গুঁড়ামাছের গুনাগুন!

লিখেছেন লিখেছেন চোথাবাজ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:০১:৩২ বিকাল



(১) বয়স ৪০-এর উপরে আমাদের শরীরে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। গুড়ামাছে তা অত্যন্ত কম। তাই বয়স্করা গুড়ামাছ খাবেন।

(২) গুড়ামাছে আছে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন, খনিজদ্রব্য, আয়রন, ভিটামিন-সি, নিয়াসিন, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন-এ।

(৩) শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ মলা, ঢেলা ও গুঁড়ামাছ খাওয়ান। শিশুদের ভবিষ্যৎ ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য গুঁড়ামাছ খুবই দরকার।

(৪) বাড়তি বয়সী শিশুদের প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন-ডি-এর জন্য গুঁড়ামাছ উপকারী।

(৫) গুঁড়ামাছে প্রচুর প্রোটিন আছে। দরিদ্র দেশে অল্প টাকায় আমিষের অভাব পূরণ করে তা পুষ্টিহীনতা দূর করতে সাহায্য করে।

(৬) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের জন্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ গুঁড়ামাছ ব্ল্যাডপ্রেসার কমায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

(৭) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ সমৃদ্ধ গুঁড়ামাছ উপকারী।

(৮) হৃদরোগী ও স্ট্রোকের রোগীর জন্যও তা উপকারী। বৃদ্ধাদের জন্যও বেশ উপকারী।

(৯) গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য গুড়ামাছ উপকারী।

(১০) খাদ্যে অরুচি এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে গুড়ামাছ বেশ সুস্বাদু উপাদেয় খাদ্য।

গুড়ামাছ কোনগুলোঃ গুঁড়ামাছ দুই রকমের-

(১) খুব গুঁড়ামাছ কাচকি, মলা, ঢেলা, দাড়কিলা, আউন্যা, চান্দা, বজুরী, ছোট ইছা (চিংড়ির বাচ্চা)।

(২) একটু বড় প্রকৃতির পুঁটি, টেংরা, গনিয়া, কাটা মেনী, চাপিলা, টাকি, চেলা, বাইন, বেতরাঙ্গি, পাবদা, শিং, মাগুর, কৈ, হইল্যা, খইয়া। তবে বাংলাদেশের এলাকাভিত্তিক নানা স্থানে নানা নামে গুঁড়ামাছ পাওয়া যায় নানা রকম।

বিষয়: বিবিধ

১০৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File