তোমার জন্মদিনে
লিখেছেন লিখেছেন চোথাবাজ ২৯ জুন, ২০১৩, ০৪:৪৬:০৮ বিকাল
একাত্তরের দিনগুলি পড়ার আগ পর্যন্ত আম্মা ডাকতাম শুধু নিজের মাকেই, এখন ডাকি দুজনকেই। নিজের জন্মদাত্রী আর জাহানারা ইমাম। শ্রদ্ধার ভালবাসার আম্মা। সাহসে দেশপ্রেমে প্রোজ্জ্বল।
যিনি শুধুই রুমির মা হয়ে থাকেন নি, হয়ে উঠেছেন সমগ্র বাংলাদেশের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্দীপ্ত মানুষের আম্মা। যার হাত ধরে জন্ম হয়েছিল একটি কলঙ্ক মোচনের আন্দোলনের, যার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে নুডলের মেরুদন্ডধারী আমরা বলতে পেরেছি রাজাকারের ফাসি চাই। যার জন্য বলতে পেরেছি আমি বাঙালি, আমার পরিচয় মিথ্যে নয়। আর আমি বাঙালি হয়েই আমার ভাইয়ের আমার বাবার আমার মা বোনের রক্তের, সম্মানহানীর বিচার করব।
যতবার একাত্তরের দিনগুলি পড়েছি, ততবার আক্ষেপ করেছি জননী তোমার পুত্র না হতে পেরে। যতবার নিজেকে ঘৃণা করে নিজের গায়ে থুতু ছিটাতে চেয়েছি রাজাকারের গাড়িতে পবিত্র পতাকা দেখে, লোকালয়ে চলে আসা হায়েনাদের পবিত্র সংসদ অপবিত্র করতে দেখে, ততবার আমি ভেবেছি তোমার কথা মা আমার। যে দেশে জন্ম নিয়েছে তোমার মত জননী সে দেশে হায়েনার এ উল্লাস ক্ষণিকের। এ মাটি রুমির রক্তের দামে কেনা। এ মাটিতে হায়েনার বিচার হবেই। মা,আমি মুগ্ধ হয়ে তোমার সাহস দেখি রুমিকে বিদায় দেবার ক্ষণে, কেনাকাটা করতে যেয়ে পাকি সৈন্যের সাথে তোমার কথোপকথনে।
মা, তোমার প্রয়াণের দিনে তোমাকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের পাপমুক্ত, পরবর্তী প্রজন্মের ঘৃণা মুক্ত থাকার পথটির প্রথম পদক্ষেপ টি শুরু করে দেবার জন্য।
জননী সাহসিকা, তুমি শান্তিতে ঘুমাও।, ঘাতক ক্যান্সার তোমাকে নিয়ে গেছে ওপারে।তুমি কি দেখছ, তোমার চেতনার অগ্নিস্নানে স্নাত পুত্ররা জেগে আছে? তারা তোমার চেতনার শুচি শুদ্ধ অগ্নিস্রোত বহন করবে শেষ হায়েনাটির বিচার না হওয়া পর্যন্ত। করবেই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন