত্ত। আল্লাহ যাকে চান - তাকে দেন। আল্লাহ প্রদত্ত ঐ জ্ঞান কল্যানের নিমিত্তে বিলিয়ে দেবার জন্য। কেউ যদি সে জ্ঞানকে মানবতার পরিবর্তে সংকীর্ন ব্যাক্তি স্বার্থে, শুধুমাত্র নিজের জাতির স্বার্থে কাজে লাগাতে চান - তবে আল্লাহ সেই জ্ঞানকে তুলেও নিতে পারেন।
স্বভাবতঃই এমন এ্যাক্সাম্পল আল্লাহ যুগে যুগে যেমন মানবকূলে সেট করেন তেমনি আশে পাশের সৃষ্টিতেও - দরকার চোখ কান ও হৃদয়কে খুলে রাখার - আবু জাহেল এর ন্যায় অন্ধ, বধির না হবার।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
[[[দুঃখিত, সময়াভাবে কিছু লিখতে পারলাম না]]
মন্তব্য করতে লগইন করুন