কলকাতায় মোস্তফা জব্বারের "বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রা"
লিখেছেন লিখেছেন চোথাবাজ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৪:০২ বিকাল
ওপার বাংলা কলকাতায় বাংলা হরফের বিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দিলেন বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রায় পুরোধা অবশ্যই আনন্দবাজার পত্রিকা। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে বাঙালিই থাক, শুধু এই কারণে আনন্দবাজারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। সেই কাজে পুরোধা অশোককুমার সরকারের স্মরণে এই বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
কলকাতায় “বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন মোস্তফা জব্বার
স্মারক বক্তৃতায় সাধারণত সাহিত্য বা দর্শনের মতো বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কিন্তু বই নির্মাণ বা হরফের বিবর্তনের মতো কারিগরি বিষয়গুলো সাধারণত আড়ালে থেকে যায়।
এই প্রথম বাংলা হরফের বিবর্তন এবং তার ডিজিটাল যাত্রার মতো একটা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে বইমেলায় “অশোককুমার সরকার আন্তর্জাতিক স্মারক” বক্তৃতা দিলেন বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার।
বাংলা হরফের ডিজিটাল অভিযাত্রার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বারবার সশ্রদ্ধ স্মরণ করেছেন অশোককুমার সরকারকে। কারণ তিনি মনে করেন, বাংলা হরফকে ডিজিটাল যুগে নিয়ে আসার দীর্ঘ যাত্রায় আনন্দবাজার পত্রিকার ভূমিকা অগ্রগণ্য।
মোস্তফা জব্বারের বক্তৃতার বিষয় ছিল “বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ”। হরফ নির্মাণের কথায় অনিবার্য ভাবেই এসে পড়েছে পূর্ববঙ্গের ভাষা আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং তারও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সেই সঙ্কল্প।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রায় পুরোধা অবশ্যই আনন্দবাজার পত্রিকা। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে বাঙালিই থাক, শুধু এই কারণে আনন্দবাজারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
সেই কাজে পুরোধা অশোককুমার সরকারের স্মরণে এই বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
বাংলা হরফের ডিজিটাল অভিযাত্রায় হাতে হরফ সাজানো, টাইপরাইটার, মোনোটাইপ, লাইনোটাইপ এবং ফোটোটাইপ সেটিং পর্যন্ত বাংলা হরফ বিন্যাস এবং মুদ্রণের সবকটি পর্যায়ে নিয়েই তিনি তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা করেছেন।
এদিকে সোমবার সকালে কলকাতার উদ্দেশে যাওয়ার আগে তিনি ফেসবুকে লিখে গেছেন, কাল দুপুরে কলিকাতা বইমেলায় অশোক সরকার স্মারক বক্তৃতায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করবো আমি। বিষয় বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক জটিল উল্লেখ করে লিখেছিলেন, ২রা জানুয়ারি অনলাইনে নিবন্ধন, ১৫ জানুয়ারি পাসপোর্ট জমা, ২২ জানুয়ারি সাক্ষাৎকার, ২৭ জানুয়ারি ভিসা ইস্যু, ২৮ জানুয়ারি ডেলিভারি। সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বহুবিধ তদবির। এর নাম ভারতীয় ভিসা। অনুগ্রহ করে অবস্থাটি বুঝে চুক্তি করুন।(প্রিয় টেক)
বিষয়: বিবিধ
১১৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন