আইসিটিতে সরকারের ৪ বছর

লিখেছেন লিখেছেন চোথাবাজ ১২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫৯:৫৯ দুপুর



বর্তমান মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি হলো ৬ জানুয়ারি ২০১৩ রবিবার। চার বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার প্রত্যয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে মহাজোট সরকার। ক্ষমতায় আসার পর তাদের আইসিটি খাতে যেমন রয়েছে অনেক ব্যর্থতা, তেমনি সফলতার পাল্লাতেও রয়েছে অনেক অর্জন। গত চার বছরে সরকারের আইসিটি খাতে নানান অর্জন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন "আইসিটিতে সরকারের ৪ বছর: পর্ব পাঁচ"। এই পর্বে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া "টেলিযোগাযোগ" এর কিছু কার্যক্রম এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো।

টেলিযোগাযোগ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক টেলিকম অপারেটরের ৫১৫টি লাইসেন্স প্রদান।

১২,১৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়। ২এ ও ৩এ লাইসেন্স বাবদ আরও ১২,০৯০ টাকা শীঘ্রই পাওয়া যাবে।

ভয়েস কলের ট্যারিফ প্রতি মিনিটে ৮৯ পয়সা থেকে ৮৩ পয়সায় হ্রাস।

এসএমএস এর ডোমেস্টিক ট্যারিফ প্রতি মিনিটে ২ টাকা থেকে ৫০ পয়সা এবং আন্তর্জাতিক ট্যারিফ ৫ টাকা থেকে আড়াই টাকায় হ্রাস।

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল গড়ে প্রতিদিন ২.২৬ কোটি মিনিট থেকে ৪.৫০ কোটি মিনিটে উন্নীত।

আন্তর্জাতিক কল সার্ভিস সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গন্তব্যে কল চার্জ হ্রাস।

৫৮টি জেলার ১৭৮টি উপজেলা ও ৪২টিগ্রোথ সেন্টারে ডিজিটাল টেলিফোন প্রদান।

৩টি পার্বত্য জেলার ২০টি উপজেলায় ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন।

৭টি জেলা ও ৫১টি উপজেলা অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা এবং IMS প্রযুক্তির ১,৮০,০০০ লাইন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন কাজ শুরু।

৩৮টি দেশের ৫৪টি অপারেটরের সাথে Roaming Service চালু।

১৬,১৫০টি পিএসটিএন টেলিফোন সেট সংযোজন।

সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায়।

টেলিডেনসিটি ৩২ শতাংশ থেকে প্রায় ৫৩ শতাংশে উন্নীত।

ঢাকা, বিভাগীয় ও জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপনের মাধ্যমে ১,৫০,০০০ লাইন সম্প্রসারণ।

দেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনফো বাহন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।

সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনে একটি Co-location Center স্থাপন।

বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প সংস্থাতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল প্ল্যান্ট স্থাপন।

৪৬টি জেলার ৫৬টি উপজেলায় ১৪৫০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক ও ট্রান্সমিটার যন্ত্রপাতি স্থাপন।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সিস্টেম চালু এবং ৪৭,০০০ সংযোগ প্রদান।

ব্রডব্যান্ড ওয়ারলেস এক্সেস সিস্টেমের আওতায় ফিক্স ওয়াইম্যাক্স সার্ভিস এর নেটওয়ার্ক সকল বিভাগে সম্প্রসারণ।

বিটিসিএল-এর নিজস্ব বিল প্রিন্টিং সিস্টেম প্রবর্তন।

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অপটিক্যাল ফাইবার লিংকের Redundant Link স্থাপন।

২৮৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তৈরি।

২,৯৫,১৭৫ কন্ডাক্টর কিলোমিটার কপার টেলিফোন ক্যাবল উৎপাদন।

ইন্টারনেট ডেনসিটি প্রায় ১১ শতাংশে উন্নীত। ইন্টারনেট চার্জ হ্রাস।

টেলিফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ থেকে ৮ কোটি ২৫ লক্ষে উন্নীত।

ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লক্ষ থেকে আড়াই কোটিতে উন্নীত।

ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মূল্য ২৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকায় নির্ধারিত। কলসেন্টারের জন্য ব্যান্ডউইথের মূল্য ৬ হাজার টাকায় ধার্য।

ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্সের আওতায় ১৬০০ কিলোমিটার লং হল, ৪৪০ কিলোমিটার মেট্রো রিং এবং ২৭৫ কিলোমিটার এফটিটিএক্স নেটওয়ার্ক তৈরি। যা ২৪টি জেলা ও ৯৪টি উপজেলায় বিস্তৃত।

ইন্টারনেট গ্রাহকদের দেশের ভিতরে স্বল্প মূল্যে ভয়েস কল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ৩৯টি আইপি ফোন সার্ভিস চালু।

২৭টি আন্তর্জাতিক ও ১৭টি নতুন ডোমেস্টিক কল সেন্টার চালু। এতে ২০ হাজার শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থান।

বিভিন্ন ধরনের টেলিকম লাইসেন্স প্রদানের লক্ষ্যে রেগুলেটরি এন্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইন্স প্রণয়ন।

স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে স্পেকট্রাম মনিটরিং স্টেশন স্থাপন।

অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম প্রতিরোধের লক্ষ্যে ৮৭টি অভিযান পরিচালনা।

৯,৭৫,৭৯০টি সিম বন্ধ করা এবং ৩৮টি মামলা দায়ের। ২১টি অপারেটর লাইসেন্স বাতিল। ৩০,৭৮৯টি IP Address বন্ধ। এর ফলে গত ২ বছরে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি।

এনটিটিএন লাইসেন্সধারী অপারেটরদের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশে আন্ডারগ্রাউন্ড অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন।

2G মোবাইল নবায়ন গাইড লাইন প্রণয়ন।

3G Licensing Consultation বিষয়ক কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

৩টি পার্বত্য জেলায় টেলিটক মোবাইল চালু।

নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ।

থ্রি-জি টেলিকম সেবার জন্য লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ।

বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য ৩৩৮টি তরঙ্গ বরাদ্দ ও লাইসেন্স প্রদান।

গেটওয়েগুলোর কল রেকর্ড পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণের জন্য বিটিআরসিতে

CDR System Ges এবং Terminal স্থাপন।

বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য সকল ব্রান্ডের বেসিক মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-প্যাড জাতীয় মান BDS 1834: 2011

হিসেবে গৃহীত। ৩১ জানুয়ারি ২০১২ থেকে সকল ব্রান্ডের বেসিক মোবাইল হ্যান্ডসেটে এ জাতীয় মান সংযোজন।

আন্তর্জাতিক সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ২য় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের উদ্যোগ গৃহীত।

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন এবং সহজতর করার লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এডুকেশন লাইন, টেলি হেলথ, কৃষি জিজ্ঞাসা, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মোবাইল রেমিটেন্স সার্ভিস, বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রি, ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য বিবিসি জানালা, মোবাইল ব্যাংকিং, হজ্ব তথ্য ইত্যাদি মূল্য সংযোজিত সার্ভিস চালু।

‘.bd’ এর পাশাপাশি ২য় কান্ট্রি কোডেড টপ লেভেল ডোমেইন হিসেবে ‘.বাংলা’ মূল্যায়ন কার্যক্রম সমাপ্ত। বাংলাদেশ ২০১১-২০১৪ মেয়াদে

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত।

গ্রাহকদের ব্যয় হ্রাসে দেশব্যাপী বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল টেলিফোনে কল চার্জ ৩০ পয়সা প্রতি মিনিট এবং টেলিফোন লাইনে হ্রাসকৃত হারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস চালু।

মাঠ প্রশাসনের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মনিটরিং নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক অফিসের ভিডিও কনফারেন্সিং ও ই-সার্ভিস চালুকরণ।

৫৬টি নতুন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন ও দেড় লাখ লাইন সম্প্রসারণ।

বিটিসিএল এর নিজস্ব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস চালুও ৪৭ হাজার সংযোগ স্থাপন।

উপজেলা পর্যায়ে টেলিফোন সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫৮টি জেলার ১৭৮টি উপজেলা ও ৪২টি গ্রোথ সেন্টারে ১,০৯,০০০ লাইনবিশিষ্ট ডিজিটাল সুইচিং সিস্টেম ও ১,২০,০০০ লাইনের ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন

একটি চোথাবাজি পরিবেশনা

বিষয়: বিবিধ

১১২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File